মানিকগঞ্জে ৫ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জন কারাগারে
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় ৫ জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. লিয়াকত আলী মোল্লা।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ কোর্টের হাজতখানা থেকে তাদেরকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
তারা হলেন- বলড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন কুন্নু, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো কামাল হোসেন, বাল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়া, হারুকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ও চালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, বয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুর রহমান মহিদ ও চালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী বাদল।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মেজবাউল হক জানান, আসামিরা উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে ৪ সপ্তাহের একটি নির্দেশনা পেয়েছিলেন। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিলো- আসামিদের এই ৪ সপ্তাহ গ্রেফতার ও হয়রানি করা যাবে না। ৪ সপ্তাহ পর আসামিরা নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করবেন। উচ্চ আদালতের নির্ধারিত সময় শেষে আসামিরা রোববার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন।
‘আসামি পক্ষের আইনজীবী ও রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীর জামিন শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মো. লিয়াকত আলী মোল্লা আসামিদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
তিনি আরো বলেন, মামলায় আসামিদের নাম থাকলেও সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই।
মানিকগঞ্জ কারাগারের জেল সুপার হুমায়ুন কবীর খান বলেন, রোববার বিকেলে হরিরামপুর থানায় একটি নাশকতা মামলায় ৫জন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭জন কারাগারে এসেছেন।