হামলার জন্য হলি আর্টিজান বেছে নেয়ার কারণ



মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
হলি আর্টিজানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্ধার অভিযান, পুরনো ছবি

হলি আর্টিজানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর উদ্ধার অভিযান, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নব্য জেএমবি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়। আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলার জন্য তারা একটি বড় হামলার পরিকল্পনা করে।

২০১৬ সালের মার্চ মাসে তামিম আহমেদ চৌধুরী ও শরিফুল ইসলাম খালেদ কল্যাণপুরে আসলাম হোসেনের ভাড়া বাসায় আসে। তারা রমজান মাসে কুটনৈতিক এলাকায় হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। এসময় আসলাম তামিমকে জিজ্ঞাসা করেন হামলা কূটনৈতিক এলাকায় কেন? জবাবে তামিম বলেন, নব্য জেএমবি সংগঠনটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দ্বারা অনুপ্রাণিত। আইএস’র দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কুটনৈতিক এলাকায় হামলা প্রয়োজন।

মামলার চার্জশিট ও আসামি আসলামের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

হলি আর্টিজান কয়েক স্তরে হামলার পরিকল্পনা হয়। হামলার মূল সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন তামিম চৌধুরী। হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল এক সাথে বেশিসংখ্যক বিদেশি হত্যা করা।

হামলার স্থান নির্ধারণে তামিম চৌধুরীর নির্দেশে আসলাম গুলশান পার্ক রেকি করেন। গুলশান পার্ক রেকি করার পর আসলাম দেখতে পায় যে, বিকাল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে পার্কে ২৫/৩০ জন বিদেশি ব্যায়াম করতে আসেন। এরপর আসলাম ২ দিন হলি আর্টিজান বেকারি রেকি করেন। সন্ধ্য ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে সে সব সময়ই ৮/১০জন বিদেশিকে পাওয়া যায়। রেকির ফলাফল তিনি তামিম চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম মারজানকে অবহিত করেন।

এবার তামিম দলের ইশতিহাদি (আত্মঘাতি) ৫ সদস্যকে নিয়ে মারজান, রাজীব গান্ধী ও বাশারুজ্জামান চকলেটকে নির্দেশ দেন। তারা গুলশান এলাকার হলি আর্টিজান বেকারি, গুলশান পার্ক, লেডিস ক্লাব, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা পার্ক, বনানী কফি শপসহ প্রভৃতি স্থান রেকি করে। পরে তারা তামিম চৌধুরীর সাথে মিলিত হয়ে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

হামলার দুইদিন আগে ২০১৬ সালের ২৯ জুন তামিম চৌধুরীর নির্দেশে তারা ফের স্থানগুলো রেকি করেন।

এরপর তারা রেকির ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, লেডিস ক্লাব, গুলশান পার্ক, বারিধারায় বিদেশি নাগরিক যাতায়াত করলেও তা সংখ্যায় কম। এছাড়া সেখানে একজন একজন করে টার্গেট করাও অসুবিধায়। সেক্ষেত্রে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি অনেক সুবিধাজনক।  আলোচনা শেষে তারা হলি আর্টিজানকেই লক্ষ্যবস্তু হিসাবে নির্ধারণ করেন।

হলি আর্টিজান রাজধানীর কুটনৈতিক এলাকা গুলশান -২ এর ৭৯ নম্বর রোডের শেষ মাথায় গুলশান লেকের গা ঘেঁষে ১৬ কাঠা জমির উপর এক মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।

হলি আর্টিজান একটি দোতলা ভবন। এর নীচতলায় একটি হল রুম, একটি কিচেন, একটি বেকারির শো-রুম, একটি কমন টয়লেট, একটি সার্ভেন্ট টয়লেট, একটি কুল রুম (চিলাররুম) এবং দ্বিতীয় তলায় একটি হল রুম ও তিনটি স্টোর রুমবিশিষ্ট।

ভবনটির পেছন দিকে জেনারেটর রুম, ওভেন জেনারেটর রুম এবং একটি পিজা ঘর বর্তমান। গুলশান লেকপাড়ের গাঁ ঘেষে একটি টালিঘর অবস্থিত। বিভিন্ন পর্যায়ে ৮৪ জন স্টাফ ওই রেস্তোরাঁয় দায়িত্ব পালন করতেন।

সবুজ ঘাস ও কোলাহলমুক্ত বাগান সদৃশ মনোরম এ রেস্তোরাঁয় আগত অতিথিরা যেখানে খুশি বসে খাবার খেতে পারতেন। বিদেশিসহ আগত উচ্চবিত্ত অভিজাত অতিথিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল হলি আর্টিজান। তারা রেস্তোরাঁয় আসতেন কিছু আনন্দঘন সময় কাটাতে। কেউ কখনই ভাবেননি এমন মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এক রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা হতে পারে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই শবে কদরের রাতে আনন্দমুখর এ হলি আর্টিজান ইতিহাসে ভয়াবহতম সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত হয়। ওইদিন জঙ্গিদের হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২৪জন নিহত হন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া ৫ জঙ্গি নিহত হয়।

আরও পড়ুন: হলি আর্টিজান হামলা: বিদেশি নাগরিকরাই লক্ষ্য ছিল

   

হাইকোর্টের রায় প্রকাশ: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৩৬ বছর আগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রায় প্রদানকারী বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ৫২ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

এর আগে, বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের অনুলিপিতে স্বাক্ষর করেন। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন— বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

রিটটি খারিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিন বিচারপতি একমত পোষণ করেছেন। তবে, রায়ে পৃথক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দারের লেখা পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম শুধু সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত শুধু মৌলিক নীতিগুলো অন্য কোনও বিধানের সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংবিধানে ইসলামকে ‘রাষ্ট্রধর্ম মর্যাদা’ প্রদান করা হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে রাজনৈতিক মর্যাদা প্রদানের বাধ্যবাধকতা নেই। অনুচ্ছেদ ২(ক) অবশ্যই সামগ্রিকভাবে পড়তে হবে এবং পড়লে এটা সুস্পষ্ট হয় যে, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার ধারণার সন্নিবেশ কোনোভাবেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে না। এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও প্রভাবিত করে না এবং সংবিধানে বাহুল্যও সৃষ্টি করে না।

রায়ে বলা হয়েছে, তর্কিত সংশোধনী সংবিধানে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকেও প্রভাবিত করে না। অতএব, আমরা মনে করি যে, তর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ২(ক) সন্নিবেশ করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানবিরোধী নয়। বিষয়টিকে সহজ করার প্রয়াস হিসেবে, উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক আমরা আমাদের রায়ে আলোচনা করেছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২(ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত, লেখক বদরুদ্দীন উমর, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

;

গয়েশ্বর-কায়সার কামালের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে পল্‌টন থানার চার ও রমনা থানার দুই মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গয়েশ্বরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে এদিন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানি শেষে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

;

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;