মামলা ছাড়া র‌্যাব কাউকে গ্রেফতার করতে পারে, জানতে চায় হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কারো বিরুদ্ধে মামলা হয়নি কেবল অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব কাউকে গ্রেফতার করতে পারে কি না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও কাউকে গ্রেফতারের এখতিয়ার র‌্যাবের আছে কি না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব জানতে চেয়ে আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

শুনানিতে রিটকারি আইনজীবী র‌্যাব হেফাজতে নওগাঁর ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশনা চান। একইসঙ্গে ওই ঘটনায় মামলা না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে পদক্ষেপ চান।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় ওই নারীকে গ্রেফতারের পর অসুস্থ হলে হাসপাতালে তিনি মারা যায়। এক্ষেত্রে আগামী বুধবার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান।

সোমবার (২৭ মার্চ) বিভিন্ন গণমাধ্যমে র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট’তলব করেন হাইকোর্ট।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নওগাঁয় র‌্যাবের হেফাজতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা সুলতানা জেসমিন নামে ওই নারীকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। গত বুধবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে ওই নারীকে আটক করে র‌্যাব।

সুলতানা জেসমিন সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন। শহরের জনকল্যাণ মহল্লায় ভাড়া থাকতেন তিনি।

অস্ত্র মামলায় চার যুবকের ১০ বছর করে কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ত্র মামলায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চার যুবককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে জেলা স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক জেসমিন আরা জাহান এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বেলকুচি উপজেলার মেঘুল্লা গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৫১), একই গ্রামের আসাদুল (৩২), এনায়েতপুর থানার আজুগড়া গ্রামের দুলাল সরকার (২৬) ও বেতিল চরের জাকির হোসেন (২৬)।

রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে শাহজাদপুরের তালগাছি বাজারে করতোয়া ডিগ্রি কলেজ এলাকায় অস্ত্র কেনাবেচা
হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তল্লাশি চালিয়ে চারটি দেশিয় পাইপগান ও চারটি কারতুজের গুলি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আজ আদালত এ রায় প্রদান করেন।

;

মেয়র তাপসের বিরুদ্ধে নালিশ নিয়ে আপিল বিভাগে ব্যারিস্টার আমীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’—ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের এমন বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে এনেছেন সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।

বুধবার (২৪ মে) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে মেয়র তাপসের বক্তব্য প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের নজরে আনা হয়।

‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’–মেয়র তাপসের এমন বক্তব্য নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের একাংশ আপিল বিভাগে পড়ে শোনান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। তিনি বলেন, “মেয়র তাপস বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামানকে আমরা মনে করতাম–ওরে বাবা, কী জানি ফেরেশতা আসছে। সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান। যেসব সুশীলরা আমাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন সেসব সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেব।

গত রোববার (২১ মে) বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।”

ব্যারিস্টার আমীর বলেন, “তার এই বক্তব্যে আনফরচুনেটলি...”। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা বক্তব্য ভালো করে পড়ে দেখি। তারপর কী করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “তাপস যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা আদালত অবমাননা। তার বক্তব্যে সারা দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরা আশা করছি, আপিল বিভাগের আট বিচারপতি বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।”

;

বিজিবির ফৌজদারি মামলার এখতিয়ারের ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ফৌজদারি মামলা দায়েরের এখতিয়ারের ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। ফলে বিজিবি এখন থেকে মামলা করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বুধবার বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

তবে বিজিবির মামলা দায়েরের এখতিয়ার নিয়ে জারি করা রুল বহাল রেখেছেন আদালত।


এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

এর আগে মঙ্গলবার (২৩ মে) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক ফৌজদারি মামলা দায়েরের এখতিয়ারের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন একই বেঞ্চ।

বিজিবির দায়ের করা একটি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

একইসাথে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ১৪ জুন এই রুলের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০২২ সালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করে। বিজিবি এ ঘটনায় ওইদিনই বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(বি) ধারায় কসবার আখাউড়া রেলওয়ে থানায় মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে এ মামলার চার্জশিট দিলে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। পরে আসামি কামরুজ্জামান খান এ মামলার অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

রিটের শুনানিতে বিজিবির ফৌজদারি মামলা দায়েরের আইনগত এখতিয়ার রয়েছে কিনা এ প্রশ্ন ওঠে।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারা অনুযায়ী যে কেউ মামলা দায়ের করতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজিবিও এর বাইরে নয়।’

আদালত বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইনের কোথাও বিজিবিকে মামলা দায়েরের ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি দেখতে পাওয়া গেল না।

শুনানি শেষে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।

;

মহানবীকে কটূক্তি: সেই টিটু রায়ের ১০ বছর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
মহানবীকে কটূক্তি: সেই টিটু রায়ের ১০ বছর কারাদণ্ড

মহানবীকে কটূক্তি: সেই টিটু রায়ের ১০ বছর কারাদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর নামে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় আসামি টিটু রায়কে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আবদুল মজিদ এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত টিটু রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আসামি টিটু রায়ের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার স্ট্যাটাস দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। তার স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে রংপুরের শলেয়াশাহ ঠাঁকুরপাড়া এলাকায় হিন্দু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থান করে রংপুর জেলার গঙ্গচড়া থানাধীন হরকলি ঠাঁকুরপাড়ার মৃত খগেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে টিটু রায় ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর এমডি টিটু নামে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে মহানবী হযরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর ওই বছরের ১০ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর টিটু রায়ের শাস্তির দাবিতে শলেয়াশাহ বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে স্থানীয় জনতা। পরে কয়েক হাজার মানুষ টিটু রায়ের বাড়িসহ ঠাঁকুরপাড়ার হিন্দুপল্লীর বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া থানায় দুটি মামলা হয়।

এদিকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারি কৌঁসলি এডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার জানান, কোনভাবেই ধর্ম অবমাননা সমীচীন নয়। এটা আইন পরিপন্থী।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায় এই রায় প্রসঙ্গে আপত্তি জানিয়ে বলেন, সাইবার ট্রাইবুনালে ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই মোতাবেক ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে টিটু রায়ের মোবাইল ডিভাইস থেকে ওই ধরণের বিতর্কিত পোস্ট দেওয়ার প্রমাণ মেলেনি।

;