ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিচার, পর্ব-৩

একমাত্র ট্রাইব্যুনালে সারা দেশের চাপ



নাজমুল আহসান রাজু, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছা উপজেলা থেকে মেয়ের জন্য রাজধানী ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এসেছিলেন আবুল খায়ের (৫০)। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া তার মেয়ের নামে ফেসবুকে ভুয়া আইডি খোলা এবং অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে মামলা করতেই এতোটা পথ পাড়ি দেন তিনি। কারণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেই পীরগাছা থানায় মামলা করার সুযোগ থাকলেও তার ফল পাওয়া সময় সাপেক্ষ। এভাবে তার মতো অনেকেই দূর দূরান্ত থেকে মামলা করতে আসেন পুরান ঢাকার এই বিশেষ আদালতে।

তদের একজন লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার দিঘলী গ্রামের নুর আলম ছিদ্দিক। ২০১২ সালে তিনি বিয়ে করেন। তিন সন্তানের বাবা নুর আলম ছিদ্দিক জীবিকার তাগিদে থাকেন কক্সবাজারে। বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে তিনি জানান, বিয়ের আগে থেকে তার স্ত্রীর সঙ্গে কামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরিবার সম্মত না থাকায় কামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয়নি। পারিবারিক সম্মতিতে নুর আলম ছিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কামাল উদ্দিন তার স্ত্রীকে উত্যক্ত করার পাশাপাশি ‘কুপ্রস্তাব’ দিয়ে আসছিল। এরমধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়েন কামাল উদ্দিন। ২০১৪ সালে শারীরিক সম্পর্কের একটি ভিডিও করে দিনের পর দিন ভয় ভীতি দেখাতে থাকেন। এক পর্যায়ে নুর আলম ছিদ্দিক বিষয়টি জানতে পারেন। তাই ঢাকায় এসেছেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে। মামলার জন্য এ নিয়ে তাকে ১০ দিন ঢাকায় আসতে হয়েছে। গত জুলাইয়ে মামলার পর তদন্তের জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। 

আরও পড়ুন: সাত বছরে ২৬৫১ মামলা সাজা ১৫টিতে

পুলিশের ফাইনাল রিপোর্টেই শেষ ৩৩৪ মামলা

সারা দেশের জন্য রাজধানী ঢাকায়ই একটিমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনাল থাকায় আবুল খায়ের ও নুর আলম ছিদ্দিকের মতো অনেককেই ঢাকায় আসতে হচ্ছে বিচারের জন্য। অথচ এ সংক্রান্ত দুই আইনেই বলা আছে, সরকার চাইলে একাধিক সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারবে।

এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর এই একটি ট্রাইব্যুনালেই চলছে সব মামলার বিচার। যেখানে রয়েছে এজলাস সংকট। সাত বছর আগে যাত্রা শুরুর পর থেকেই দুর্নীতির মামলার বিচারে গঠিত বিশেষ জজ আদালতের এজলাস ভাগাভাগি করে চলে আসছে বিচার কাজ। পূর্ণকালীন বিচার কার্যক্রম চলেনি একদিনও। আধাবেলার বিচারে সামলাতে হচ্ছে সারাদেশের মামলার চাপ। এতে বিচারপ্রার্থী মানুষকেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দিনের পর দিন।

একটি মামলার শুরু থেকে অভিযোগ গঠন, হাজিরা ও সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যন্ত নানা ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে হয় উভয়পক্ষকে। মামলা সংশ্লিষ্ট বাদী ও স্বজনদের রাজধানীর বাইরে থেকে দিনের পর দিন ঢাকায়় আসতে হয়। আদালতে আসার পর এজলাস না থাকায় বসারও সুযোগ পান না তারা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন। অনেক সময় সাক্ষ্য না দিয়েই চলে যেতে হয় সাক্ষীদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সারা দেশের জন্য একটিমাত্র ট্রাইব্যুনাল। আর্থিকভাবে যারা দুর্বল তাদের কষ্ট বেশী। কারণ মামলা করতে ছুটতে হয় ঢাকায়। সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যেও তারা ঢাকায় যান। এটা অমানবিক। একাধিক ট্রাইব্যুনাল করা হলে এ দুর্ভোগ থাকবে না।

সাত বছর আগে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠনের ঘোষণা আসে জাতীয় সংসদে।

২০১২ সালের ১৯ নভেম্বর প্রশ্নোত্তর পর্বে তখনকার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছিলেন, সাইবার অপরাধের বিচারের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে। এরপর ঢাকায় সাইবার ট্রাইব্যুনাল হলেও চট্টগ্রামে হয়নি। মাঝে প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে ট্রাইব্যুনাল গঠনের একাধিক ঘোষণাও আসে। 

