ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার সেই শিক্ষা কর্মকর্তার কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আজিমেল কদর

আজিমেল কদর

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ফটিকছড়ি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (বরখাস্ত) আজিমেল কদরকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৪৫ হাজার অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকেল তিনটার দিকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আব্দুল মজিদ এই দণ্ডাদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।

দণ্ডিত আজিমেল কদর ঢাকা দোহার থানার দক্ষিণ জয়পাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ উপজেলার বেড়াজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তার দুদকে আজিমেল কদরের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী শিক্ষিকার দাবি, কর্মস্থল দুর্গম এলাকায় হওয়ায় তার বাড়ির নিকটবর্তী তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটিতে বদলির আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পর বদলির জন্য তার কাছে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন শিক্ষা কর্মকর্তা। ৫ হাজার টাকা নেওয়ার পরও আরও ১০ হাজার টাকা না দিলে বদলি হবে না বলে হুমকি দেন শিক্ষিকাকে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফাঁদ পেতে ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে ওই কর্মকর্তাকে আটক করেন দুদক কর্মকর্তারা। এই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তদন্ত শেষে ২০২০ সালের নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক জাফর আহমেদ। পরবর্তীতে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, বিচার শুরুর পর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বিচারিক কার্যক্রম শেষে বৃহস্পতিবার এই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় দেড় বছর কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও ১ মাসের জেল। এবং ১৯৪৭ সনের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় ১ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। দণ্ডের অর্থ অনাদায়ে আরও ১ মাস কারাদণ্ড দেন আদালত। দুটো সাজা পৃথকভাবে কার্যকর হবে। অর্থাৎ তাকে আড়াই বছর কারাদণ্ড ও ৪৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আপিলের কথা জানিয়ে জামিন আবেদন করেন তিনি। তবে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দণ্ডিত আজিমেল কদর দুদকের হাতে আটকের পর তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ওই মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষামন্ত্রণালয়। অব্যাহতির পরপরই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। একই সাথে কেন বহিষ্কার করা হবে না মর্মে অভিযোগকারী শিক্ষিকা তাসলিমাকে শোকজ করা হয়। এরপর দুদকের কাছে আইনি সুরক্ষা চেয়ে চিঠি দেন তিনি।

   

পরিবেশরক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টের রুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনের কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৭ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরিবেশ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে ৫ মে রিট দায়ের করা হয়। জনস্বার্থে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) এ রিট দায়ের করে।

তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিটটি দায়ের করা হয়।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার তা দিন দিন কমছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যার কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারা দেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে যা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

;

অর্থপাচার মামলায় ফরিদপুরের পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কমিশনার গোলাম মো. নাসিরকে জামিন দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কমিশনার গোলাম মো. নাসিরকে জামিন ও ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই মামলায় সম্প্রতি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।

দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।

২০২১ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। গত বছর ১ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু সেদিন মামলাটিতে কিছু অসংগতি দেখতে পাওয়ায় আদালত সুয়ো মোটো (স্বপ্রণোদিত) ভাবে সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

 সেই নির্দেশনা মেনে নতুন করে আরও ৩৬ জনকে আসামি করে মোট ৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। রুবেল-বরকত ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, তার এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জী, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।

সম্পূরক চার্জশিটের নতুন আসামিরা হলেন, নিশান মাহমুদ ওরফে শামীম, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. সিদ্দিকুর রহমান ওরফে সিদ্দিক, মো. সাইফুল ইসলাম জীবন, অ্যাডভোকেট অনিমেশ রায়, শামসুল আলম চৌধুরী, দীপক কুমার মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী, সত্যজিৎ মুখার্জি, মো. শহীদুল ইসলাম ওরফে মজনু, ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, গোলাম মো. নাছিম, মো. জামাল আহমেদ ওরফে জামাল, বেলায়েত হোসেন মোল্লা, মো. আফজাল হোসেন খান ওরফে শিপলু, অমিতাব বোস, চৌধুরী মো. হাসান, মো. জাফর ইকবাল ওরফে হারুন মন্ডল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ পুনুম, সাহেব সারোয়ার, আমজাদ হোসেন বাবু, স্বপন কুমার পাল, অ্যাডভোকেট জাহিদ ব্যাপারী, খলিফা জামাল, হাফিজুল হোসেন তপন, রিয়াজ আহমেদ শান্ত, আনোয়ার হোসেন আবু ফকির, মো. মনিরুজ্জামান মামুন, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, মো. আব্দুল জলিল শেখ, মো. রফিক মন্ডল, খন্দকার শাহীন আহমেদ ওরফে পান শাহীন, আফজাল হোসেন খান ও সাংবাদিক মোহাম্মাদ আরিফুর রহমান ওরফে দোলন।

