দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে খালেদ
আদালতে পুলিশের হেফাজতে খালেদ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাব নামের অবৈধ ক্যাসিনোর মালিক এবং ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়াকে অস্ত্র ও মাদকের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন পৃথক দুই আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ২০ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় তার সাত দিন করে মোট ১৪ দিন রিমান্ড চান গুলশান থানা পুলিশ। এ সময় তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তারের আদালতে খালেদের অস্ত্র মামলার রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়। বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর মাদক মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালতে ওঠানো হয়। তিনি শুনানি শেষে মাদকের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: খালেদের টর্চার সেলে যা পাওয়া গেছে
রিমান্ড বাতিল করে খালেদের জামিনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আয়ুবুর রহমান মানিক। তিনি বলেন, 'খালেদ একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। তার বাসায় টাকা থাকতেই পারে। তিনি যুবলীগের পোস্টধারী একজন নেতা। তাছাড়া তিনি অসুস্থ। যে কোনো শর্তে আসামির জামিন চান তিনি।'
তার জামিনের বিরোধিতা করেন আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার বিরুদ্ধে মামলাগুলো করে র্যাব। একই সঙ্গে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ংমেন্স ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো থেকে ১৪২ জনকে আটক করা হয় সেই ক্লাবের মালিক ছিলেন যুবলীগের এই নেতা।
এরপর তার গুলশান-২-এর বাসভবনে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ তাকে আটক করে র্যাব। গ্রেফতারের পর রাতভর তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ থেকে দুপুর আড়াইটায় তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ইয়ংমেনসে দিনে লেনদেন হতো ৫ কোটি টাকা!
আরও পড়ুন: সন্ধান মিলেছে খালেদের টর্চার সেলের, আছে নির্যাতনের চিহ্ন
