হাইকোর্টে ৭০১ মৃত্যুদণ্ডাদেশের মামলা বিচারাধীন



মিজানুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হাইকোর্ট ভবন/ ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট ভবন/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইকোর্টে আগের দশ বছরে তুলনামূলক কম ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তির জন্য দায়ের করা হলেও বিগত চার বছরে এ বিষয়ক রেকর্ড পরিমাণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে হাইকোর্টে ৭০১টি ডেথ রেফারেন্স মামলা বিচারিধীন রয়েছে।

মামলার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এ সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য হাইকোর্টে একটি বেঞ্চ বৃদ্ধি করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এর আগে ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানির জন্য হাইকোর্টে দুইটি বেঞ্চ নির্ধারিত ছিল।

সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ডেথ রেফারেন্স মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট বিভাগে একটি বেঞ্চ বৃদ্ধি করেছেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়া প্রত্যেক বৃহস্পতিবার পুরনো ফৌজদারী বিবিধ মামলা নিষ্পত্তি করতে কয়েকটি বেঞ্চকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

মানবাধিকারকর্মী অ্যাড. সুলতানা কামাল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঢালাওভাবে মৃত্যদণ্ড দেওয়া মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলেই মনে করি। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকারকর্মীরা আন্দোলন করে আসছেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশ মাথায় নিয়ে কারাভোগের পর একজন আসামি খালাস পাওয়ার পর সে যে মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করেছে এ দায় কার?’

গত চার বছরে বেড়েছে ডেথ রেফারেন্স মামলা

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ডেথ রেফারেন্স শাখার তথ্যানুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বিচারিক আদালত থেকে উচ্চ আদালতে মোট ডেথ রেফারেন্স মামলা দায়ের করা হয়েছে ৪৪১টি।

অন্যদিকে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে ৬০০টি। প্রায় দেড়গুণ মামলা বেশি দায়ের করা হয়েছে এই চার বছরে। এছাড়া চলতি বছরে ৮৩টি ডেথ রেফারেন্স মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে, যা গত চার বছরে সর্বোচ্চ।

‘ঢালাও মৃত্যুদণ্ডে বহির্বিশ্বে দেশের মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঢালাও মৃত্যুদণ্ডাদেশের কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মানবাধিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মৃত্যুদণ্ড রদ করা হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে উচ্চহারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হচ্ছে। জঘন্যতম অপরাধের সাজা মৃত্যুদণ্ড হলেও এক মামলায় ১০/১২ জনকেও একই সাজা (ফাঁসি) দেওয়া হচ্ছে।’

এই আইনজীবী জানান, নিম্ন আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়ার পর এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে আসে। মামলাজটের কারণে ডেথ রেফারেন্সের মামলা পুনর্বিবেচনার লোকবলের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বিজ্ঞ বিচারপতির অভাব ছাড়াও ফৌজদারী অপরাধের বিচার করতে অনেক বিচারপতির অনীহাও দেখা যায়।

বিচারিক আদালতকে সতর্ক করার পরামর্শ

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘মিথ্যা সাক্ষ্যে অনেক রায় দেওয়ার নজির আমাদের দেশে রয়েছে, যেসব রায় পরবর্তীতে হাইকোর্টে এসে বদলে যায়। ঢালাও মৃত্যুদণ্ডের রায় হ্রাস করার জন্য আদালতগুলোতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও ফৌজদারী অপরাধ বিষয়ে বিজ্ঞ বিচারক নিয়োগ করতে হবে।’

ডেথ রেফারেন্স শাখার তথ্যানুযায়ী, ২০০৪ সালে দায়েরকৃত ডেথ রেফারেন্স মামলার পরিমাণ ছিল ১৭৪টি। ২০০৫ সালে সর্বোচ্চ ১৭৫টি মামলা দায়ের করা হয়। এর পরের বছরগুলোতে কমতে থাকে এই মামলার সংখ্যা ২০০৬ সালে ১১২টি, ২০০৭ সালে ১০২টি, ২০০৮সালে ১৩৭টি, ২০০৯ সালে ৮৩টি, ২০১০ সালে ৭৬টি, ২০১১ সালে ৬৭টি, ২০১২ সালে ৬০টি, ২০১৩ সালে ৬৩টি এবং ২০১৪ সালে ৯২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘জাতিসংঘের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) সুপারিশে মৃত্যুদণ্ড রহিত করার কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পেলেও উচ্চ আদালতে গিয়ে অনেকে খালাস পাচ্ছেন বা সাজা কমে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কারাগার থেকে তথ্য নিয়ে দেখেছি, ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৩৫টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার অনেক কম, সেহেতু মৃত্যুদণ্ড রহিত করতে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছি। এছাড়া আমি মনে করি বিচারিক আদালত ও বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হলে ধাপে ধাপে মৃত্যুদণ্ডের পরিমাণ কমে আসবে।’

   

এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। একই সঙ্গে বাজারজাতকারী একমি'র তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার প্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

আজ সকালে আদালতে উপস্থিত হয়ে দোষ স্বীকার করে জামিন চান একমির কর্ণধার তানভীর সিনহা। এসময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই কারণ তারা জানতেন না, এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

;

সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। ১৯ মে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

;

হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ২১ বছর আগের হাবিলদার সুরুজ আলী হত্যা মামলায় ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আসামিরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম ও আব্দুল হক ওরফে আব্দুল্লাহ।

আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। যা অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আনোয়ার হোসেন ও বোরহান উদ্দিন ওরফে জিন্নাতুল আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। আসামি আব্দুল হক আব্দুল্লাহ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

২০০৩ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানাধীন খিলবাড়ির টেক ছিকুর প্রজেক্টের দক্ষিণপাশের পুকুরে কচুরি পানার মধ্যে পাটের বস্তা থেকে হাবিলদার সুরুজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রাজধানীর বাড্ডা থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবু বকর মাতুবর বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের নামে এ মামলা করেন।

২০০৬ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের পর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

;

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল আবারও পিছিয়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারও পিছিয়েছে। ১০৮ বারের মতো পিছিয়ে আগামী ৩০ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।

শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের জিআর শাখার কর্মকর্তা মাসুদ এ তথ্য জানান।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আট জনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।

;