মাগুরায় ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ফরহাদ হত্যা মামলার আসামি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন মিয়া কুটিসহ ৭ আসামি মাগুরা সদর জ্যেষ্ঠ-১ আমলি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক হুমায়ুন কবির জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
কারাগারে পাঠানো অন্য আসামিরা হলেন, আনিচুর রহমান কনক, আব্দুল হান্নান,নজরুল ইসলাম, কবির হোসেন ও মাসুদ হোসেন।
২১ আগস্ট মাগুরার সদর উপজেলার রাঘবদাইড় ইউনিয়নের উত্তর বীরপুর গ্রামের জামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ডক্টর বীরেন শিকদার, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাহিদ খান, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হুমায়নুর রশিদ মুহিত, শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কুতুবুল্লাহ হোসেন কুটিসহ সুনির্দিষ্ট ৬৯ জনকে আসামি করে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামি করে হত্যাকাণ্ড এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা জানান, এ মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকায় কুতুবুল্লাহ হোসেন কুটি, আনিসুর রহমান কনক, আবদুল হান্নান, নজরুল, কবির এবং মনিরুল এবং মাসুদ নামে ৭ আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এ মামলাটির অভিযুক্ত আসামিদের অধিকাংশই পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীরা শহরের পারনান্দুয়ালী, ঢাকারোড ও ভায়না মোড় এলাকায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের নিবৃত্ত করতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে বিক্ষোভকারী গুলিবিদ্ধ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নিহত রাব্বি হয়। এ ঘটনায় ওইদিন দুপুরে একই এলাকায় আবারো বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ নামে এক ছাত্রদল কর্মী নিহত হয়। শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামে ফরহাদ হোসেনের বাড়ি।