বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অতিথিরা / ছবি: বার্তা২৪

আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অতিথিরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নবনির্বাচিত সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যেদিন দেশে ফিরে এসেছিলেন সেদিন সবার মনে হয়েছিল বিজয় পূর্ণতা পেয়েছে, তারপর ৪ নভেম্বর জাতিকে সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তিনি ইতোমধ্যে ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা নিয়েছেন, এটি তার দূরদর্শী চিন্তা ভাবনা। আমাদেরকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় থাকব এবং অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে কমর্রত রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটরদের পদত্যাগের অনুরোধ জানাব। একইসঙ্গে ওই সকল শূন্যপদে নতুনদের নিয়োগ দিতে পারি। এসব নিয়োগে যারা ত্যাগী তাদের সুযোগ দেওয়া হবে। কোনো হাইব্রিডকে সুযোগ দেওয়া হবে না।’

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘সামনে কঠিন সময় আসছে। এ সময়েও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। ঐক্যের নামে ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব, সুব্রত চৌধুরী স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। আমরা চাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি থাকবে এবং বিরোধী দলেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নেতৃত্ব দেবে। ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলামের কেন্দ্রহীন, নেতৃত্বহীন জোট গঠন করে ভোটের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছিলেন কিন্ত এতে তারা সফল হতে পারেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশকে শান্তির সুবাতাসে পরিণত করেছিল অথচ আরেকজন বিরোধীদলীয় নেত্রী পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে সারাদেশকে বার্ণ ইউনিটে পরিণত করেছিল। তাই এ নির্বাচনেও সামগ্রিকভাবে ৭০ সালের নির্বাচনের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/13/1547396801907.jpg

রেজাউল করিম বলেন, ‘১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা পেত না, তেমনি বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার পর তার কন্যা দেশে না ফিরলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেত না। তাই দেশ গঠনে এবারের নির্বাচনে ঘোষিত ইশতেহার অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স' অনুসরণ করা হবে।’

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণেই মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ পুনর্গঠনের দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আর তখন থেকেই এ দেশে শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। দেশ স্বাধীনের পরেও যা এখনো অব্যাহত আছে। এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে। আমি বিশ্বাস করি মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে ভেজা বাংলার মাটিতে আর কখনো জাতীয় সংসদে স্বাধীনতাবিরোধীরা স্থান পাবে না।’

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে রাজাকার-আল শামছরা এ দেশে ক্ষমতায় এসেছিল, যাদের জিয়াউর রহমান রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। অথচ পৃথিবীর কোনো দেশেই পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি।’

সভার শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির চারজন সদস্য বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসভায় স্থান পাওয়ায় তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সংগঠনের সদস্য সচিব শেখ ফজলে নূর তাপসের সঞ্চালনায় এবং সংগঠনের আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ।

   

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার অপর এক আসামি ময়নুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০মে) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১ বছর বয়সী ওই নারীর নাম সিমা খাতুন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পারবর্তীপুর খোকন মোল্লার স্ত্রী।

আদালত এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ছয় বোতল ফেন্সিডিলসহ সিমা খাতুনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (২০ মে) এই আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে, তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রায়ের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

তিনি জানান, ‘দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিমা নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর একজনকে খালাস দিয়েছেন।

;

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৫ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দণ্ডিত আসামি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক ই-৩ এর রোহিঙ্গা হাবিব উল্লাহ ও হাছিনা বেগমের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (২৮)। দণ্ডিত আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম এবং আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-৪ মামলাটি পরিচালনা করেন।

;

নড়াইলে ২ মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলে মাদক কারবারি লিন্টু মিয়া (৩৬) ও নাজমুল হুদা (৪৪) কে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মাদ সাইফুল আলম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার যশোমন্তপুর গ্রামের মোশারফ মাস্টার ছেলে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত নজমুল হুদা একই উপজেলার উথালী গ্রামের তুরফান ফকিরের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ দুই মাদক কারবারিকে পুলিশ আটক করে। এ সময় লিন্টু মিয়ার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশিকালে তিন কেজি ওজনের তরল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে লিন্টু মিয়া ও নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর

পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর টিএসসিতে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনার দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

সোমবার (২০ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। বিচারক আগামী ১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। ওই ঘটনায় ভিকটিমদের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক একমাত্র আসামি কামালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার ওই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলাটিতে ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামি কামাল জামিনে আছেন।

;