নর্থ সাউথের ট্রাস্ট্রি আজিম-কাশেমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টি-র সদস্য আজিম-কাশেমের দুর্নীতি, অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। সেই জের ধরে এই সিন্ডিকেটের দুর্নীতি এবং আর্থিক জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

গত ১৬ অক্টোবর একটি সংবাদ সম্মেলন এবং ২৭ অক্টোবর দুদকের সম্মুখে একটি মানববন্ধনব করে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এবং দুদকের নিকট দুর্নীতির প্রমাণসহ স্মারকলিপি জমা দেয়। উক্ত বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সৈয়দ ইকবাল হোসেন-কে নিয়োগ প্রদান করেছে দুদক।

তাদের দুর্নীতি বিষয়ে অভিযোগগুলো হলো-

১। আজিম-কাশিম সিন্ডিকেট পূর্বাচল সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৫০ বিঘা নিচু জমি কিনে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা লোপাট করেছে। তারা ২০১৪ সালে আশালয় হাউজিং এন্ড ডেভলপার্স লিমিটেডের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকার জমি ৫০০ কোটি দিয়ে কিনে এই টাকা আত্নসাত করে। আবার সেই নিচু জমি ভরাটের নামেও ২০-২৫ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। আজিম-কাশিম সিন্ডিকেট যে ডেভলাপার্স কোম্পানির কাছে থেকে জমি কিনেছে, সেই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রত্যেকে ১৪ কোটি টাকারও বেশি কমিশন নিয়েছে। আশালয় হাউজিং কোম্পানির ডাচ বাংলা ব্যাংকের বনানয় শাখার অ্যাকাউন্ট নং-১০৩১২০০০০০০৮৭১ এবং ইউসিবিএল-এর অ্যাকাউন্ট নং-৯৫১১০১০০০০০৮৪১৩ থেকে তারা এই কমিশন নেন।

২। সাধারণ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি থেকে অবৈধভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের ৯ সদস্যের জন্য ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল ৮টা রেঞ্জ রোভার ও একটী মার্সিডিস বেঞ্জ গাড়ি ক্রয় করে। এই গাড়ির চালকদের বেতন, রক্ষণাবেক্ষন এবং তেলের খরচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকেই বহন করা হয়।
৩। ২০১৮ সাল থেকে বোর্ড অব ট্রেস্টি-র সদস্যরা সিটিং এলাউন্স বাবদ প্রতিটি বোর্ড অব ট্রাস্টির মিটিংয়ে ১ লক্ষ এবং অন্যান্য মিটিংয়ে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে আসছে। বিভিন্ন পত্রিকায় এ নিয়ে রিপোর্ট হলে তারা তা ৫০ হাজার টাকা এবং ২৫ হাজার টাকা করে নেয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক সিটিং এলাউন্স ফি যথাক্রমে ১০ হাজার এবং ৮ হাজার টাকা নির্ধারিত আছে। তারা এমনকি কোন কমিটির সদস্য না হয়েও ঐ মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে এবং অনলাইন মিটিং করেও এলাউন্স গ্রহণ করে।

৪। আজিম-কাশেম ছাড়াও এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা হলেন- প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বেনজির আহমেদ, রেহেনা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আজিজ আল কায়সার টিটো। আজিম-কাশেম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অমান্য করে আটটি কমিটির বিপরীতে ২৫টি কমিটি গঠন করে অতিরিক্ত সিটিং এলাউন্স আদায় করে/ এ সকল কমিটির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সকল ক্ষমতা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছে।

৫। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের আর্থিক সম্পত্তির উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট অর্থের ২০২১ সালের ৩১ আগস্টের হিসার অনুযায়ী ৪৩ ভাগেরো বেশি (৪০৮ কোটি ৪০ লাখ) টাকা নিজেদের মালিকানাধীন সাউথইস্ট ব্যাংকে জমা রেখেছে। কাশেম-আজিম এবং তাদের স্ত্রীরা উক্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।

৬। তারা প্রতি সেমিস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়য় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছে। ইউজিসি এ কারণে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অনুষদে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য একটি পরামর্শমূলক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এছাড়া আইন অনুষদে বাএ কাউন্সিলের অনুমোদন (৩০ জন প্রতি সেমিস্টার) এর অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করে।

