স্কুল শিক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় যুবকের ডাবল যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বি এ এফ শাহীন স্কুলের শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় মাহমুদ সোহেল নামে এক যুবককের ডাবল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে অপহরণ এবং ধর্ষণের পৃথক দুই ধারায় আলাদা আলাদাভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। যাবজ্জীবনের পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে তাকে আর ৩ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামির উপস্থিতে রায় ঘোষণা করা হয়। রায় শেষে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলা থেকে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী বি এ এফ শাহীন স্কুলে পড়াশোনা করতো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে সোহেল তাকে ভয়ভীতি ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর ওই ছাত্রী স্কুলে ভ্যানে করে যায়। তবে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে স্কুল শেষ হওয়ার আগেই বের হয়ে যায়। ওই শিক্ষার্থী বাসায় না ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তারা জানতে পারেন, সোহেল তাকে বিরক্ত করতো। সোহেলের পরিবারকে বিষয়টি জানান তারা। সোহেল ওই শিক্ষার্থীর বাবাকে জানায়, ওই শিক্ষার্থী তার সাথে রয়েছে।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা ১৮ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর সোহেলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার সাব-ইন্সপেক্টর মুনসী শহিদুল ইসলাম। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

   

চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পেলেন আমান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমানকে বিদেশ যেতে অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, চিকিৎসা শেষে এক মাসের মধ্যে দেশে ফিরে সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানাতে হবে, যে তিনি ফিরেছেন। সেটি আগামী ১০ জুনের মধ্যে হতে হবে।

ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট মো. আক্তারুজ্জামান আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন।

গত মার্চে হঠাৎ বুকে ব্যথা হলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন আমান। সেখানে চিকিৎসা শেষে পরদিন তাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তিনি।

গত ২০ মার্চ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আমানকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়েছিল। ২৪ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি।

;

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৯ জুলাই



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৯ জুলাই

রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ৯ জুলাই

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৯ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন করে এই তারিখ ঠিক করেন।

২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা এ মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

;

আশ্রমে আরও ৪৫টা বাচ্চা আছে, ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে: আদালতে মিল্টন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে আরও ৪৫টা বাচ্চা রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার আদালতকে বললেন, সেই বাচ্চাগুলো ডিবিকে নিয়ে যেতে বলেন।

রোববার (৫ মে) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালতে মিরপুর মডেল থানায় করা মানব পাচার আইনের মামলায় রিমান্ড শুনানিতে একথা বলেন মিল্টন।

মিল্টন সমাদ্দারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শিকদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, যার কেউ নাই, অনাথ, অর্ধঅঙ্গ, ক্ষুধার্ত মানবতার ফেরিওয়ালা সেজে আশ্রয় দেন মিল্টন সমাদ্দার। ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাকিব নামে এক ব্যক্তি এক শিশুকে নিয়ে আসেন। পরে মিল্টন তাকে রিসিভ করেন। ২০২০, ২১, ২২, ২৩ সালেও ডিবি ছিলো। বরিশালের ভাষায় একটা কথা আছে, শাপে কামড় দিলে, পিঁপড়া, উল্লার বিষও জমা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, রাকিবকে ডিবির প্রভাব খাটিয়ে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি কিন্তু রাকিবের কাছে বাচ্চাকে আনতে যাইনি। বরং রাকিবই আমার কাছে এসেছে বাচ্চাটাকে নিয়ে। খাওয়া, পড়া, চিকিৎসা, মানবিক সাহায্য যা করার করেছি। তখন তিনি কোথায় ছিলেন। বাংলাদেশে আরেকজন মাদার তেরেসা হলে তিনি হতেন মিল্টন সমাদ্দার।

যে বাচ্চাকে নিয়ে মামলা করা হয়েছে সেই বাচ্চা আশ্রমের বাবুর্চির কাছে বড় হচ্ছে বলে জানান এ আইনজীবী। কিন্তু তিন বছর ৭ মাস পর মিডিয়ার ঝলকে মামলা। বউয়ের দোষ ধরা হলে পায়ে পায়ে ধরা যায়। মিল্টন এখন সেই পর্যায়ে গেছে।

এসময় বিচারকে উদ্দেশ করে কাঠগড়ায় থাকা মিল্টন বলেন, আরও ৪৫টা বাচ্চা আছে। ডিবিকে বলেন নিয়ে যেতে।

গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

পরিবেশ রক্ষায় গাছকাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৫ মে) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, এডভোকেট মো, এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও এডভোকেট রিপন বাড়ৈই জনস্বার্থে হাইকোর্টে এই রিটটি করেছেন।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে রিটটি শুনানি হতে পারে বলে জানান রিটের পক্ষে আইনজীবী সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকা শহরে যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে এবং সম্প্রতিকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। ফলে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।

অন্যদিকে সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারাদেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে- যা বন্ধ না হলে দেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

;