আমিন বাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলার রায় বৃহস্পতিবার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আমিন বাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলার রায় বৃহস্পতিবার

আমিন বাজারে ৬ ছাত্র হত্যা মামলার রায় বৃহস্পতিবার

দশ বছর আগে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিন বাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলারচরে ছয় ছাত্রকে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।

গত ২২ নভেম্বর ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহান রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শোনেন তিনি। মামলাটিতে ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

২০১৩ সালের ৮ জুলাই এ মামলায় চার্জ গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ওই বছরের ৭ জানুয়ারি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

ওইদিন মর্মান্তিক এ ঘটনার নিহতরা হলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাপল লিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শামীম (১৮), মিরপুর বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ (২০), একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১), উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবির মুনিব (২০)। নিহত শিক্ষার্থীরা সবাই পরস্পর বন্ধু ছিলেন।

নিহতদের সঙ্গে থাকা আরেক বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে যান। প্রাণে বেঁচে যাওয়া আল আমিনকে দেওয়া হয়েছিল ডাকাতির মামলা। ২০১৩ সালের ৮ জুলাই তাকে ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৬০ আসামি হলেন, ডাকাতি মামলার বাদী আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বার, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহর ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকাটা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম, মনির, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহজাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হায়দার, খালেদ, ইমান আলী, দুলাল ও আলম।

মামলার তদন্ত চলাকালে আসামিদের মধ্যে ১৪ জন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

২০১১ সালের ১৭ জুলাই শব-ই-বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলারচরে বেড়াতে যান সাত তরুণ। স্থানীয় কিছু লোক তাদের ডাকাত সন্দেহে ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যা করে। গুরুতর আহত হয়েও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান আল আমিন।