সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে জালিয়াতি

সাবেক আইনমন্ত্রী-অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ৪০ জনের নামে মামলা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক আইনমন্ত্রী-অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ৪০ জনের নামে মামলা

সাবেক আইনমন্ত্রী-অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ৪০ জনের নামে মামলা

চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাল-জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিতর্কিত ওই নির্বাচনে সভাপতি ও দুই সদস্য পদে বিএনপি দলীয় আইনজীবীদের বিজয়ী ঘোষণা করলে বাকিসব পদগুলোতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবিএম ইব্রাহিম খলিল। মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তরুজ্জামানের আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শাহবাগ থানাকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির, ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, অ্যাডভোকেট আব্দুর নূর দুলাল, ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী, ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা ই রাকিব, ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম, মোতাহার হোসেন সাজু, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোর্শেদ, অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান, ওয়াকিলুর রহমান, আজাহারুল্লাহ ভুইয়া, ওয়াজিউল্লাহ, সৌমিত্র সর্দার, শুভ, কাজল রশিদ বিশ্বাস, ব্যারিস্টার ইমরান, আসাদুজ্জামান মনির, মিজান, জগলুল কবির, সাইফ, শাহনেওয়াজ, মুকিম, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, ডিবি রমনা মোহাম্মাদ মমিন, সাবেক ডিসি হারুন, শাহবাগ থানার এসআই গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ, এসি রমনা বায়েজীদুর রহমান, রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুল আল মাসুম, নিউমার্কেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মাদ ফারুক, শাহবাগ থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. মাহফুজুল হক ভুইয়া, ও গোলাম মোস্তফা, নায়েক মো. বাকী বিল্লাহ, কন্সটেবল মো. মঈনুদ্দীন, কিবরিয়া ও রকিবুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে ভোট চলাকালে আসামিরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, মান-মর্যাদা বিনষ্ট করে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামের ভিতর থেকে আইনজীবীদের বের করে দেয়। পূর্বে তৈরি করা জাল ব্যালটের মাধ্যমে আসামি ভুয়া ও জাল ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের ১৪ প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করে। ঘটনাটির পত্রিকা রিপোর্ট, ভিডিও ফুটেজ ও স্থির চিত্র রয়েছে। ঘটনার সাথে পুলিশ, রাষ্ট্রের মন্ত্রী, অ্যাটর্নী জেনারেল, শেখ ফজলে নুর তাপস এর সরাসরি ইন্ধন নির্দেশ, পরিকল্পনা, হুকুম থাকায় বাদী এতোদিন মামলা করতে পারেননি।