ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রক্ত পরিষ্কার থেকে শুরু করে বহু রোগের ওষুধ কামরাঙা। রসালো টক-মিষ্টি এ ফলটি বাঙালিদের প্রিয় খাবার। কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি এটা অনেকে চাটনি বানিয়েও খেয়ে থাকেন।
ফলটির নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’-এর মতো উপকারী নানা উপাদান রয়েছে কামরাঙায়। কামরাঙায় মানব শরীরে উপকার ছাড়া ক্ষতির কথা চিন্তাও করা হয় না।
বিজ্ঞাপন
অথচ এ কামরাঙায় নিয়ম মেনে না খেলে ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ ক্ষতি। বিশেষ করে কেউ যদি এটি খাওয়ার নিয়ম না জানেন, তা হলে সেই আশঙ্কাটি বেড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
কামরাঙার অন্যতম উপাদান অক্সালিক অ্যাসিড। বিপুল পরিমাণে অক্সালিক অ্যাসিড রয়েছে এ ফলটিতে, যা মানুষের কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, কামরাঙায় সবেচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়, এটি খালি পেটে খেলে। কারণ তাতে অক্সালিক অ্যাসিড সরাসরি গিয়ে প্রভাব ফেলে কিডনিতে। এমনকি খালি পেটে কামরাঙা বা তার চাটনি খেলে কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হয়ে যেতে পারে।
সারাদিনের পরিশ্রম এবং ক্লান্তির পর পর্যাপ্ত ঘুম ও পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। রাতে ঘুম ভালো না হলে সকালে উঠে প্রায়ই ক্লান্ত লাগে। অনেকেই ঘুম থেকেই ওঠার পর মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা হতে পারে। তবে হয়তো এই ক্লান্তি এবং মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছা সাধারণ কোনো কারণে হচ্ছে না, বরং রক্তে শর্করার পরিমাণ ভারসাম্য হারাচ্ছে।
‘চায়না ওয়েস্টলেক ল্যাবরেটরি অব লাইফ সায়েন্সের এন্ড বায়োমেডিসিন’ কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ঘুমের সঙ্গে রক্তের শর্করা মাত্রার সম্পর্ক রয়েছে। এর কারণে ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য হজম সম্পর্কিত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
৪৬ থেকে ৮৩ বছর বয়সী ১১০০ জন ব্যক্তির উপর এই সমীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ঘুমের সঙ্গে সরাসরি রক্তে শর্করার পরিমাণ সম্পর্কিত। প্রতিদিন কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন এবং কখন ঘুমাতে যাচ্ছেন, তা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করতে পারে। ঘুমের ধারাবাহিকতা বজায় না থাকলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ওঠানামা করে। বিপাক এবং ডায়াবেটিসের ওপরও এর প্রভাব পড়ে।
গবেষণায় ঘুমের সময়কে ভিত্তি করে ৪ টি ভাগ করা হয়েছে-
৪ থেকে ৪.৭ ঘণ্টা ঘুমানোকে অতিমাত্রায় অপর্যাপ্ত ঘুম বিবেচনা করা হয়।
৫.৫ থেকে ৬ ঘণ্টার ঘুমকে অপর্যাপ্ত ধরা হয়।
৬.৮ থেকে ৭.২ ঘণ্টা ঘুমকে সামান্য অপর্যাপ্ত ঘুম বিবেচনা করা হয়।
৮ ঘণ্টা এবং এর চেয়ে আধ বেশি সময় ঘুমকে পর্যাপ্ত ঘুম বলা হয়।
যারা প্রতিদিন কম ঘুমান তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। ৫.৫ ঘণ্টা থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো ব্যক্তিদের মধ্যে গ্লাইসেমিকের ব্যাপক পরিবর্তন নজরে পরে। যারা দেরিতে ঘুমায় তাদের গ্লাইসেমিক শতকরা ১.১৮ ভাগ বেশি ছিল। যারা এরচেয়েও কম ঘুমায় তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ আরও নেতিবাচকভাবে অনিয়ন্ত্রিত ছিল।
রক্তে শর্করা অসামঞ্জস্যতা কেবল ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্তদের জন্য উদ্বেগজনক নয়। এই সমস্যা আরও অনেক মারাত্মক সমস্যা ; যেমন- শক্তিমাত্রা কমিয়ে দেওয়া, বারবার ক্ষুধা লাগা, বিপাক গতি মন্থর করা, ইনসুলিন প্রতিরোধ করাসহ সার্বিক স্বাস্থ্যের অবনতি করাতেও দায়ী। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমানো ছাড়াও, দৈনিক চিনি সেবন মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে দৈনিক ২৫ গ্রাম এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৬ গ্রাম চিনি গ্রহণ মাত্রা বিবেচনা করা হয়।
ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকিতে সাধারণত সিগারেট এবং তামাকজাত দ্রব্য সেবনকারী ব্যক্তিরা বেশি থাকেন। তবে ধূমপান ছাড়াও ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার আরও কিছু কারণ থাকতে পারে। বর্তমান সময়ে সঠিক জীবনযাপনের নিয়ম অবলম্বনকারী অনেকের ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়ছে। জীবনে একবারও ধূমপান না করেও অনায়াসে তারা ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সরাসরি ধূমপান না করলেও, ধূমপায়ীর আশেপাশে থাকা ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অধূমপায়ী ব্যক্তি পরিবার বা বন্ধুদের ধূমপায়ীদের কাছ থেকে নির্গত তামাকের ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসেন। এছাড়া যানবাহনের ধোঁয়া, শিল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, ধুলা এবং কৃষিকাজের কারণে প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণ হচ্ছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষেরও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গ্যাসের অসম্পূর্ণ দহনের ফলে সালফার ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড, পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন, ফর্মালডিহাইড এবং ভারী ধাতু সহ গ্যাস নির্গত হয়। নির্গমনের সময় এগুলো সাধারণত মাইক্রোস্কোপিক বা অতিক্ষুদ্র কঠিন টুকনো বা তরল ফোঁটায় নির্গত হয়। একে পার্টিকুলেট ম্যাটার বলা হয়। এই কণাগুলো এত ছোট হয় যে সহজেই শ্বাসের সঙ্গে শরীরে চলে যেতে পারে। এই ক্ষুদ্র কণাগুলোই গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার মূল কারণ হতে পারে।
জ্বালানির ধোঁয়ার সংস্পর্শে এলে ক্যান্সার ছাড়াও নানান ক্ষতিকর রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যেমন পালমোনারি, তীব্র শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণসহ ফুসফুস ও অন্যান্য বিভিন্ন ক্যান্সার হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৯ সালে ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডি’ অনুমান করেছে, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর যে মানুষরা ফুসফুস ক্যান্সারে মারা যান তাদের মধ্যে আড়াই লাখ মানুষের ফুসফুসে ক্যান্সার হয় বায়ু দূষণের কারণে। এছাড়া বিশেষজ্ঞদের মতে, মিটারপ্রতি প্রতি ১০ মাইক্রোগ্রাম মাইক্রোস্কোপিক কণা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে অধূমপায়ীদেরও ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা শতকরা ১৫ থেকে ৩৬ ভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
ফুসফুস ক্যান্সার / ছবি: সংগৃহীত
বায়ুদূষণ ছাড়াও দৈনন্দিন আরও কিছু কারণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পথ সুগম করার জন্য দায়ী হতে পারে। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস এবং অ্যালকোহল, অতিমাত্রায় মাংস খাওয়া, বিশেষভাবে ভাজা বা স্মোক করা লাল মাংস- এসব কারণেও ফুসফুস ক্যান্সার হতে পারে। অতি মাত্রায় কফি এবং অ্যালকোহল গ্রহণ তামাক সেবনের মতোই ক্ষতিকর হতে পারে। অপরদিকে শাক-সবজি এবং ফলমূল প্রতিদিন খেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম থাকে।
ফুসফুস ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার আরও বেশি ঝুঁকিতে থাকেন খনিশ্রমিকরাও। পাথর কাটা, ঢালাই করখানার কর্মী, খনিজ গলানোর যন্ত্র, বিদ্যুৎ বিশ্লেষণ কর্মী, ভারী খাদ প্রস্তুতকারক, অ্যাসবেস্টস, সিলিকা, রেডন, নিকেল, ক্রোমিয়াম উদ্ধারকরণ মতো পেশায় জড়িতদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। এই পেশায় নিয়োজিত কর্মীদের মাস্ক পড়া এবং নিরাপত্তা সম্পর্কিত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এসব কারণে ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যান্সার ছাড়াও হাঁপানি, ফুসফুসে যক্ষ্মা , সিওপিডি’র মতো মারাত্মক দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র সময় রমজান মাস। এসময় সকলে সারাদিন রোজা রাখেন। তবে ধর্মীয় নির্দেশ অনুযায়ী রোজা রেখে দৈনন্দিন সব কাজ স্বাভাবিক রুটিন মাফিক মেনে চলতে বলা হয়েছে।
সারাদিন না খেয়ে থাকায় শরীর স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা দুর্বল থাকে। যেহেতু দিনের বেলা শরীর কোনো খাবার পাচ্ছে না, তাই ইফতারের পর এবং সেহরিতে যে খাবার শরীর পাচ্ছে তা দিয়ে সারাদিনের শক্তির জোগান পায়। তবে যেসব ব্যক্তির পেশাগত কারণে শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়, তাদের জন্য এই সময়টা আরও বেশি কষ্টকর হয়ে ওঠে।
