সুনামগঞ্জে গেল চার আগষ্টে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক পৌর মেয়রসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচ নেতার দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি ) দুপুরে সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন শুনানির সময় সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখ্ত ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপু, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাহারুল, মসিবুর রহমানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন দ্রুত বিচার আইনের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র।
একই আদালতে সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে শাল্লা উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার হওয়া সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাসকে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।
অন্যদিকে, অবনী মোহন দাসের আইনজীবীরা তার জামিন চান। দ্রুত বিচার আইনের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র বুধবার (৮ জানুয়ারি) রিমান্ড এবং জামিন শুনানির দিন ধার্য্য করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গত ২৯ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
কোর্ট ইন্সপেক্টর আকবর আলী আদালতের এই আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আসামিদের আইনজীবী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম ও সাবেক পিপি খায়রুল কবির রুমেনও একই তথ্য জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্টে সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেশনে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন দোয়ারাবাজার উপজেলার এরোয়াখাই গ্রামের জহুর আলী। জহুর আলীর ভাই হাফিজ আহমদ এই ঘটনায় গেল দুই সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ইতোমধ্যে সাবেক মন্ত্রী এমএ মান্নান, সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিকসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১২০ জন গ্রেফতার হয়েছেন। এমএ মান্নান ও মুহিবুর রহমান মানিকসহ কিছু নেতা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।