ওরিয়ন গ্রুপ চেয়ারম্যানের মামলার নথি গায়েব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওরিয়ন গ্রুপ চেয়ারম্যানের মামলার নথি গায়েব

ওরিয়ন গ্রুপ চেয়ারম্যানের মামলার নথি গায়েব

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ আত্মসাতের  মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিমের মামলার নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে গত ১৪ বছরে গুরুত্বপূর্ণ মামলাটির পরবর্তী বিচার প্রক্রিয়ার সবকিছু একরকম অন্ধকারে রয়ে গেছে। এ সুবাদে অন্যতম আসামি ওবায়দুল করিমসহ দোষীরা আছেন বহাল তবিয়তে। রহস্যজনক কারণে মামলাটি নিয়ে দায়িত্বশীলদের কোনো নজরদারিও পরিলক্ষিত হয়নি।

ওবায়দুল করিম ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংক থেকে ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ২০০৭ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। তবে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই তিনি ২০০৮ সালে ওই রায় বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

রুল শুনানি শেষে ওই বছরই বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ২০০৯ সালে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আসামিকে (ওয়াবদুল করিম) বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। নিয়মানুসারে মামলার মূল নথিটি উচ্চ আদালত থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর সেই নথিপত্র গ্রহণ করেন বিচারিক আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এরপর থেকে এ মামলার কার্যক্রম আর অগ্রসর হয়নি। মামলার মূল নথি খুঁজে না পাওয়ায় বর্তমানে ‘মামলা ও আসামিদের সর্বশেষ অবস্থা’ সম্পর্কে কেউই বলতে পারছেন না। এমনকি যোগাযোগ করা হলেও ওরিয়ন গ্রুপের কর্ণধাররাও এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে চাননি।  একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানে মামলার নথি গায়েবের চাঞ্চল্যকর তথ্যের বিস্তারিত উঠে এসেছে।

জানতে চাইলে উচ্চ আদালতে নিয়োজিত দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘মামলাটির (রিটের) প্রতিপাদ্য বিষয় হলো-কোনো আসামি পলাতক অবস্থায় হাইকোর্টে রিট করতে পারবেন না। তাকে (আসামি) যদি রিট করতে হয় বা রায় চ্যালেঞ্জ করতে হয়, তাহলে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এরপর নিয়মিতভাবে রায় চ্যালেঞ্জ করতে হবে। পলাতক অবস্থায় রিট করে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা যাবে না বা রায় বাতিল চাওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, উনি (ওবায়দুল করিম) হাইকোর্টে এসেছিলেন তার মামলার রায় বাতিল চেয়ে। হাইকোর্ট ডিভিশন তা স্থগিতাদেশ দেন। এরপর দুদক আপিল করে। আপিল বিভাগ বলেছেন, পলাতক অবস্থায় রায় বাতিল চাওয়া যাবে না। আপিল বিভাগ তাকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশনা দেন।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের আদেশের পর বিচারিক আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেছিলেন কি না, তা জানা নেই।’

জানতে চাইলে বিচারিক আদালতে নিয়োজিত দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এই মামলার নথিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মামলার নথি বের করে দেওয়ার জন্য আগের পেশকারকে বলা হয়েছে। মূল নথি পাওয়া গেলে মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানা যেত।’

জানতে চাইলে বিশেষ জজ আদালত-১-এর পেশকার (বেঞ্চ সহকারী) রাজীব দে বলেন, ‘এ মামলার নথি আপাতত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ মামলায় কোনো আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন কি না, অথবা এ মামলাটি সর্বশেষ কী অবস্থায় আছে, তা বলা যাচ্ছে না।’

এদিকে এ ব্যাপারে জানতে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সোলায়মান করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম কোনো জবাব দেননি।

অর্থ আত্মসাতের মামলা ও রায় : ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মতিঝিল থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক আবদুল লতিফ। ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে ওই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়। তদন্ত শেষে এ মামলায় ওবায়দুল করিমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়। ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক মো. ফিরোজ আলম এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিমকে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারায় দোষী করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম করাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর চার আসামিকে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দোষী করে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারা হলেন-ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুন, এসএভিপি আবুল কাশেম মাহমুদ উল্লাহ, সাবেক এভিপি মো. ফজলুর রহমান ও এভিপি একেএম নেয়ামত উল্লাহ। এছাড়া অপর আসামি একই শাখার ইও এএনএম রফিকুল ইসলামকে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারায় দোষী করে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করা ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।

তৎকালীন ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের অধিকাংশ শেয়ার ছিল ওরিয়ন গ্রুপের হাতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে অনিয়ম ও দুর্নীতি উদ্ঘাটিত হওয়ায় তাদের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপর নতুনভাবে মূলধন ইস্যু করে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে মালয়েশিয়াভিত্তিক আইসিবি পিএলসি গ্রুপের কাছে ব্যাংকটি বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরপর ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে বর্তমান আইসিবি ইসলামী ব্যাংক নামকরণ করা হয়।

