দুর্নীতি বন্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে বললেন হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হাইকোর্ট/ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতি দেশের সুশাসন ও উন্নয়নের অন্তরায় বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, দুর্নীতি বন্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটের শুনানিতে আদালত আরও বলেন, গণমাধ্যমে যেভাবে দুর্নীতির খবর বের হচ্ছে, তা বিস্ময়কর।

আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দেখা যাচ্ছে অনেক সরকারি কর্মকর্তা অঢেল সম্পদের মালিক হচ্ছেন, যা বাঞ্ছনীয় নয় উল্লেখ্য করে হাইকোর্ট বলেন, যেকোনো উপায়ে দুর্নীতি-অর্থপাচার বন্ধ করতে হবে।

আদালত আরও বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়; সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষে আইনজীবী ফজলুল হক শুনানি করেন।

এর আগে, সোমবার দুর্নীতিরোধে সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব আইন অনুযায়ী দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস হাইকোর্টের কনসারন শাখায় এই রিট দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদকের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করা হয়।

আদেশ জালিয়াতি: ঢাকার সিএমএম আদালতের বেঞ্চ সহকারী রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিচারকের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৯ নম্বর আদালতের বেঞ্চ সহকারী জনির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক সুমন চন্দ্র সরকার জনিকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

বুধবার (০৩ জুলাই) আদেশ জালিয়াতির ঘটনার প্রকাশের পর বিকেল ৪টার দিকে এজলাস চলাকালীন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার মোজাম্মেল হক জনিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির মো. রেজুয়ান খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকাল ৪টার দিকে এজলাস চলাকালীন তাকে আটকের নির্দেশ দেন বিচারক। পরে এ বিষয়ে মামলা হলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় একই আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. নূরে আলম বাদী হয়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।

;

কর কমিশনার এনামুল হকের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক/ছবি: সংগৃহীত

কর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সিলেটের কর কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের ৯ তলা ভবন, ৬টি ফ্ল্যাট ও ৭১ শতাংশ স্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে ঢাকা ও গাজীপুরে ৭১ শতাংশ জমি এবং ঢাকার গুলশানে ৩ কাঠা জামির উপর নয়তলা ভবন, ঢাকার মোহাম্মাদপুর ৪টি, গুলশানে ১টি এবং বাড্ডায় একটি করে ফ্ল্যাট।

দুদকের পক্ষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক ফারজানা ইয়াসমিন আদালতে এ আবেদন করেন।

আইনজীবী প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল দুদকের পক্ষে শুনানি করেন।

ক্রোকের আবেদনে বলা হয়, আসামি মোহাম্মদ এনামুল হক, কমিশনার, বাপামস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট কর্তৃক ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকার আত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অপরাধে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭/১১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

তদন্তকালে জানা যায় যে, আসামি তার মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পতি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে অত্র মামলার ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞ আদালতে চার্জশীট দাখিল, বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় হতে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সকল উদ্দেশ্যই বার্থ হবে।

তাই, অত্র মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশীট দাখিলের পর বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে নিম্নে বর্ণিত স্থাবর সম্পত্তিসমূহ ক্রোক করা একান্ত প্রয়োজন।

এনামুল হকের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

;

ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মুশতাক-ফাওজিয়া



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মুশতাক-ফাওজিয়া

মুশতাক-ফাওজিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগের দায়ের করা মামলায় অব্যাহতি পেলেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলী বাদীর নারাজির আবেদন খারিজ করে পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেন।

পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর দেওয়া অব্যাহতির (চূড়ান্ত প্রতিবেদন) আবেদন গ্রহণ করে তাদের খালাস দেন আদালত।

মুশতাক আহমেদের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ জুন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে বাদীপক্ষ নারাজি দাখিল করেন। এরপর আদালত ৪ জুলাই নারাজির বিষয়ে আদেশের জন্য রাখেন।

ওই ছাত্রীর বাবা গত বছরের ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।

মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ৩ মার্চ মামলার বাদী চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দাখিল করেন। ১৪ মার্চ আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। সম্পতি পিবিআইও তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

;

আনার হত্যাকাণ্ড: তিন আসামির জবানবন্দি প্রত্যাহার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আনার হত্যাকাণ্ড: তিন আসামির জবানবন্দি প্রত্যাহার

আনার হত্যাকাণ্ড: তিন আসামির জবানবন্দি প্রত্যাহার

  • Font increase
  • Font Decrease

রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি করানোর অভিযোগ এনে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম ওরফে আনার হত্যা মামলায় ৩ আসামি তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

তারা হলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু, শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ ও তানভীর ভুইঁয়া।

এদিকে কারাগারে ২৪ ঘণ্টা লকাপের মধ্যে রাখা ও কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে না দেয়া এবং মোবাইল ফোনেও কারও সাথে যোগাযোগ করত দিচ্ছে না মর্মে আসামি কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু আদালতে অভিযোগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য থাকলেও পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত আগামী ৮ আগষ্ট প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ ঠিক করেছেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজীসহ কয়েকজন আইনজীবী আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানিতে আসামির রিমান্ডে নির্যাতন করে আসামিদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি করানোর অভিযোগ তুলে তা প্রত্যাহারে আবেদন করেন আইনজীবীরা। একই সঙ্গে নির্যাতনের কারণে আসামিরা অসুস্থ মর্মে চিকিংসার আবেদন করিলে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারাকর্তৃপক্ষকে চিকিংসার নির্দেশ দেন।

শুনানির সময় আইনজীবীদের পাশাপাশি আসামি গ্যাস বাবু ও শিমূল ভুইয়া বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে গ্যাস বাবু বলেন, রিমান্ডে নির্যাতন করে তাকে দিয়ে স্বীকারোক্তি করানো হয়েছে। কারাগারে ২৪ ঘণ্টা তাকে লকাপের মধ্যে রাখা হয়। সকল বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হলেও তাকে দেখা করতে দেয়া হয় না এবং কারাগারে বন্দিদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সপ্তাহে একদিন মোবাইল ফোনে কথা বলতে দেখা হলেও তা তাকে দেয়া হচ্ছেনা। তিনি অসুস্থ হলেও কোন চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাকে সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত করছেন কারাকর্তৃপক্ষ।

অপর আসামি শিমুল রিমান্ডে তাকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি করানো এবং নির্যাতনে তার বাম পা ফ্র্যাকচার করার অভিযোগ তুলে চিকিৎসা করা হচ্ছে না মর্মে অভিযোগ তুলেন।

শুনানির পর ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাবুবুর রহমান স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদনগুলো নথিভুক্ত রাখার নির্দেশ দেন। একই সাথে চিকিৎসার বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী কারাকর্তৃপক্ষকে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

মামলাটিতে গ্রেফতার আসামি ফয়সাল আলী সাহাজী, আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির, শিলাস্তা রহমান, ঝিনাইদাহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু কারাগারে রয়েছেন।

গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় তার বাবাকে অপহরণের অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করেন। 

;