;

মনজিল হত্যা মামলা: সৎ মা-ভাইসহ ৬ জনের যুক্তিতর্ক অব্যাহত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে ও লেভেল পড়ুয়া একেএম মনজিল হক হত্যা মামলায় সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি ও ভাই একেএম ইয়াসিন হকসহ ৬ জনের পক্ষে যুক্তিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত আসামিদের যুক্তিতর্ক রেকর্ড করেন।

আসামিদের আইনজীবী রেজাউল করিম যুক্তিতর্ক উত্থাপন করেন, তবে এদিন তা শেষ না হওয়ায় আগামী ৪ জুন পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। ওইদিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে দাবি করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করেন।

সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেন।

এ নিয়ে মামলাটিতে ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন, মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া, রবিউল ইসলাম সিয়াম ও সিমান্ত হোসেন তাকবীর । মাহফুজুল ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আসামিদের মধ্যে ইয়াসিন ও সিয়াম কারাগারে। সিমান্ত হোসেন তাকবীর জামিনের। অপর তিন আসামি শুরু থেকে পলাতক রয়েছে।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানী বাড্ডার আফতাবনগরে নিজ ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন ও লেভেল পড়ুয়া মনজিল হক (২৮)। হত্যাকাণ্ডের পর চাচা ফারুক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে মামলা করেন।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে সম্পত্তির লোভে মনজিলকে সৎ মা লায়লা ইয়াসমিন লিপি, সৎ মামা আবু ইউসুফ নয়ন ও সৎ ভাই একেএম ইয়াসিন হক (২৫) ও মামলার বাদী চাচা ফারুক মিয়া (৫৮) হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।

২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শামসুদ্দিন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ফারুক ও নিহত মনজিলের বাবা আপন বড় ভাই। তারা একই সঙ্গে গার্মেন্টসের ব্যবসা করতেন। শান্তিনগর বাজারের পিছনে মনার ছেলে মনজিল এবং ইয়াসিন ও ফারুকের ছেলে নিজেদের যৌথ নামে একটি ফ্ল্যাট ছিল। কিন্তু মনা ওই ফ্ল্যাটটি তার ছেলেদের দিয়ে দলিল করিয়ে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে নিহতের বাবার সঙ্গে ফারুকের দ্বন্দ্ব ছিল। নিহতের বাবার মারা যাওয়ার পর সেই ক্ষোভ মনজিলের ওপর ছিল। ওই ক্ষোভ থেকেই মনজিলকে হত্যার পরিকল্পনায় ভাতিজা ইয়াসিনের সঙ্গে চাচা ফারুক যোগ দেয়।

;

বিচারকের স্বাক্ষর জাল

দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল হয়নি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে মোটরযান ফেরত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ৯ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৭ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।

আসামিরা হলেন- মোটরযান শাখার ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর ফুয়াদ উদ্দিন এবং কনস্টেবল আবু মুছা।

২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১০ এর বেঞ্চ সহকারি ইমরান হোসেন কোতয়ালী থানায় এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ১০ নং আদালতের পাশাপাশি মোটরযান সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর আড়াইটার দিকে মোটরযান শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন অন্যান্য নথির সঙ্গে নন এফআইআর দুটি মামলা বিচারকের কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আসামি না থাকায় বিচারক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

পরবর্তীতে বিচারক জানতে পারেন, মামলা দুটির জব্দকৃত আলামত মোটরযান শাখার ইনচার্জ ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে পরোয়ানা ফেরত কাগজে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের জায়গায় নিজেরা স্বাক্ষর প্রদান করে মোটরযান আসামিদের দিয়ে দেয়।

মামলায় আরও বলা হয়, মোটরযান শাখার ইনচার্জ এসআই ফুয়াদ উদ্দিন ও জিআরও আবু মুছা তাদের অন্যান্য সহযোগীদের যোগসাজসে দীর্ঘ দিন ধরে বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে একই ধরনের অপরাধ করে আসছেন।

;