৭। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ট্রাস্টি বোর্ডের এই সিন্ডিকেট জঙ্গিবাদী কার্যক্রমকে বরাবর উৎসাহ প্রদান করে এসেছে। ফলশ্রুতিতে হিজব্যত তাহরীরসহ দেশের ভয়ংকর সব জঙ্গি সংগঠনের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যাল। তার উজ্জ্বল প্রমাণ হলো লেখক রাজীব হায়দারের হত্যাকান্ড সহায়তাকারী সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি নাফিস ইমতিয়াজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মদদে ১০ বছর পর আবারও ভর্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

   

আশ্রমে আরও ৪৫টা বাচ্চা আছে, ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে: আদালতে মিল্টন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে আরও ৪৫টা বাচ্চা রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার আদালতকে বললেন, সেই বাচ্চাগুলো ডিবিকে নিয়ে যেতে বলেন।

রোববার (৫ মে) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালতে মিরপুর মডেল থানায় করা মানব পাচার আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে একথা বলেন মিল্টন।

মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শিকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, যার কেউ নাই, অনাথ, অর্ধঅঙ্গ, ক্ষুধার্ত মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে আশ্রয় দেন মিল্টন সমাদ্দার। ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাকিব নামে এক ব্যক্তি এক শিশুকে নিয়ে আসেন। পরে মিল্টন তাকে রিসিভ করেন। ২০২০, ২১, ২২, ২৩ সালেও ডিবি ছিলো। বরিশালের ভাষায় একটা কথা আছে, শাপে কামড় দিলে, পিঁপড়া, উল্লার বিষও জমা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, রাকিবকে ডিবির প্রভাব খাটিয়ে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু রাকিবের কাছে বাচ্চাকে আনতে যাইনি। বরং রাকিবই আমার কাছে এসেছে বাচ্চাটাকে নিয়ে। খাওয়া, পড়া, চিকিৎসা, মানবিক সাহায্য যা করার করেছি। তখন তিনি কোথায় ছিলেন। বাংলাদেশে আরেকজন মাদার তেরেসা হলে তিনি হতেন মিল্টন সমাদ্দার।

যে বাচ্চাকে নিয়ে মামলা করা হয়েছে সেই বাচ্চা আশ্রমের বাবুর্চির কাছে বড় হচ্ছে বলে জানান এ আইনজীবী। কিন্তু তিন বছর ৭ মাস পর মিডিয়ার ঝলকে মামলা। বউয়ের দোষ ধরা হলে পায়ে পায়ে ধরা যায়। মিল্টন এখন সেই পর্যায়ে গেছে।

এসময় বিচারকে উদ্দেশ করে কাঠগড়ায় থাকা মিল্টন বলেন, আরও ৪৫টা বাচ্চা আছে। ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে।

গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

পরিবেশ রক্ষায় গাছকাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট মো, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও এডভোকেট রিপন বাড়ৈই জনস্বার্থে হাইকোর্টে এই রিটটি করেছেন।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে রিটটি শুনানি হতে পারে বলে জানান রিটের পক্ষে আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। ফলে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে- যা বন্ধ না হলে দেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

;

মানবপাচার মামলায় মিল্টন সমাদ্দার ৪ দিনের রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবপাচার মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

রোববার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, মিরপুর থানার মানবপাচার মামলায় বহুল আলোচিত সমালোচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় গত ২ মে মিল্টনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।

পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ধৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০টি মৃত সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার নামে চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে মানবতার ফেরিওয়ালা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা, ওয়ারিশবিহীন ব্যক্তি, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চিকিৎসা ও সেবা প্রদান না করে তাদের মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছেন।

জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলাসহ মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

;

মিল্টন সমাদ্দারকে ফের ৭ দিন রিমান্ডের আবেদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুল আলোচিত সমালোচিত ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে ফের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে ডিবি পুলিশ।

রোববার (৫ মে) প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে মিরপুর থানার মানবপাচার মামলায় ফের ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালতে রিমান্ড শুনানির কথা রয়েছে।

প্রতারণার মাধ্যমে মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির মামলায় গত ২ মে মিল্টনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত।

পুলিশের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ধৃত আসামি দীর্ঘদিন ধরে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০টি মৃত সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তিনি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার নামে চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে মানবতার ফেরিওয়ালা পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা, ওয়ারিশবিহীন ব্যক্তি, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চিকিৎসা ও সেবা প্রদান না করে তাদের মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছেন।

জাল মৃত্যু সনদ তৈরির করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলাটি দায়ের হয়। এরপর তার আশ্রমের টর্চার সেলে মানুষজনকে মারধর করার অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে আরও একটি মামলাসহ মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।

;