সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলা মামলার আসামিরা আদালতে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আদালতে আসামিরা/ছবি: সুমন শেখ

আদালতে আসামিরা/ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি হত্যা মামলার রায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘোষণা করা হবে। পৌনে ১০টার দিকে আসামিদের ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক গ্রহণ শেষে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম রায়ের জন্য সোমবার ধার্য করেছিলেন।

 সকাল পৌনে ১০টার দিকে আসামিদের ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়

যুক্তিতর্ক গ্রহণের আগে মামলাটিতে ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

মামলার ১৩ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নানকে বৃটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২ আসামির মধ্যে ৭ জন পলাতক। অপর পাঁচজন কারাগারে রয়েছেন।

সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার ১৩ বছর পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৩ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক ও দণ্ডবিধির আইনে পৃথক দু’টি মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি পুলিশ।

সিআইডির ইন্সপেক্টর মৃণাল কান্তি সাহা ঢাকার সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

১২ আসামির মধ্যে পাঁচজন কারাগারে বাকি ৭ জন পলাতক

৩৪ পাতার মূল চার্জশিটসহ ১০৯ পাতার কেসডকেট আদালতে দাখিল করেন তিনি। চার্জশিটে ১০৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। চার্জশিটের সঙ্গে ৪৬টি আলামতও তিনি আদালতে দাখিল করেন।

প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩০ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলায় মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি করেছেন। আসামি মশিউর রহমান অপর এক মামলায় স্বীকারোক্তি করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মো. মশিউর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুহিবুল মুত্তাকিন, আনিসুল মুরসালিন, রফিকুল ইসলাম মিরাজ ও নুর ইসলাম।

 আদালত চত্বরের বাইরে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে সবাইকে তল্লাশি করে ঢোকানো হচ্ছে

আসামিদের মধ্যে মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ ও মো. মশিউর রহমান কারাগারে আটক আছেন। বাকি আসামিরা পলাতক আছেন।

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির ডাকা লাল পতাকার সমাবেশে বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা।

এ সময় মঞ্চে ন্যাপ সভাপতি অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সরদার ফজলুল করিম, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর তৎকালীন সভাপতি সৈয়দ হাসান ইমাম, কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম উপবিষ্ট ছিলেন।

সকাল থেকেই আদালত ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়

এ হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুটমিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মুক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই এবং খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা বিপ্রদাস আহত হয়ে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি মারা যান। বোমা হামলায় আহত হন সিপিবির শতাধিক কর্মী।

হামলার ঘটনায় সিপিবির তৎকালীন সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান খান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

২০০৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মোমিন হোসেন ঘটনার নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ পাননি উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে গ্রেফতারকৃতদের অব্যাহতির আবেদন জানান।

২০০৫ সালের শুরুর দিকে তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন বোমা হামলার ঘটনার সঙ্গে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার যোগসূত্র খুঁজে পেলে ওই বছরের ২৭ জানুয়ারি মামলাটির কার্যক্রম আবারও শুরু করার জন্য ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করেন। ২৯ জানুয়ারি আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করলে নতুন করে আবারও তদন্ত শুরু হয়।

এই দীর্ঘ তদন্তকালে ৭ জন তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেছেন।

আসামি মঈন উদ্দীন তার জবানবন্দিতে বলেন, তিনি মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মাওলানা আবদুস সালাম, মাওলানা আবদুল হাই, শফিকুর রহমান, শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর বদর ওরফে আবু জান্দাল প্রমুখ জঙ্গিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।

২০০১ সালের ১৯ জানুয়ারি হরকাতুল জিহাদের কার‌্যালয়ে গেলে তিনি জানতে পারেন, পরের দিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে সিপিবির জনসভা আছে। সেখানেই সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলার সিদ্ধান্ত হয়।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, এ হামলার মুল পরিকল্পনাকারী ছিলেন মুফতি শফিকুর রহমান। টাইম বোমা বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় মুফতি হান্নানকে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। কিন্তু আসামিরা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে সিপিবি নেতাদেরকে ‘কাফের’ আখ্যায়িত করেন। তাদের নিশ্চিহ্ন করাই এ হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল।

   

হাইকোর্টের রায় প্রকাশ: রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৩৬ বছর আগে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রায় প্রদানকারী বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ৫২ পৃষ্ঠার রায়ের অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

