কেন ডিম খাবেন

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ডিম এমন একটি প্রাকৃতিক খাদ্য যা জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিগুণে ভরপুর। পুষ্টিবিদরা জানান, ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। পরিবারের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সের জন্য ডিম একটি অত্যন্ত উপাদেয় খাদ্য। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি ডিম রাখা উচিত।

-একটি সম্পূর্ণ ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম মানসম্মত প্রোটিন, ৫ গ্রাম উন্নত ফ্যাটি এসিড, ৭০-৭৭ কিলোক্যালরি শক্তি, ১০০-১৪০ মিলিগ্রাম কোলিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ থাকে।

বিজ্ঞাপন

-ডিমের প্রোটিনে রয়েছে মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সকল অ্যামাইনো এসিড যা দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনে সহায়ক।

-ডিমের ফ্যাটি এসিডে এলডিএলের চেয়ে এইচডিএল এর অনুপাত বেশি। ফলে নিয়মিত ডিম খেলে রক্তে এইচডিএলের অনুপাত বাড়ে যা রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের উপস্থিতি হ্রাস করতে সহায়ক।

বিজ্ঞাপন

-ডিম দীর্ঘ সময় শক্তি জোগায় এবং ক্ষুধা কমায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েটে ডিম রাখা জরুরি। সকালের নাশতায় একটি ডিম সারা দিনের পুষ্টি চাহিদা অনেকটুকুই পূরণ করতে সহায়তা করে।

-ডিমের প্রোটিন শরীরে খুব সহজে শোষিত হয়। শরীরের গঠন ও ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিন অত্যাবশ্যকীয়। এ ছাড়া প্রোটিন বিভিন্ন অঙ্গ, ত্বক, চুল এবং শরীরের বিভিন্ন টিস্যু পুনর্গঠনে সহায়তা করে।

-ডিম থেকে যে আয়রন পাওয়া যায়, তা শরীরে খুব সহজে শোষিত হয়। এই আয়রন শরীরের বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

-ডিম থেকে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। এই ভিটামিন এ ত্বক এবং চোখের কোষের সুস্থতা দান করে। সেই সঙ্গে রাতকানা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

-ভিটামিন ডির একটি ভালো খাদ্য উৎস হচ্ছে ডিম। ভিটামিন ডি হাড় এবং দাঁত সুস্থ ও মজবুত করে। কিছু কিছু ক্যানসার কোষ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়।

-ভিটামিন ই দেহে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক ও চুলের জন্য ভিটামিন ই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে সুস্থ রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

-এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং হার্ট সুস্থ রাখে।

-ডিমে ফলেট থাকে, যা নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। ফলেট এর অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য ফলেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিশুর জন্মগত ত্রুটি দূর করতে সহায়তা করে।

-ডিম থেকে যে কোলেস্টেরল পাওয়া যায় তা আমাদের শরীরে বিশেষ কোনো ক্ষতি করে না ।

-স্কাভেঞ্জিং পদ্ধতিতে পালিত মুরগির ডিমে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড বেশি থাকে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

-ডিমের কোলিন মস্তিস্ক কোষ গঠন ও সিগন্যালিং সিস্টেমে কাজ করে মানুষের স্মরণশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়।

-ডিম থেকে সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। এটি ভিটামিন ই-এর সঙ্গে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের বিভিন্ন টিস্যুর ক্ষয় রোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।

-ডিমের কুসুমে কোলিন থাকে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কোলিন মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখে।

-এছাড়াও ডিমে লিউটিন ও জেক্সানথিন রয়েছে যা চোখের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।