বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদন জমা দিতে সময় পেল ওয়াসা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আদালত, ছবি: সংগৃহীত

আদালত, ছবি: সংগৃহীত

দুটি জোনের পানি সংশোধনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত জমা দিতে এক মাস সময় পেয়েছে ওয়াসা। আগামী ২৭ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিশেষজ্ঞ মতামত দাখিলে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় চান সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

মিজানুর রহমান আদালতে বলেন, ‘হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে বিলম্বে আদেশের অনুলিপি পৌঁছানোয় তারা পদক্ষেপ নিতে পারেননি। এ জন্য সময় চাইলে রিট আবেদনকারী বিরোধিতা করেন। পরে আদালত ২৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ৩০ জুলাই ওয়াসা দাবি করেছিল রাজধানীর পাতলা খান ও মিরপুর জোনের পানিতে ব্যাকটেরিয়া নেই। ওইদিন আদালত বিশেষজ্ঞ মতামত দাখিলের নির্দেশ দেন।

তখন এ দুই জোনের পানি সংশোধন করে বুয়েট ও আইসিসিডিআর'বির প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছিলেন, ওই দুই জোনের পানি সংশোধন করা হয়েছে।

ওইদিন আইনজীবী এ এম মাসুম বলেছিলেন, পাতলা খান ও মিরপুর জোনের যেখানে ক্লোরিন থাকবে সেখানে ব্যাকটেরিয়া থাকবে না। বৈজ্ঞানিকভাবে একসাথে ২টা থাকার সুযোগ নেই। এ কারণে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত চেয়েছেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে আটটি পানির নমুনায় ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এরআগে ২৪ জুন এ এম মাসুম বলেন, সমন্বিত প্রতিবেদনে মিরপুর ও পাতলা খান লেনে পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন। সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হলো ফেকেল ও ই-কোলাই। ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে আমরা ওয়ান বাই ওয়ান সংশোধনে গিয়েছি।