মামলার নথি গায়েব : ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ পেশকার রাজীব দে বলেন, ‘এই মামলার নথিটি সেরেস্তায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’ অনুসন্ধানে জানা যায়, হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের পর উচ্চ আদালত থেকে মামলার রেকর্ডপত্র বিচারিক আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতের সংশ্লিষ্ট লোকজন তা স্বাক্ষর করে জমা নেন।

এদিকে এ নিয়ে দফায় দফায় অনুসন্ধান শুরু করলে আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। নথিপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে ১২ এপ্রিল এই আদালতের (ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১) আগের পেশকার রবিউল আলমকে কল করে নথিটি কোথায় আছে, তা জানতে চান আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী জামান। জবাবে রবিউল প্রথমে একটি নির্ধারিত স্থানে নথি আছে বলে জানান। এরপর ওই নির্ধারিত স্থানে খুঁজে নথিটি পাওয়া না গেলে ফের রবিউলকে বিষয়টি জানানো হয়। জবাবে রবিউল ১৪ এপ্রিল ঢাকায় এসে খুঁজে নথিটি বের করে দেবেন বলে জামানকে জানান। রবিউলকে কল করার আগে আদালতের একাধিক কর্মচারী সেরেস্তায় (মামলার নথি রাখার নির্ধারিত স্থান) তন্নতন্ন করে খুঁজেও মামলার নথিটি পাননি।

জানতে চাইলে বরিশাল বিশেষ জজ আদালতে কর্মরত পেশকার রবিউল আলম সোমবার (১৮ এপ্রিল) বলেন, ‘চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এ আমার শেষ কর্মদিবস ছিল। এরপর সেখান থেকে আমি বদলীকৃত নতুন কর্মস্থলে যোগদান করি। এখানে (বরিশাল বিশেষ জজ আদালত) যোগদানের আগে আমি সেখানকার (ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১) সব নথিপত্র বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি। এখন যদি কোনো মামলার নথি খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে বিষয়টি বিচারককে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এরপর বিচারক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

সূত্র: যুগান্তর

   

গাছ লাগানো-কাটা বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাছ লাগানো ও কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি না করা এবং তাবদাহ ও তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ মে) এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি করেন এডভোকেট তানভীর আহমেদ।

এডভোকেট তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কুষ্টিয়া জেলা এলাকায় সামাজিক বনায়নের আওতায় কয়েক হাজার গাছ কাটা এবং তাপদাহ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিটটি আনা হয়। গাছ লাগানো ও কাটা নিয়ে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিটটি দায়ের করা হয়।

এই আইনজীবী বলেন, কুষ্টিয়ায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ বছর আগে কয়েক হাজার গাছ লাগানো হয়। সেই গাছগুলোর মধ্যে গত বছর ১০ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়। সম্প্রতি আরও ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের নজরে আসে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে গাছ লাগানো ও কাটা নিয়ে কোনরূপ নীতিমালা নেই। এ বিষয়ে ফিনল্যান্ডের উদাহরণ টেনে আইনজীবী বলেন, সেখানে একটি গাছ কাটা হলে তিনটি গাছ লাগানোর নিয়ম রয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে রেসপনডেন্ট (বিবাদী) করা হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনে আগামী ৫ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আপাতত এই আসনে নির্বাচন হচ্ছে না।

এর আগে, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়।পরে উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. নায়েব আলী জোয়ারদার‌। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

;

মেনশন নয়, সিরিয়াল অনুযায়ী মামলার শুনানি: প্রধান বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুনানি আপগ্রেডেশনের কোন মেনশন নেওয়া হবে না। আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে মামলার সিরিয়াল অনুযায়ী শুনানি করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এছাড়া সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, এমনটা প্রত্যাশা করেন তিনি।

সোমবার (৬ মে) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শতাধিক আইনজীবী মেনশন করে তাদের মামলা আপগ্রেডেশন করার জন্য আবেদন জানাতে থাকলে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এদিন অন্যান্য দিনের মতো প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় শতাধিক আইনজীবী তাদের মামলার শুনানি আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন জানাতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি মামলা আপগ্রেডেশন করার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীর মতামত জানতে চান। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ১ হাজার ৮০০ এর বেশি মামলা আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটা পাগলামি না?

তখন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ছোট ছোট মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে চলে আসে। এগুলো যদি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হতো তাহলে আপিলে এতো মামলা হতো না।

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, উনি যে মামলাগুলোর কথা বলছেন তার বেশিরভাগই হেরোইনসহ মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা। এ কারণে আমাদের আপিলে আসতে হয়।

এ পর্যায়ে সিনিয়র আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, এমনটা আশা করি। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে সিরিয়াল অনুযায়ী মামলা শুনানি করা হবে, কোনও মেনশন নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

;

টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে ভারতে আইনি লড়াইয়ে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বত্ব বাংলাদেশের রাখার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে সরকার।

সোমবার (৬ মে) শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়ে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। তালিকায় সারাদেশের প্রায় ১৫০ টি পণ্যের উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, ভৌগোলিক শনাক্তকরণ (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধনের উপযোগী পণ্যের পৃথক দুটি তালিকা প্রস্তুত করে ১৯ মার্চের মধ্যে আদালতে জমা দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তালিকা প্রণয়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

;