ব্যবসায়ীর চোখ উপড়ে ফেলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ডেমরা থানাধীন এলাকায় রাজীবুল আলম নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দুই চোখ উপড়ে ফেলার মামলায় পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বিজয় ওরফে শামীম আহম্মেদ, দ্বীন ইসলাম, মো. ইকবাল, নাছু ওরফে নাসির উদ্দিন ও রাজিব ওরফে মোটা রাজিব।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় চারজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

তারা হলেন, রিপন, রাশেদ, তপন ও রাসেল ওরফে রোসেল ওরফে মমিতুর রহমান।

রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ভিকটিম রাজীবুল বলেন, আমি ন্যায় বিচার পাইনি। আমার চোখ উপড়ানোর ঘটনার সঙ্গে ১০ জন জড়িত ছিলো। কিন্তু আদালত ৪ জনকে খালাস দিয়েছে। সমান অপরাধ করেও বাকিরা কীভাবে খালাস পায়? আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে ৫ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মেলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে তাদের সঙ্গে ধারালো অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও রাজীবুলকে হত্যা না করায় বোঝা যায়, রাজীবুলকে হত্যা করা তাদের উদ্দেশ্য ছিলো না। এ মামলার সঙ্গে রিপন, রাসেল, তপন ও রাশেদের সম্পর্ক থাকার প্রমাণ আদালত পায়নি। তাই তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৭ নভেম্বর রাত পৌনে ৯ টার দিকে রিকশাযোগে ভিকটিম রাজীবুল আলম ডেমরায় বোর্ড মিল এলাকা থেকে বাসার উদ্দেশ্য রওনা হন। পথের মধ্যে আসামিরা রিকশা আটকিয়ে ভিকটিম রাজীবুল আলমকে একটি ফাকা প্লট নিয়ে যায়। এরপর তার হাত পা বেঁধে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই চোখ উপড়ে ফেলে। এই ঘটনায় রাজীবুলের বাবা শাহ আলম বাদী হয়ে ডেমরা থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০০৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক মীর আতাহার আলী ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

মামলাটি বিচার চলাকালীন সময়ে আদালত ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।