নদী দখল: সচিব, মহাপরিচালক, ডিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উচ্ছেদের কয়েক মাসের মধ্যে আবারও বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট এলাকায় তীর দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান, ৫ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের ডিসিসহ ১৫ জন সরকারি কর্মকর্তাকে আদালত অবমাননার নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এস হাসানুল বান্না ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।

নোটিশে আদালতের সকল আদেশ বাস্তবায়ন করে বাকঁখালী নদীটিকে দখল ও দূষণমুক্ত নদী ও নদী সংলগ্ন স্থানে নির্মিত ও নির্মিতব্য সকল স্থাপনা উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সাথে এ নদী সংলগ্ন প্যারাবন সংরক্ষণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। সাথে ক্ষতিগ্রস্ত ফেরাবন ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সকল দখলদারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপ ১৯ নভেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে নোটিশকারী আইনজীবীকে অবহিত করার অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় নোটিশ প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ অবমাননার অভিযোগে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

যাদেরকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তারা হলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার আহমেদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.ফারহিনা আহমেদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.নাহিদ রশিদ, স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.আব্দুল হামিদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এসএম শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান, কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হিল্লোল বিশ্বাস, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী।

বেলার পক্ষ থেকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, বাকখালী নদীটি রক্ষায় বিদ্যমান সকল দখলদার ও স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক রিট মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি কক্সবাজার পৌরসভাকে বাকঁখালী নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করতে নির্দেশনা দেন। আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও বিবাদীগণ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাকখালী নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে সঠিকভাবেই তদারকির মাধ্যমে নদীতে পুনরায় দখল প্রতিহত করে নদীকে দখলমুক্ত করতে এবং নদী সংলগ্ন প্যারাবন সুরক্ষা করতে যা দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর চরম অবজ্ঞা ও উদাসীনতার পরিচায়ক এবং আদালত অবমাননার শামিল।

আদালত অবমাননার নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সমকালকে বলেন, বাঁকখালী নদী দখলের এই দৃশ্য আমার কাছে অত্যন্ত বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এদেশে নদী রক্ষার যে আইনগুলো আছে, প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, উচ্চ আদালতের যে রায়গুলো আছে সেগুলো একেবারে অর্থহীন করে ফেলা হয়েছে। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে নদী হলো জীবন্ত সত্তা। মানুষকে হত্যা করলে যেমন শাস্তি হয়, সেরকম নদীকে হত্যা করলেও শাস্তি হবে।'

   

গাছ লাগানো-কাটা বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাছ লাগানো ও কাটার ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা তৈরি না করা এবং তাবদাহ ও তাপপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ মে) এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিয়ে আদালতে শুনানি করেন এডভোকেট তানভীর আহমেদ।

এডভোকেট তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কুষ্টিয়া জেলা এলাকায় সামাজিক বনায়নের আওতায় কয়েক হাজার গাছ কাটা এবং তাপদাহ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিটটি আনা হয়। গাছ লাগানো ও কাটা নিয়ে পরিবেশবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় রিটটি দায়ের করা হয়।

এই আইনজীবী বলেন, কুষ্টিয়ায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ বছর আগে কয়েক হাজার গাছ লাগানো হয়। সেই গাছগুলোর মধ্যে গত বছর ১০ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়। সম্প্রতি আরও ৩ হাজার গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের নজরে আসে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে গাছ লাগানো ও কাটা নিয়ে কোনরূপ নীতিমালা নেই। এ বিষয়ে ফিনল্যান্ডের উদাহরণ টেনে আইনজীবী বলেন, সেখানে একটি গাছ কাটা হলে তিনটি গাছ লাগানোর নিয়ম রয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদফতরের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে রেসপনডেন্ট (বিবাদী) করা হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনে উপনির্বাচন স্থগিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনে উপনির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৬ মে) বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনে আগামী ৫ জুন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আপাতত এই আসনে নির্বাচন হচ্ছে না।

এর আগে, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়।পরে উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মো. নায়েব আলী জোয়ারদার‌। তিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

;

মেনশন নয়, সিরিয়াল অনুযায়ী মামলার শুনানি: প্রধান বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুনানি আপগ্রেডেশনের কোন মেনশন নেওয়া হবে না। আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে মামলার সিরিয়াল অনুযায়ী শুনানি করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এছাড়া সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, এমনটা প্রত্যাশা করেন তিনি।

সোমবার (৬ মে) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শতাধিক আইনজীবী মেনশন করে তাদের মামলা আপগ্রেডেশন করার জন্য আবেদন জানাতে থাকলে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

এদিন অন্যান্য দিনের মতো প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ মামলার কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় শতাধিক আইনজীবী তাদের মামলার শুনানি আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন জানাতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি মামলা আপগ্রেডেশন করার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীর মতামত জানতে চান। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ১ হাজার ৮০০ এর বেশি মামলা আপগ্রেডেশনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটা পাগলামি না?

তখন সিনিয়র আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ ছোট ছোট মামলায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে চলে আসে। এগুলো যদি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স হতো তাহলে আপিলে এতো মামলা হতো না।

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, উনি যে মামলাগুলোর কথা বলছেন তার বেশিরভাগই হেরোইনসহ মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত মামলা। এ কারণে আমাদের আপিলে আসতে হয়।

এ পর্যায়ে সিনিয়র আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, সিনিয়র আইনজীবীরা বিচার বিভাগের স্বার্থে কথা বলবেন, এমনটা আশা করি। পাশাপাশি আগামী সপ্তাহ থেকে আপিল বিভাগে সিরিয়াল অনুযায়ী মামলা শুনানি করা হবে, কোনও মেনশন নেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

;

টাঙ্গাইলের শাড়ি নিয়ে ভারতে আইনি লড়াইয়ে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের শাড়ির জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক স্বত্ব বাংলাদেশের রাখার জন্য আইনি লড়াই করতে ভারতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে সরকার।

সোমবার (৬ মে) শতাধিক জিআই পণ্যের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিয়ে এ তথ্য জানায় শিল্প মন্ত্রণালয়। তালিকায় সারাদেশের প্রায় ১৫০ টি পণ্যের উল্লেখ করা হয়।

এর আগে, ভৌগোলিক শনাক্তকরণ (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধনের উপযোগী পণ্যের পৃথক দুটি তালিকা প্রস্তুত করে ১৯ মার্চের মধ্যে আদালতে জমা দিতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তালিকা প্রণয়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

;