কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতাসহ রিমান্ডে ২
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর চর থেকে ৯ টুকরা মরদেহ উদ্ধার হওয়া মিলন হোসেন (২৭) হত্যা মামলার আসামি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সজীব শেখসহ দুই আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এ আদেশ দেন।
এদিকে গত দুই দিনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত নতুন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে ব্যাপক অভিযান চালানো হচ্ছে।
এর আগে গত রোববার বেলা সাড়ে তিনটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গ্রেফতার ছয়জনের মধ্যে চারজন সদর আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। বাকি দুজনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ। আজ ওই আবেদনের শুনানি হয়।
তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া দুই আসামি হলেন, শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও জেলা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহসভাপতি সজীব শেখ (২৪) ও শহরের হাউজিং সি ব্লকের ইফতি খান।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া অন্য চারজন হলেন, কুমারগাড়া এলাকার ফয়সাল আহমেদ (২৫), দেশওয়ালীপাড়ার কাজী লিংকন (৩২), সদর উপজেলার কান্তিনগর গ্রামের জনি প্রামাণিক (২১), হাউজিং ডি ব্লকের সজল ইসলাম (১৮)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাজু মহন সাহা বলেন, ছয়জন আসামি কারাগারে আছেন। সজীব ও ইফতিকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। বুধবার তাদের কারাগার থেকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
সদর আদালতের জিআরও এসআই ইস্কান্দার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সজিব ও ইফতি ব্যতীত বাকি চারজন আদালতে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।’
গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পদ্মা নদীর চরে অভিযান চালিয়ে মিলনের মরদেহের টুকরাগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। মিলন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্স সরদারের ছেলে। স্ত্রী মিমি খাতুনকে নিয়ে তিনি শহরের হাউজিং এলাকার ই ব্লকে ভাড়া থাকতেন। টেক্সটাইল প্রকৌশলে পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইনে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতেন। গত বুধবার সকালে সজল নামের এক যুবকের ফোনে বাসা থেকে বের হয়ে তিনি আর ফেরেননি। ওই দিন রাত নয়টায় মিলনের স্ত্রী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে লাশ উদ্ধার হলে শনিবার রাতে নিহত মিলনের মা শেফালি খাতুন বাদী হয়ে কারও নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা করেন।