মাড়ি থেকে রক্ত পড়ছে? ঘরেই সমাধান!
-
-
|
ফাইল ছবি
অনেকেই দাঁতের ব্যথা কিংবা মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। মুখ, দাঁত ও মাড়ির যত্ন না নিলে, পাইরিয়া কিংবা স্কার্ভি হলে মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করতে এবং মাড়ি পুনরায় স্বাস্থ্যকর করে তুলতে কিছু ঘরোয়া টোটকাও ব্যবহার করতে পারেন।
লবণ-পানি দিয়ে কুলকুচি করুন: মাড়ির রক্তক্ষরণের ক্ষেত্রে লবণ-পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লবণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ফোলাভাব কমানোর সাথে সাথে মাড়ির রক্তক্ষরণ সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত রাখে। হালকা গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার কুলকুচি করুন।
লবঙ্গ ব্যবহার করুন: লবঙ্গ তেলের ব্যবহার মাড়ির রক্তক্ষরণের ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি। লবঙ্গের তেল মাড়ির প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং মাড়ির রক্তক্ষরণ বন্ধ করতেও অত্যন্ত সহায়ক। একটু লবঙ্গের তেল মাড়িতে ঘষুণ অথবা দু-একটি লবঙ্গ চিবিয়ে কিছুক্ষণ মুখে রাখুন।
অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন: অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি মাড়ির প্রদাহসহ রক্তক্ষরণ কমাতেও অত্যন্ত সহায়ক। এক টুকরো অ্যালোভেরা নিয়ে মাড়িতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং কিছুক্ষণ রেখে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। অ্যালোভেরা যে কোনো ধরনের ছোটোখাটো মাড়ির সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
মধু মালিশ করুন: সামান্য পরিমাণে মধু নিয়ে মাড়িতে আলতো করে মালিশ করুন। মধুতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা মাড়ির রক্তক্ষরণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে।
সর্ষের তেল ও লবণ মালিশ করুন: এটি প্রদাহ কমানোর সাথে সাথে রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করে এবং মাড়ি সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। মাড়িকে শক্তিশালী করে তুলতেও সহায়তা করে। সামান্য পরিমাণে সর্ষের তেল এবং লবণ নিয়ে মাড়িতে ভালো করে মালিশ করুন। কয়েক মিনিট রেখে মুখ হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ ও সর্ষের তেল মালিশ করুন: হলুদে থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য আছে। এতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করতে সহায়তা করে। সামান্য হলুদ এবং সর্ষের তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন এবং মাড়িতে আলতোভাবে মালিশ করুন।
এবং নিয়মিত ব্রাশ করুন: মুখ এবং দাঁতের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্রাশ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করলে মুখ জীবাণুমুক্ত থাকে এবং দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারও পরিষ্কার হয়ে যায়। এ ছাড়া মাড়ির রক্তক্ষরণ, প্রদাহ এবং অন্যান্য সমস্যা রোধ করতেও এটি অত্যন্ত সহায়ক। তাই দুই বেলা ব্রাশ করুন।
