জামিন পেলেন মিল্টন সমাদ্দার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মিল্টন সমাদ্দার

মিল্টন সমাদ্দার

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় বহুল আলোচিত সমালোচিত চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, সড়কে পড়ে থাকা অসহায় বৃদ্ধ কিংবা শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করার ছবি-ভিডিও শেয়ার করে আলোচনায় আসা মিল্টন সমাদ্দারকে গত ১ মে সন্ধ্যায় মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে ডিবি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, নিজের আশ্রমের মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সিটি করপোরেশনের সনদ ছাড়াই রাতের বেলায় দাফন করতেন মিল্টন। এক্ষেত্রে নিজেকে নিরাপদ রাখতে সিটি করপোরেশনের নকল সিল দিয়ে মৃত্যু সনদ তৈরি করে রাখতেন।

বিজ্ঞাপন

সিটি করপোরেশনের সিল ও স্বাক্ষর নকল করে মৃত্যু সনদ তৈরির এ অভিযোগেই মিরপুর মডেল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর আদালতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মিল্টনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ছয়টি কারণ উল্লেখ করেন তিনি।

কারণগুলো হল- ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার সেন্টার’ নামে সেবা প্রতিষ্ঠান খুলে মানবতার ফেরিওয়ালা পরিচয়ে অজ্ঞাত, ওয়ারিশহীন ব্যক্তি, শিশু এবং প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা ও সেবার কথা বললেও ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দেওয়া সংক্রান্ত সঠিক তথ্য উদঘাটন প্রয়োজন।

>> আসামি দীর্ঘদিন ধরে জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০টি মৃত্যু সনদ দিয়েছেন। এতে আসামির অন্য কোনো উদ্দেশ্যে আছে কি না? মৃত্যুর সঠিক কারণ ও তার তথ্য-উপাত্ত উদঘাটন প্রয়োজন।

>> আসামি নিজে ডাক্তার না হয়ে ডাক্তার হিসাবে পরিচয় দিতেন। আদৌ তার ডাক্তারি সনদ আছে কি না, যাচাই প্রয়োজন।

>> আসামির সহযোগী অন্যান্য আসামিদের শনাক্তসহ নাম, ঠিকানা সংগ্রহ এবং গ্রেপ্তারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।

>> চিকিৎসা সেবার নাম করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে কোনো ভুক্তভোগী হত্যা এবং তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করেছেন কিনা, সেই তথ্য সংগ্রহ প্রয়োজন।

>> অজ্ঞাত শিশুদের আইনানুগ অভিভাবকদের না জানিয়ে পাচার করেছে কি না, সেটি জিজ্ঞাসাবাদে জানা প্রয়োজন।