ফারদিন হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে নির্দোষ বুশরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরাকে নির্দোষ দেখিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এর আগে, এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়ে গত ১৫ জানুয়ারি আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক।

এ আদেশের পর আজ সোমবার ডিবির পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন শিকদার মামলার প্রধান আসামি ফারদিনের বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরাকে নির্দোষ দেখিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেন।

গত ৮ জানুয়ারি এই মামলার প্রধান আসামি আমাতউল্লাহ বুশরাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। আজ তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ১৬ নভেম্বর ৫ দিনের রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন পরশ। ওই দিনই তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় জিডি করেন তার বাবা কাজী নূর উদ্দিন। নিখোঁজের তিনদিন পর ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

এ ঘটনায় পরশের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা করেন তার বাবা নূর উদ্দিন রানা।

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী আল্লেক আলীকে (৪৫) যাবজ্জীবন ও ভাসুর মনাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২৫ হাজার ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও একবছর ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম আসামি (নিহতের ভাসুর) মনার উপস্থিতিতে এ রায় দেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল্লেক আলী (পলাতক) ও মনা ভেড়ামারা উপজেলার চাঁদগ্রামের সোনা উল্লাহর ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৩০ জুন আল্লেক আলীর স্ত্রী হাফিজা খাতুন ভোরে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তার মরদেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ হাফিজা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্তে জানা যায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনার আড়াই মাস পর নিহতের মামা আসমত আলী বাদী হয়ে নিহতের স্বামীসহ ৬ জন বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু জাফর মামলাটির তদন্ত শেষে নিহতের স্বামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ এপ্রিলে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন এবং বাকি ৪ জনকে খালাস দেন।

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, স্ত্রীর হত্যার দায়ে স্বামীর ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ যাবজ্জীবন এবং ভাসুরের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

;

হজ প্যাকেজকে ‘অমানবিক’ বললেন হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ প্যাকেজকে ‘অমানবিক’ বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, যারা এই প্যাকেজ নির্ধারণের সঙ্গে জড়িত তারা গুনাহর ভাগি হবেন।

সরকার নির্ধারিত এবারের হজের খরচ কমানোর নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামানের করা রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটের পক্ষের আইনজীবী গাজী মো. মোহসিন জানান, আদালত শুনানিতে বলেছেন, হজে যাওয়ার জন্য এত খরচ বাড়ানো হয়েছে যে, যারা সাধারণ মানুষ হজে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত তারা হজে যেতে পারছেন না। এটা একটা অমানবিক হজ প্যাকেজ হয়েছে। এই প্যাকেজ নির্ধারণে সঙ্গে যারা জড়িত তারা মানুষকে হজ থেকে বঞ্চিত করার কারণে গুনাহর ভাগি হবেন।

আদালত শুনানিতে বলেন অন্যান্য দেশে হজের জন্য ফান্ড আছে। সরকারের আগেই উচিৎ ছিল একটা হজ ফান্ড ক্রিয়েট করা।

একপর্যায়ে আদালত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যারা হজ প্যাকেজের সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছেন। এবং আগামীকাল এবিষয়ে পরবর্তী শুনানির ও আদেশের দিন ধার্য করেছেন।

এবারের হজ প্যাকেজ সংশোধন করে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে এর আগে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান। পরবর্তী এবিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেন এই আইনজীবী।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। আর কোরবানি ছাড়াই এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর আগের বছরে যা ছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী এ বছর হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন নির্ধারিত হয়েছে। যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করতে যেতে পারবেন।

;

মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিচার শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত বছর আগে চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে রাস্তায় মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার (১৩ মার্চ) চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ৯ এপ্রিল মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করে আদালত।

আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের শুনানি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিতিতে ছিলেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত মহানগর পিপি প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলাটির শুনানির সময় কাঠগড়ায় বাবুল আক্তারসহ (৪৬) পাঁচ আসামি উপস্থিত ছিলেন। অন্যরা আসামিরা হলেন–এহতেশামুল হক ভোলা (৫৪), মোতালেব মিয়া ওয়াসিম (৩৩), আনোয়ার হোসেন (২৮) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)। এই মামলায় আরও দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। চার্জ গঠনের আগে আদালতে উপস্থিত আসামিদের দোষী নাকি নির্দোষ-তা জানতে চেয়েছিল আদালত।’ এ সময় আসামিরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন।

প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য আরও বলেন, একই সময় আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রামে না রেখে অন্যত্র কারাগারে রাখার বিষয়ে একটি আবেদন করেন। এ সময় নারাজি দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ বলেছেন, একাধিক মামলার আসামি ও সাক্ষী বাবুল আক্তার। বিভিন্ন মামলার ধার্য তারিখে তাঁকে অন্য কারাগার থেকে এখানে নিয়ে আসা সময়সাপেক্ষ ও ঝামেলায় পড়তে হয়।

অন্যদিকে আসামিপক্ষ বলেছেন, বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম কারাগারে নিরাপদবোধ করছেন না। পুলিশে কর্মরত থাকাবস্থায় তিনি কয়েকজনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছেন। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। পরে আদালত বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখার আদেশ দেন।

তিনি আরও বলেন, আসামিপক্ষ বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কারাগারে রাখা হলে তাকে আলাদা কোনো সেলে বা শ্রেণিতে রাখার বিষয়ে আদালতে আবেদন করেন। এছাড়া তার অসুস্থতার কথাও বলা হয়। পরে আদালত বাবুল আক্তারকে জেল কোড অনুযায়ী চিকিৎসাসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। কোনো সমস্যা হলে পরে আদালতে একটা পিটিশন দাখিল করতে বলেন আসামিপক্ষকে।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি এলাকায় মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন মাহমুদার স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘদিন ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্তের কাজ করেন।

পরে ডিবির হাত ঘুরে মামলাটি পিবিআই এর হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়। পরদিন ১২ মে বুধবার পিবিআই প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে ‘জড়িত’।

বাবুলের দায়ের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। একইদিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর বাবুল কারাগারে রয়েছেন।

২০২১ সালে ৩ নভেম্বর বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০২২ সালে ১০ অক্টোবর পিবিআই বাবুলকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।

ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের এক নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়। এ জন্য বাবুল তাঁর সোর্স মুসার মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনিদের ভাড়া করেন। তবে ঘটনার শুরু থেকে আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুসা ও খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু পলাতক রয়েছেন।

;

কুষ্টিয়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণ মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে খালাস প্রদান করেন আদালত

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার দাড়ের পাড়া এলাকার মৃত আবু তালেব মন্ডলের ছেলে সেলিম মন্ডল, জামান মন্ডলের ছেলে নকুল মন্ডল এবং আফসার মন্ডলের ছেলে আহসান মন্ডল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বরে দৌলতপুর উপজেলা দৌলতখালী এলাকায় গৃহবূধ তার স্বামীকে নিয়ে বন্ধুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে হোসেনাবাদ নিজের বাড়ি যাওয়ার পথে হোসেনাবাদগামী রাস্তার মাঝামাঝি ফাঁকা মাঠের ভিতর পাকা রাস্তায় উঠলে সাজাপ্রাপ্ত অভিযুক্তরা মোটরসাইকেলটি থামায় এরপর তাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে গৃহবধূর স্বামীকে রাস্তার পশ্চিম পাশে নিয়ে যায় এবং গাছের সাথে বেঁধে রাখে এবং গৃহবধূকে পূর্ব দিকে একটি ধঞ্চে ফসলের জমির ভিতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে ঘটনার ২২ দিনপর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোহা. শাহ দারা খান মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে চাজশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ তিনজনকে যাবজ্জীবন এবং অভিযোগের সাথে প্রমাণ না হওয়ায় তিনজনকে বেকুসুর খালাস প্রদান করেন।

;