ঢাকার বায়ুদূষণ

সিটি করপোরেশনের জবাবে হাইকোর্টের অসন্তুষ্টি



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে বায়ুদূষণ রোধে নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের জবাবে সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট। ফলে আগামী ১০ এপ্রিল পুনরায় এ জবাব দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদনে করা মন্তব্যে 'বাংলাদেশকে শীর্ষে রাখা ও এই প্রতিবেদনে সংশয় রয়েছে' বলায় পরিবেশ অধিদফতরের এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক জিয়াউল হককে আদালতে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ঢাকার সিটি কর্পোরেশন ও পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালককে জবাব দাখিল করার আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন নুরুন্নাহার আক্তার এবং পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানীতে যাদের কারণে বায়ুদূষণ হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে থেকে একটি রিট করা হয়।

রিটের পক্ষে থাকা আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের বলেন, 'রুলে ঢাকা শহরের বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না সংশ্লিষ্টদের কাছে তা জানতে চেয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব চাওয়া হয়েছে।'

মনজিল মোরসেদ জানান, আদেশে ঢাকা শহরের যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার (রাস্তায় ও নির্মাণাধীন কাজের জায়গা) কাজ চলছে সেসব এলাকা ঘেরাও করে কাজ করার পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৫ দিনের মধ্যে আদালতের এ আদেশ পালন করে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিফতরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও যেসব এলাকায় উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলছে এবং যেসব এলাকা ধুলাবালি প্রবণ, যেসব এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিনে দুইবার পানি ছিটাতে দুই সিটির মেয়র ও নির্বাহীদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

যাদের কারণে বায়ুদূষণের সৃষ্টি হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুইবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ আদালতের মহাপরিচালকের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে। এ আদেশ পালন করে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে বলে জানান মনজিল মোরশেদ।

মনজিল মোরসেদ বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিলেন ডিজি হেলথকে এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছিল প্রতিদিন দুবার যেসব জায়গায় ধুলার উৎপত্তি হচ্ছে সেসব জায়গায় পানি ছিটানোর জন্য এবং অন্যান্য জায়গায় যেসব নির্মাণ সামগ্রী রাখা হয়েছে সেগুলো ঢেকে দেওয়ার জন্য। আর ডিজিকে বলেছিল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ধুলার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। আজ ডিজি পক্ষে এ্যাফিডেভিট দেওয়া হয়েছে। সেখানে তারা বলেছে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কি কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা তারা বলেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'আর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি করপোরেশন কমপ্লাইনস হয়নি বলে আবার তা দিতে বলেছেন। তারা আদালতে কয়টা ছবি দিয়ে বলেছে, কোথায় কোথায় তারা পানি ছিটিয়েছে। কিন্তু আদালতের যেভাবে নির্দেশ ছিল সেভাবে তারা করেনি। তারা পানি ছিটায়নি। বাংলা একাডেমিতে পানি ছিটানোর কথা তারা বলেছে। কিন্তু মেলা হলে বাংলা এতকাডেমিতে এমনিতেই পানি ছিটানো হয়। এছাড়া বায়ু দূষণ নিয়ে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছি। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্ধৃতি করে বলা হয়েছে, ঢাকা শহর বায়ু দূষণের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় শহর। ওই প্রতিবেদনে পরিবেশ অধিদফতরের একজন পরিচালক বলেছেন যে, এই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রতিবেদনটি সঠিক না।'

তখন আদালত বললেন, 'তিনি যে বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট সঠিক না, আমরা তো দেখতে পাচ্ছি প্র্যাকটিক্যালি, ঢাকা শহরের কি অবস্থা। সেই ব্যাপারে পরিবেশ অধিদফতর কি পদক্ষেপ নিচ্ছে? পরিবেশ অধিদফতর তো কোনো কাজ করছে না। যার ফলে মারাত্মক বায়ু দূষণ হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতর যদি কাজ করতো তাহলে তো মানুষের এই অবস্থা হতো না। কাজ না করলে আপনার ভবিষ্যৎ বংশধরদের রক্ষা করতে পারবেন না। এদেশের অনেকেই তো বিদেশে সেকেন্ড হোম করছে, তারা চলে যাবে। আমরা যারা এদেশে থাকব তাদের জন্য তো একটি শুদ্ধ বায়ু সেবনের পরিবেশ যদি না থাকে তাহলে আমাদের কারো জীবন নিরাপদ থাকবে না। ফলে অবশ্যই আপনাদের সঠিকভাবে কাজগুলো করতে হবে।'

এজন্য ওই পরিচালককে তলব করেছে আদালত। আগামী ১০ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে বায়ু দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদফতর কি কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সে ব্যাপারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে। আরেকটা নির্দেশনা দিয়েছেন সেটি হলো ফার্মগেটসহ রাজধানীর দুই জায়গায় বায়ু দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করতে যে ব্যবস্থা নিয়েছেন সেটিকে আরও কয়েকটি স্থানে বিস্তৃত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান রিটকারী আইনজীবী।

   

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের লুবিন বাস্কের সঙ্গে তার স্ত্রী মালতী রানীর (৫৫) প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে তার স্ত্রী মালতী রানীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মালতী রানীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমানে আসামি লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডিত করেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।

;

আত্মসমর্পণের পর বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আত্মসমর্পণের পর সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। তিনি বলেন, আজ ইশরাকের ১২ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১১ মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানার এক মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।

সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত এবং এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকাল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে বিএনপির অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

পরে ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের এক বাসিন্দা। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

;

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়ার এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাকিল জোয়ার্দার আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এসময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এই জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তাদের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে নিউটন ও তার এক সহযোগীকে আটক করেন র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে খেলোয়াড়দের ধর্ষণের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত করাতো, এমনকি মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কাজে তাকে সহায়তা করতো অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী খেলোয়াড় সুমাইয়া।

এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি সম্প্রতি নিউটনের বিরুদ্ধে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। একজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এমনকি এক পর্যায়ে গর্ভপাতও করানো হয় তার। সুমাইয়া আক্তার নামের জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এসব কাজে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

;

এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। একই সঙ্গে বাজারজাতকারী একমি'র তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার প্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

আজ সকালে আদালতে উপস্থিত হয়ে দোষ স্বীকার করে জামিন চান একমির কর্ণধার তানভীর সিনহা। এসময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই কারণ তারা জানতেন না, এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

;