পীরগঞ্জে সহিংসতা: সৈকত-রবিউলের স্বীকারোক্তি
রংপুরের পীরগঞ্জের সহিংসতার ঘটনার মূলহোতা সৈকত মণ্ডল ও রবিউল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন।
র্যাবের দায়েরকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার এসআই সুদীপ্ত শাহীন জানান, রোববার সন্ধ্যায় রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২-এর বিচারক দেলওয়ার হোসেনের আদালতে সৈকত মণ্ডল ও রবিউল ইসলামকে হাজির করা হয়। সেখানে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তারা।
এর আগে ঢাকার টঙ্গী থেকে গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা সৈকত মণ্ডল ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম রবিউলকে পীরগঞ্জ থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়।
তাদের দুই জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কোট সিএসআই শহিদুল ইসলাম। জবানবন্দি শেষে তাদের দুই জনকে বিচারক জেলহাজতে পাঠানো আদেশ দেন।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা ৩৮ আসামিকে আদালতের নির্দেশে ৩ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ৩টায় রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের আদালতে আনা হয়। আসামিরা কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত না হওয়ায় বিচারক তাদেরকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ঘটনায় আজ আরও ৪ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪ জনে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র জানান, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত সৈকত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে রোববার বিকেলে রংপুর মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।