জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
হাইকোর্ট ভবন, ছবি: সংগৃহীত

হাইকোর্ট ভবন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিচারপতিদের সাক্ষরের পর ১৭৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

এর আগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল খারিজ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

ওই দিন আদালত সংক্ষিপ্ত রায়ে বলেন, ‘তিনটি আপিল (খালেদা জিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ) খারিজ করা হল। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা রিভিশন আবেদনের রুল যথাযথ (অ্যাবসলিউট) ঘোষণা করা হল।

খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড করা হল। এ রায়ের ফলে সালিমুল হক ও শরফুদ্দিন আহমেদের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রইল।’

খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর ক্ষেত্রে হাইকোর্ট কোন বিষয়টিকে আমলে নিয়েছেন- তা সংক্ষিপ্ত রায়ে উল্লেখ করা হয়নি।

তবে রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া ছিলেন এ মামলার মুখ্য আসামি।

অন্য আসামিদের যেখানে ১০ বছরের সাজা হয়েছে, মুখ্য আসামি তার চেয়ে কম সাজা পেতে পারেন না। এ কারণে হাইকোর্টের রায়ে সব আসামির সাজা সমান করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়া ছিলেন এই মামলার মুখ্য আসামি। সেই গ্রাউন্ডে তার সাজা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়ার সাজা ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেছেন। ফলে মামলায় সব আসামির সাজাই ১০ বছর হল।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

একই মামলায় তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৫ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা করে জারিমানা করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে খালেদা জিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ কারাগারে আছেন। আর পলাতক আছেন তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড আসে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় ‘অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের’ কারণে।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি তাহার সরকারি কর্মচারীজনিত ক্ষমতার বা একজন ব্যাংকার, বণিক, আড়তদার, দালাল, অ্যাটর্নি বা প্রতিভূ হিসাবে তাহার ব্যবসায় ব্যাপদেশে যে কোনো প্রকারে কোনো সম্পত্তি বা কোনো সম্পত্তির ওপর আধিপত্যের ভারপ্রাপ্ত হইয়া সম্পত্তি সম্পর্কে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করেন, সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা দশ বৎসর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে এবং তদুপরি অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।’

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারিক আদালত বলেন, সরকারি এতিম তহবিলের টাকা এতিমদের কল্যাণে ব্যয় না করে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়াসহ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামিরা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধ করেছেন।

বাকি পাঁচ আসামিকে এই ধারার সর্বোচ্চ সাজা দিলেও প্রধান আসামীকে কম দণ্ড দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে রায়ের দিন বিচারক বলেন, অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও বয়স ও সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ওই রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পর্যায়ক্রমে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া ছাড়াও কাজী সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ খালাস চেয়ে পৃথক আপিল করেন।

এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি আপিলের আবেদনগুলো শুনানির জন্য গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড স্থগিত করেন আদালত। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ বাড়াতে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন করে একই বছরের ২৫ মার্চ।

দুদকের যুক্তি ছিল, আদালত মুখ্য আসামিকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে সহযোগী আসামীদের দিয়েছেন ১০ বছরের সাজা- এটা সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য। সেই আবেদনের গ্রহণযোগ্যতার শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ ২৮ মার্চ রুল জারি করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা কেন বাড়ানো হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। তবে আদালত বলে দেন, রুলের ওপর শুনানি হবে খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে।

গত বছরের ১২ জুলাই এ মামলার আপিল শুনানি শুরু হওয়ার পর ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে ২৬ কার্যদিবস খালেদা জিয়ার আপিলের ওপর শুনানি ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।

এরপর গত বছরের ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আইনজীবী তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করেন। শুনানিতে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন চাওয়া হয় দুদকের পক্ষ থেকে।

আর রাষ্ট্রপক্ষ বিচারিক আদালতের দেয়া ৫ বছরের সাজা বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দেন। এর মধ্যেই গত ২২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এ মামলার অর্থের উৎসের বিষয়টি স্পষ্ট করতে অতিরিক্ত সাক্ষ্য চেয়ে আবেদন করেন।

বিষয়টি নিয়ে তারা আপিল বিভাগেও যান। সেই সঙ্গে এ মামলার আপিল নিষ্পত্তির সময় চেয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেন।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ গত ২৯ অক্টোবর সময়ের আবেদন খারিজ করে দিলে আগের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এ মামলার আপিল শুনানি শেষ করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়।

এরপর হাইকোর্ট ২৯ অক্টোবর অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদনটি খারিজ করে দেন এবং রায়ের জন্য ৩০ অক্টোবরের দিন ধার্য করেন।

   

আত্মসমর্পণের পর বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আত্মসমর্পণের পর সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। তিনি বলেন, আজ ইশরাকের ১২ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১১ মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানার এক মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।

সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত এবং এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকাল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে বিএনপির অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

পরে ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের এক বাসিন্দা। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

;

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়ার এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাকিল জোয়ার্দার আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এসময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এই জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তাদের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে নিউটন ও তার এক সহযোগীকে আটক করেন র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে খেলোয়াড়দের ধর্ষণের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত করাতো, এমনকি মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কাজে তাকে সহায়তা করতো অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী খেলোয়াড় সুমাইয়া।

এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি সম্প্রতি নিউটনের বিরুদ্ধে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। একজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এমনকি এক পর্যায়ে গর্ভপাতও করানো হয় তার। সুমাইয়া আক্তার নামের জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এসব কাজে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

;

এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। একই সঙ্গে বাজারজাতকারী একমি'র তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার প্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

আজ সকালে আদালতে উপস্থিত হয়ে দোষ স্বীকার করে জামিন চান একমির কর্ণধার তানভীর সিনহা। এসময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই কারণ তারা জানতেন না, এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

;

সুপ্রিম কোর্টে শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পড়তে হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানিকালে আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীবৃন্দের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২০ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লেখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী অনুসরণ করে আইনজীবীবৃন্দ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। ১৯ মে থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।

;