নূরুল ইসলাম সুজনের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নূরুল ইসলাম সুজন

নূরুল ইসলাম সুজন

পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া আল আমিন নামে এক যুবককে হত্যার পর লাশ গুমের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে পঞ্চগড় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক মো. আশরাফুজ্জামান তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে সাবেক এই মন্ত্রীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজনভ্যানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পাহারায় পঞ্চগড় জেলা কারাগারে আনা হয়।

জানা গেছে, পঞ্চগড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুম হয় আল আমিন। এ ঘটনায় আল আমিনের বাবা মনু মিয়া গত ১০ নভেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনসহ ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা ও গুমের মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলার অপর আসামিরা হলেন- পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জলসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আদম সুফি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন আল আমিন। তাকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলার প্রধান আসামিকে আদালতে তোলা হলে আমরা জামিনের বিরোধীতা করেছি। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মির্জা সারোয়ার হোসেন বলেন, এডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনকে এজাহারের প্রধান আসামি করা হয়েছে। উনাকে গ্রেফতার দেখানো হলো। আদালতের তাকে তোলার পর জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল, আদালত জামিন না মঞ্জুর করেছে। তবে আদালত তার ডিভিশন মন্জুর করেছে।