পা হারানো রাসেলকে মাসে ৫ লাখ টাকা দেয়ার নির্দেশ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গ্রীনলাইন পরিবহন, ছবি: সংগৃহীত

গ্রীনলাইন পরিবহন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাস চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রীনলাইন পরিবহনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রতি মাসের ৭ তারিখে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে তাদের। কিস্তির টাকা পরিশোধের পর প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ারও নির্দেশ দেন। আগামী ৯ মাসে ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে গ্রীনলাইন পরিবহনকে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিচারপতি এস আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'যে লোক আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করার ফন্দিফিকির খোঁজে তাকে সরকার কিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া সেটা আমরা দেখব।’

আদালতে গ্রীনলাইনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ওজিউল্লাহ। রিটের পক্ষে ছিলেন খন্দকার সামসুল হক রেজা ও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আলম মাহমুদ বাশার।

আগামী ১৬ জুলাই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। গত ২২ মে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ না করায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ২৫ জুন পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন। কিন্তু এক মাসেও গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ রাসেল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

এদিকে, গ্রীনলাইন পরিবহনের মালিক পক্ষ আদালতে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কমানো এবং কিস্তিতে পরিশোধের একটি আবেদন করে আদালতে। শুনানিতে আদালত গ্রীনলাইনের আইনজীবী ওজিউল্লাহর কাছে জানতে চান আপনারা কতো টাকা দিয়েছেন?

জবাবে আইনজীবী ওজিউল্লাহ বলেন, 'চিকিৎসা বাবদ সাড়ে ৩লাখ টাকা দিয়েছি।'

আদালত বলেন, 'আপনারা অসহায় এ ছেলেটার একটা ব্যবস্থা করতে পারতেন। কোনোভাবে সহযোগিতা করতে পারতেন।'

'আপনারা আপিল বিভাগে গেছেন, সেখানে নাকচ হয়েছে। এখন আমরা বিষয়টা শুনতে বাধ্য। যদি ২৫ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য এবং বাকি ২৫ লাখ তার জীবন নির্বাহের জন্য দিতে বলা হতো। কিন্তু মানুষ হিসেবেও কিছু করেননি। আপনাদের আচরণ ছিল অশোভনীয়। এখন ক্ষতিপূরণের অর্থের পরিমাণ কমানোর কোনো সুযোগ নেই।'

আদালত আরও বলেন, 'আপনারা ক্ষতিপূরণ কমানো এবং কিস্তিতে দেয়ার সুযোগ চাইছেন। তার ওপর ইচ্ছাকৃত গাড়ি চড়ানোতে পা হারিয়েছে। অথচ ছেলেটার একটু খোঁজ নিলেন না।'

আদালত জানতে চান, আজকে কী কোনো টাকা দিয়েছেন?

আইনজীবী ওজিউল্লাহ নীরব থাকলে রিট আবেদনের আইনজীবী খন্দকার সামসুল হক রেজা দাঁড়িয়ে বলেন, 'তারা আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেবে তাও জানায়নি। প্রতিদিন তাদের আয় ১ কোটি টাকা।'

আদালত বলেন, 'আপনারাতো দেউলিয়া হয়ে যাননি। কিছু টাকা দিলে কী হতো। ছেলেটার সামনে এখনো অনেক সময় পড়ে আছে।'

এ সময় বিআরটিএর পক্ষের আইনজীবী বলেন, 'বিআরটিএ ২০০৩ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে কমিটি গঠন করেছে এ কমিটির কার্যক্রম এখনো চলছে।'

আদালত বলেন, 'আমরা কমিটি নয় অ্যাকশন দেখতে চাই। সড়কে এখনো বিশৃঙ্খলা রয়েছে। এবারের ঈদে অন্তত ৪৭ জনের প্রাণহানি হয়েছে, আহত হয়েছে ৭শ। আপনারা কিসের নিরাপত্তা দিচ্ছেন?'

বিআরটিএর আইনজীবী আবারো বলেন, 'আমরা কমিটি করেছি।'

আদালত বলেন, 'এটা গতানুগতিক। মানুষ মারা যাচ্ছে। বিআরটিএ কিছু করতে পারছে না।'

আদালত কঠোর ভাষায় গ্রীনলাইনের উদ্দেশ্যে বলেন, 'যদি আপনারা আদেশ লঙ্ঘন করেন, তাহলে আমরাও অন্য ব্যবস্থা নেব। কোনোভাবে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কমানোর সুযোগ নেই। যে লোক আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করার ফন্দিফিকির খোঁজে তাকে সরকার কীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয় সেটা আমরা দেখব। আপনারা ধর্মঘট করতে পারেন। আমাদের কিছু যায় আসেনা। আমরা শপথ নিয়েছি। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব। অনেক বেয়াদবি করেছেন, আমরা সহ্য করেছি। ম্যানেজারের আচরণ ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এরপরও আদালত প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার আদেশ দেন।'

গত ১০ এপ্রিল রাসেল সরকারের হাতে ৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় গ্রীনলাইন কর্তৃপক্ষ। তার আগে গত ৪ এপ্রিল ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে গ্রীনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ৩১ মার্চ গ্রীনলাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। গত ১২ মার্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গত বছর ২৮ এপ্রিল রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রীনলাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় গাইবান্ধার একই এলাকার বাসিন্দা জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগ সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি রিট আবেদন করেন।

এই রিট আবেদনে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এই রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত ১২ মার্চ ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেন।

   

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের লুবিন বাস্কের সঙ্গে তার স্ত্রী মালতী রানীর (৫৫) প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে তার স্ত্রী মালতী রানীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মালতী রানীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমানে আসামি লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডিত করেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।

;

আত্মসমর্পণের পর বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আত্মসমর্পণের পর সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। তিনি বলেন, আজ ইশরাকের ১২ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১১ মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানার এক মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।

সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত এবং এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকাল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে বিএনপির অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

পরে ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের এক বাসিন্দা। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

;

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়ার এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাকিল জোয়ার্দার আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এসময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এই জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তাদের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে নিউটন ও তার এক সহযোগীকে আটক করেন র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে খেলোয়াড়দের ধর্ষণের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত করাতো, এমনকি মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কাজে তাকে সহায়তা করতো অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী খেলোয়াড় সুমাইয়া।

এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি সম্প্রতি নিউটনের বিরুদ্ধে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। একজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এমনকি এক পর্যায়ে গর্ভপাতও করানো হয় তার। সুমাইয়া আক্তার নামের জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এসব কাজে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

;

এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। একই সঙ্গে বাজারজাতকারী একমি'র তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার প্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

আজ সকালে আদালতে উপস্থিত হয়ে দোষ স্বীকার করে জামিন চান একমির কর্ণধার তানভীর সিনহা। এসময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই কারণ তারা জানতেন না, এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

;