এর আগে, বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের অনুলিপিতে স্বাক্ষর করেন। বেঞ্চের অন্য দুই বিচারপতি হলেন— বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

রিটটি খারিজের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিন বিচারপতি একমত পোষণ করেছেন। তবে, রায়ে পৃথক পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল।

বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দারের লেখা পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২(ক) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম শুধু সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লিখিত শুধু মৌলিক নীতিগুলো অন্য কোনও বিধানের সঙ্গেও অসঙ্গতিপূর্ণ নয়। সংবিধানে ইসলামকে ‘রাষ্ট্রধর্ম মর্যাদা’ প্রদান করা হলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে রাজনৈতিক মর্যাদা প্রদানের বাধ্যবাধকতা নেই। অনুচ্ছেদ ২(ক) অবশ্যই সামগ্রিকভাবে পড়তে হবে এবং পড়লে এটা সুস্পষ্ট হয় যে, ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করার ধারণার সন্নিবেশ কোনোভাবেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে না। এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও প্রভাবিত করে না এবং সংবিধানে বাহুল্যও সৃষ্টি করে না।

রায়ে বলা হয়েছে, তর্কিত সংশোধনী সংবিধানে সন্নিবেশিত রাষ্ট্রধর্ম ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাকেও প্রভাবিত করে না। অতএব, আমরা মনে করি যে, তর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদ ২(ক) সন্নিবেশ করে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানবিরোধী নয়। বিষয়টিকে সহজ করার প্রয়াস হিসেবে, উপস্থাপিত যুক্তিতর্ক আমরা আমাদের রায়ে আলোচনা করেছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২(ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন। তারা হলেন- সাবেক প্রধান বিচারপতি কামালউদ্দিন হোসেন, বিচারপতি দেবেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য, বিচারপতি কে এম সোবহান, কবি সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, শিল্পী কলিম শরাফী, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত, লেখক বদরুদ্দীন উমর, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

;

গয়েশ্বর-কায়সার কামালের জামিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার ছয় মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস্ সামছ জগলুল হোসেন তার এ জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে পল্‌টন থানার চার ও রমনা থানার দুই মামলা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, গয়েশ্বরের হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় এ ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২২ জানুয়ারি বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আগাম জামিন দেন।

এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় জামিন নিতে এদিন একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। শুনানি শেষে আদালত তারও জামিন মঞ্জুর করেন।

;

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে এই তিন বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

এর আগে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে এই তিনজনকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে একই দিন দুপুরে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আপিল বিভাগে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই তিন বিচারপতির শপথ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান বিচারপতি তাদের শপথ পড়াবেন। শপথ গ্রহণের পর থেকে এই নিয়োগ কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন এই তিনজনের নিয়োগ হওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা আটজনে দাঁড়াল।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধা হত্যায় ভাতিজার যাবজ্জীবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জের পশ্চিম রোহিতপুর এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আলীকে হত্যার দায়ে ভাতিজা ঠাণ্ডুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ঠাণ্ডুকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া নিহতের মেয়ে জেলিনা আক্তার মৌকে গুরুতর আঘাতের দায়ে তাকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস কারাভোগ করতে হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মিনহাজুল মনিরার আদালত এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রায় ঘোষণার আগে ঠাণ্ডুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঠাণ্ডুর বাবা মারা যাওয়ার পর সে তার সম্পত্তি চাচা মোজাফফর আলীর কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যায়। মাঝে মধ্যে ঠাণ্ডু তার চাচার কাছে এসে খরচের টাকা দাবি করে নিয়ে যেত।

২০২১ সালের ১৫ জুলাই সে তার চাচার কাছে ৫০০ টাকা চাইলে মোজাফফর আলী তাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলেন আর নাই। এরপর তিনি বাড়ির সামনে টিউবওয়েলে গোসল করতে যান। এসময় ঠাণ্ডু অতর্কিতভাবে চাচার পেটে চাকু ঢুকিয়ে দেয়। তার বড় মেয়ে জেলিনা আক্তার বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও আহত করে। দুই জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাফফর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন মোজাফফর আলীর স্ত্রী নার্গিস বেগম মামলা দায়ের করেন।

;