ডা. সাখাওয়াতসহ ২১ জনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ

ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ

গায়েবানা জানাজা শেষে অরাজকতা সৃষ্টির অভিযোগে পল্টন থানার করা মামলায় গ্রেফতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ ২১ বিএনপির নেতাকর্মীকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ আসামিদের ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আটক আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে মর্মে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

অন্য আসামিরা হলেন, দারুস সালাম থানার ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম খান জুয়েল, তুরাগ থানার বিএনপির আহবায়ক মো. আমান উল্লাহ ভূইয়া তামান, দিল মোহাম্মদ, মো. নওয়াব আলী, দারুস সালাম থানায় ১২ নং ওয়ার্ড যুবদল সেক্রেটারী শেখ মর্তুজা আলী, রূপনগর থানার শ্রমিক দলের সেক্রেটারি মো. শামছুল আলম মিন্টু, বিএনপি নেতা এস এম মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সুমন আহম্মেদ, মো. আবুল বাশার ভূঁইয়া, ফজলুর রহমান, ইকতারুল ইসলাম মিতু, মো. মাছুম, আমির হোসেন, মনির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আল আমিন সুজন, মো. কামরুল হাসান, মো. হামিদুর রহমান হাম্মাদ রারিব, রফিকুল ইসলাম, মো. ফয়েজ আহমেদ, সৈয়দ ইসমাইল হোসেন।

বিজ্ঞাপন

গত ১৭ জুলাই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বিএনপি আয়োজিত একটি গায়েবানা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০০/৫০০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ করা হয়, নামাজ শেষে তারা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইট দিয়ে বের হয়ে মিছিলসহ অরাজকতা সৃষ্টি করে। বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে পল্টন মোড়ে আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করে কর্তব্যরত পুলিশ। কিন্তু তারা অনুরোধ অমান্য করে পুলিশের প্রতি চরম মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং তাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও রাস্তায় থাকা যানবাহনে ভাঙচুর করে।

ওই ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।