আদালত চত্বরে যেন মোটরসাইকেল মেলা



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আদালত চত্বরে  মোটরসাইকেলের সমারোহ

আদালত চত্বরে মোটরসাইকেলের সমারোহ

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২৪ হাজার আইনজীবী, ঢাকার বিভিন্ন আদালতের শতাধিক বিচারক আর হাজারো বিচারপ্রার্থীর গাড়ি রাখার জন্য ঢাকার নিম্ন আদালতে কোন গ্যারেজ নেই।

গ্যারেজের অভাবে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের আদালত চত্বরেই মোটরসাইকেল রাখতে হচ্ছে। এ কারণে একদিকে যেমন আদালতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে অপরদিকে আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীদের চলাচল ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।

একনজরে যে কেউ দেখলে মনে করতে পারেন এখানে বুঝি মোটরসাইকেলের মেলা বসেছে। শুক্র ও শনিবার ছাড়া প্রতিদিনই বসে এ মেলা।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/01/1564634187553.jpg
ঢাকা আইনজীবী সমিতির ব্যাংক ভবনটি হচ্ছে পুরাতন ভবন। সে ভবনে কোন গ্যারেজের ব্যবস্থা নেই। সমিতির মূল ভবনটি মাত্র বছর দশেক আগে করা। এ ভবনের নিচতলায় গ্যারেজ থাকলেও সেখানে মাত্র ১২-১৪টি গাড়ি রাখা যায়। ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরাই এই গ্যারেজে গাড়ি রাখেন। সাধারণ আইনজীবী কিংবা বিচারপ্রার্থীর গাড়ি রাখার সুযোগ নেই সেখানে।

এরপর সম্প্রতি আরও দুটি ভবন নির্মাণ করে আইনজীবী সমিতি। এনেক্স-১ ও এনেক্স-২ নামে ওই ভবনে কোন গ্যারেজ রাখা হয়নি।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ভবন, পুরাতন জেলা ও দায়রা জজ ভবন, নতুন জেলা ও দায়রা জজ ভবন কিংবা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে পার্কিংয়ের কোন ব্যবস্থা নেই। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে মালখানা স্থাপন করা হয়েছে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/01/1564634206779.jpg
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান খান রচি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, নির্মাণাধীন ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাধারণের জন্য কোন পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। সেখানে কেবল সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

তাহলে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা তাদের প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল কোথায় রাখবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রচি বলেন, বাস্তবিকই তাদের গাড়ি-মোটরসাইকেল রাখার কোন জায়গা নেই। তারা আদালত চত্বর, রাস্তাঘাট যেখানেই খালি পাচ্ছেন প্রাইভেট কার-মোটরসাইকেল রাখছেন। আইনজীবী ও বিচারপ্র্রার্থীদের চলাচলে যেন অসুবিধা না হয় সেজন্য রাস্তায় ফুটপাত তুলে দিয়েছি। কিন্তু সেসব জায়গা ভরে যায় মোটরসাইকেলে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/01/1564634227735.jpg
আসাদুজ্জামান খান রচি আরও বলেন, শুধু আদালত নয়, এর আশে পাশে নতুন করে অনেক চেম্বার বিল্ডিং গড়ে উঠেছে। চেম্বার ভাড়া দিলে টাকা বেশি পাওয়া যায়। এজন্য সেসব ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে চেম্বার করে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি-মোটরসাইকেল রাখার কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি বিচারকদের গাড়িও রাস্তায় রাখতে হয়। আসলেই বিষয়টির সমাধান হওয়া উচিত।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে আসা আবু সাঈদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, কোথাও মোটরসাইকেল রাখা যায় না। মোটরসাইকেল রাখতে গেলে বলে আইনজীবী ছাড়া মোটরসাইকেল রাখা যাবে না। ফলে যত্রতত্র মোটরসাইকেল রাখতে হয়। এতে করে চোর চক্রের পোয়াবারো। নিত্যদিন মোটরসাইকেল চুরিও হচ্ছে।

   

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় মাদক মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলার অপর এক আসামি ময়নুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০মে) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৪১ বছর বয়সী ওই নারীর নাম সিমা খাতুন। তিনি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চরমগাছা পারবর্তীপুর খোকন মোল্লার স্ত্রী।

আদালত এবং মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ১০০ গ্রাম হিরোইন ও ছয় বোতল ফেন্সিডিলসহ সিমা খাতুনকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মায়ামনি হোটেলের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা হয়। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (২০ মে) এই আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে, তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রায়ের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট বদরুন্নাহার বেবি।

তিনি জানান, ‘দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সত্যতা সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিমা নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর একজনকে খালাস দিয়েছেন।

;

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ হাজার পিস ইয়াবা পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড, অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৫ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মফিজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

দণ্ডিত আসামি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ব্লক ই-৩ এর রোহিঙ্গা হাবিব উল্লাহ ও হাছিনা বেগমের পুত্র রিয়াজ উদ্দিন (২৮)। দণ্ডিত আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম এবং আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম-৪ মামলাটি পরিচালনা করেন।

;

নড়াইলে ২ মাদক কারবারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলে মাদক কারবারি লিন্টু মিয়া (৩৬) ও নাজমুল হুদা (৪৪) কে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য় আদালত) মোহাম্মাদ সাইফুল আলম এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার যশোমন্তপুর গ্রামের মোশারফ মাস্টার ছেলে। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত নজমুল হুদা একই উপজেলার উথালী গ্রামের তুরফান ফকিরের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নাজমুল হুদা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দণ্ডপ্রাপ্ত লিন্টু মিয়া পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নড়াইল-যশোর সড়কের সীতারামপুর পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ দুই মাদক কারবারিকে পুলিশ আটক করে। এ সময় লিন্টু মিয়ার কাছে থাকা ব্যাগ তল্লাশিকালে তিন কেজি ওজনের তরল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে লিন্টু মিয়া ও নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর

পহেলা বৈশাখে যৌন হয়রানি মামলার সাক্ষ্য ১ সেপ্টেম্বর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর টিএসসিতে পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনার দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

সোমবার (২০ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির হননি। বিচারক আগামী ১ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি এলাকায় কয়েকজন নারীকে যৌন হয়রানি করা হয়। ওই ঘটনায় ভিকটিমদের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পিবিআইয়ের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক একমাত্র আসামি কামালকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুন ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার ওই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। মামলাটিতে ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামি কামাল জামিনে আছেন।

;