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, শিগগিরই সাত বিভাগীয় শহরে সাইবার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হবে। সচিব কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে পদায়ন করা হবে। এজলাস সংকটের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। খোঁজ খবর নেওয়ার পর এ বিষয়ে বলা যাবে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের ষষ্ঠতলায় সাইবার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলে। যেদিন বিশেষ জজ আদালতের সারাদিন বিচার কাজ চলে সেদিন আর বসা হয়না ট্রাইব্যুনালের বিচারকের। অপেক্ষায় থাকতে হয় কখন বিশেষ জজ আদালতের কার্যক্রম শেষ হবে তার। সাধারণত বেলা দুইটার পর ২ ঘণ্টার জন্য বসেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। ফলে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বেশি দুর্ভোগে পোহাতে হয় নারী বিচারপ্রার্থীদের।

এ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের জন্য খাস কামরা রয়েছে। গুরত্বপূর্ণ মামলার নথিসহ পেশকারের বসার জায়গা ভবনের পশ্চিম কোনের মালামালের কক্ষে। আদালতের সেরেস্তা নেই। ডিজিটাল মাধ্যমের অপরাধের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল অথচ প্রযুক্তিগত সুবিধা অনুপস্থিত। পেশকারের কক্ষে ঢোকার আগে আছে পাবলিক প্রসিকিউটরের কক্ষ, যা থাই গ্লাস দিয়ে তৈরি।

এ ট্রাইব্যুনাল প্রসঙ্গে কথা হয়, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের সঙ্গে। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের কার্যক্রম। সেখানে একটি মাত্র ট্রাইব্যুনালের কারণে যদি দূরদুরান্ত থেকে আসা বিচার প্রার্থীদের ফিরে যেতে হয় সেটা কাম্য নয়। বিচারপ্রার্থীদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা উচিত। মামলার যদি শুনানি না হয় তাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে না। আর মুলতবি যদি একবার হয় তাহলে মামলার শুনানি ঝুলে যায়।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (শামীম) এজলাস সংকট প্রসঙ্গে বলেন, গত সাত বছর অপর একটি আদালতের এজলাস ভাগাভাগি করতে হয়েছে। এ সমস্যার সমাধান হতে যাচ্ছে। আগের পুরাতন জেলা জজ আদালতের ষষ্ঠ তলায় এজলাস হবে। হয়তো দুইমাসের মধ্যে সেখানে সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর হবে। এজলাস পেলে প্রয়োজনীয় সকল কিছুই পাওয়া যাবে।

   

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া এলাকায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত লুবিন বাস্কে (৭৫) ধামইরহাট উপজেলার ভেড়ম সোনদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভেড়ম সোনাদিঘী আদিবাসী পাড়া গ্রামের লুবিন বাস্কের সঙ্গে তার স্ত্রী মালতী রানীর (৫৫) প্রায় পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে লুবিন বাস্কে তার স্ত্রী মালতী রানীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় উপর্যুপরি আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মালতী রানীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন লুবিন বাস্কের বড় ভাইয়ের স্ত্রী শ্যামলী মর্মু বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় মামলা করেন। ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন সাক্ষী আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপিত সাক্ষ্য-প্রমানে আসামি লুবিন বাস্কের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডিত করেন নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ। একই সঙ্গে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নওগাঁ জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পি.পি) আব্দুল খালেক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী এস এম মর্তুজা মহাতাব উদ্দিন।

;

আত্মসমর্পণের পর বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আত্মসমর্পণের পর সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ। তিনি বলেন, আজ ইশরাকের ১২ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত ১১ মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানার এক মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।

সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত এবং এক সদস্য নিহত হন। এক পর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকাল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে ওইদিন সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে বিএনপির অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেশকিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

পরে ২৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের এক বাসিন্দা। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন এবং অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সোরাওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

;

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

ধর্ষণের অভিযোগে জুজুৎসুর নিউটনসহ ২ জন রিমান্ডে

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তার সহযোগী সুমাইয়ার এক দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাকিল জোয়ার্দার আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

এসময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এই জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তাদের ১ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ মে রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকা থেকে নিউটন ও তার এক সহযোগীকে আটক করেন র‌্যাব।

র‌্যাবের দাবি, অ্যাসোসিয়েশনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে খেলোয়াড়দের ধর্ষণের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত করাতো, এমনকি মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে প্রবেশ করে তাদের জোরপূর্বক নগ্ন ভিডিও ধারণ করে রাখতো। এসব কাজে তাকে সহায়তা করতো অ্যাসোসিয়েশনের আরেক নারী খেলোয়াড় সুমাইয়া।

এই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সম্প্রতি সম্প্রতি নিউটনের বিরুদ্ধে সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। একজন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এমনকি এক পর্যায়ে গর্ভপাতও করানো হয় তার। সুমাইয়া আক্তার নামের জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে এসব কাজে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।

;

এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত। একই সঙ্গে বাজারজাতকারী একমি'র তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার প্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

আজ সকালে আদালতে উপস্থিত হয়ে দোষ স্বীকার করে জামিন চান একমির কর্ণধার তানভীর সিনহা। এসময় তানভীর সিনহা বলেন, এতে তাদের দোষ নেই কারণ তারা জানতেন না, এটার লাইসেন্স নেই। পরে আদালত তাকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে বাজার থেকে সব এসএমসি প্লাস প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

;