ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্স।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

তার জামিন চেয়ে শুনানি করে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেসমিন আক্তার জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী ওই নারীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সাথে তার বিয়ের কথা হয়। ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন বাদীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলে। সেখানে তার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত থেকে কাজীর মাধ্যমে বিবাহ হবে বলে জানায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাদী ওইদিন সন্ধ্যা ৭ টায় তার আত্নীয়-স্বজনসহ রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে না পেয়ে প্রশ্ন করলে আসামি জানায়, কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। বাদী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে সোহেল বাদীকে খুন করার ভয় দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে।

২০২২ সালের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দিন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ওই নারী। আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।

গত ২৫ জুলাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বর্তমানে বরখাস্ত আছেন। তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন।

   

বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বংশাল থানার নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৫ নেতাকর্মীকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সোহেল, রাজু, হাজী সিরাজ, মামুন, রনি, মঈন, হাজী মো. মাছুম, গলাকাটা আজিম, ওমর ফারুক, রাজিয়া আলম ওরফে রাজিয়া সুলতানা প্রমুখ।

আদালতের বেঞ্চ সহকারি ইমরান হোসেন সাজার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আসামিরা বংশাল থানাধীন ১০৩ নং এনসিসি রোডের সামনে মিছিল বের করে। তারা গাড়ি ভাঙচুর, দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় বংশাল থানার সাব-ইন্সপেক্টর আজাহার হোসেন মামলা দায়ের করেন।

;

গাছ লাগিয়ে ও অসহায়দের খাইয়ে মামলা থেকে খালাস



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গাছ লাগিয়ে ও অসহায়দের খাইয়ে মামলা থেকে খালাস

গাছ লাগিয়ে ও অসহায়দের খাইয়ে মামলা থেকে খালাস

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ টি গাছের চারা লাগিয়ে ও অসহায় লোকদের খাইয়ে মাদক মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সেন্টু নামের এক আসামি।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত মামলার আপিল নিষ্পত্তি করে খালাসের এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান খালাসের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ২০০৭ সালের ১১ মার্চ রাত ১২ টা ৩৫ মিনিটের দিকে আদাবর থানাধীন নবোদয় হাউজিং সোসাইটি এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় হেলেদুলে গাড়ি চালানোর অভিযোগে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় আদাবর থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক শ্রী রামকুমার দাস মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই থানার সাব-ইন্সপেক্টর রাজা মিঞা ১৪ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৭ জন সাক্ষীর মধ্যে তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি ঢাকার তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তসরুজ্জামান আসামিদের এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। পরে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

আপিল আদালত তাকে ২০টি গাছের চারা রোপণ, অসহায় লোকদের খাওয়ানোর মৌখিক আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সেন্টু তা প্রতিপালন করেন। এ সংক্রান্ত কিছু ছবি তিনি আদালতে দাখিলও করেন। পরে আদালত আপিল নিষ্পত্তি করে তাকে খালাসের আদেশ দেন।

;

ফালুর দুর্নীতি মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফালুর দুর্নীতি মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ

ফালুর দুর্নীতি মামলায় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের উপ-পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) রাহিমা খাতুনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে তিনি সাক্ষ্য প্রদান করেন।

মোসাদ্দেক আলী ফালু পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো জেরা হয়নি। আগামী ২৪ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

২০০৭ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় তার স্ত্রী মাহবুবা সুলতানাও আসামি ছিল। মামলাটিতে পরের বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর ফালু ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। যার কারণে দীর্ঘদিন মামলার বিচারকাজ বন্ধ থাকে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ফালুর মামলা খাজির করে দেন এবং স্ত্রীর মামলা গ্রহণ করে অব্যাহতির আদেশ দেন।

ফলে ২০১৮ সালের ২৭ আগস্ট মামলাটিতে ফালু পলাতক থাকা অবস্থায় চার্জ গঠন করেন আদালত।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬৬ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ১০ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার ৫১৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।

 

;

সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ পেছাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের বৈধতা প্রশ্নে রিটের ওপর আদেশ একদিন পিছিয়ে আগামীকাল সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রিটকারী আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

আবেদনকারী আইনজীবী জানান, আগামী সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় আদেশের জন্য দিন রেখেছেন। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১০ ডিসেম্বর দিন রেখেছিলেন।

বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়।প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে।

তাছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে।

এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে আগামী ৭ জানুয়ারি তারিখ রেখে গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

;