পাস না করেই আইনজীবী: রিট শুনতে অপারগ হাইকোর্ট
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির পরীক্ষায় পাস না করেই এক ব্যক্তিকে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবীর ঘোষণার প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রিট আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন। পাস না করেই হাইকোর্টের আইনজীবীর সনদ পাওয়া মোহাম্মদ জুম্মান সিদ্দিকী নামের ওই ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এক বিচারপতির ছেলে।
আদালত বলেন, ‘আমরা রিট আবেদনটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করছি।’
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও আইনজীবী ইশরাত হাসান।
আরও পড়ুন: পাস না করেই হাইকোর্টের আইনজীবী: চ্যালেঞ্জ করে রিট
গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও আইনজীবী ইশরাত হাসান রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন। রিটে বিবাদী করা হয়- আইন সচিব, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, বার কাউন্সিলের সচিব ও সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদেশ ও বিধি লঙ্ঘন করে বাইরে কোনোরকম পরীক্ষা ছাড়াই ওই ব্যক্তিকে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদেশ ও বিধির লঙ্ঘন। এ কারণে প্রজ্ঞাপন চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, আইনে স্নাতক কোনো ব্যক্তিকে প্রথমে বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্ত হতে হয়। এর জন্য ধাপে ধাপে নৈর্বক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির পর আবার হাইকোর্টে তালিকাভুক্তির জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে তবেই সনদ পাওয়া যায়। জুম্মান সিদ্দিকী নামের ওই ব্যক্তি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হননি। একাধিকবার অনুত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাকে সরাসরি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত দেখিয়ে গত ৩১ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।