ক্রীড়াবিদসহ অন্যান্য শারীরিকভাবে সক্রিয় পেশার ব্যক্তিদের তাই রমজান মাসে খাদ্যতালিকা আরও বেশি পুষ্টি সম্পন্ন হতে হবে। তাদের শক্তিগ্রহণ মাত্রা হ্রাস, পানিশূন্যতা, পেশিক্ষয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, ঘুমে ব্যাঘাত হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে। এই সমস্যাগুলো ক্লান্তি বাড়িয়ে দিতে পারে, তাতে শারীরিক এবং মানসিক কাজ করার ক্ষমতা আরও প্রভাবিত হতে পারে।
রোজা রেখে শারীরিক পরিশ্রমে শরীরে নেতিবাচক প্রভার পড়তে পারে। এসব সমস্যা এড়াতে যা করবেন-
১. ইফতার এবং সেহরিতে শর্করা এবং আমিষ খাবারকে প্রাধান্য দিন। যদি শক্ত খাবার খেতে কষ্ট হয় তাহলে স্মুদি, প্রোটিন শেইক বা বার খেতে পারেন।
২. শরীরে ক্যালরির চাহিদা মেটাতে উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবার এবং নাস্তা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। যেমন খেজুর, পিনাট বাটার, অ্যাভোকাডো, গ্রানেলা এবং শস্য বা বীজ জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
৩. শরীরে পানির প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখে ইলেক্ট্রোলাইটযুক্ত পানীয় পান করার চেষ্টা করুন। পানি ছাড়াও দুধ, খাঁটি ফলের রস, স্যুপ বা ডালের পানি পান করতে পারেন।
রমজানে রোজাদার / ছবি: সংগৃহীত
৪. পানিশূন্যতা রোধে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে ফাইবার সম্পন্ন খাবার খেতে হবে। যেসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি, যেমন-কিউই, বেরি, পেঁপের মতো ফল বেশি খেতে হবে। এসব ফল স্মুদি করেও পান করতে পারেন।
৫. খেলোয়াড়রা তাদের শুধু পান পানি না করে তাদের পানীয়র মধ্যে এক চিমটি লবণ, লেবুর রস এবং চিনি যোগ করে নিতে পারেন বা স্যালাইন পান করতে পারেন।
চলছে পবিত্র মাহে রমজান মাস। আল্লাহর প্রতি আনুগত্য থেকে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মুসলিমগণ পুরো এক মাস রোজা রাখেন। তবে পুরোদিন নির্জলা থেকে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করা সকলের জন্য সহজসাধ্য নয়। বিভিন্ন কারণে অনেকের জন্য রোজা রাখা বেশ কষ্টকর হতে পারে। যেমন গর্ভবতী নারী বা নবজাতকের মা, ডায়বেটিস রোগী বা অন্য যেকোনো রোগে আক্রান্ত বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য রোজা রাখা সুস্থ মানুষদের তুলনায় বেশি চ্যালেঞ্জিং।
সারাদিন না খেয়ে দিনের সব কাজ স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে যাওয়া সহজ নয়। কষ্ট কমিয়ে রোজা সুষ্ঠভাবে রাখতে কিছু টিপস মেনে চলতে পারেন। যেমন-
১. পানীয়: পিপাসা পাওয়া হলো শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণ। তাই ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত তেষ্টা না পেলেও বারবার পানীয় পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। ইফতারে পানীয় পান করে রোজা ভাঙা শুধুই ঐতিহ্যবাহী নয়, বরং শরীরের জন্যও উত্তম। পানি বা শরবতজাতীয় পানীয় পান করে রোজা ভাঙলে, শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কমে এবং খাবার খাওয়ার জন্য শরীর প্রস্তুত হয়।
তবে একবারে বেশি পানি পান করা উচিত নয়। অল্প অল্প করে পানি পান করা উচিত। নয়তো একবারে অনেক বেশি পানি পান করলে ইলেক্ট্রোলাইট পাতলা করে দিতে পারে। এই কারণে পানির বিষক্রিয়া বা ওয়াটার ইনটোক্সিকেশনের মতো সমস্যাও দেখা যেতে পারে।
রমজান মাসে মুসল্লি / ছবি: সংগৃহীত
২. স্বাদবৈচিত্র্য: ইফতারে একই ধরনের খাবার বা প্রতিদিন একই খাদ্যতালিকা রাখবেন না। ইফতারে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের খাবার রাখার চেষ্টা করুন। সারাদিন রোজা রাখায় শরীরে নানারকম পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন হয়। শস্যজাতীয় খাবার, সবজি, ফলমূল, চর্বিবিহীন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি (জলপাই তেল, বাদাম তেল, সূর্যমুখী তেল- এর মতো উদ্ভিজ্জ তেল) ইত্যাদি খাবারে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য প্রয়োজন হয়, তাই এই খাবারগুলো ইফতারে রাখার চেষ্টা করুন।
৩. খাবারের পরিমাণ: খাবার খাওয়ার পর সে খাবার শরীরের জন্য যথেষ্ট কি না- তা বুঝতে প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। তাই একবারে বেশি খাবার খাওয়া উচিত নয়। ক্ষুধা অনুভব করা এবং সে অনুযায়ী খাবার শরীরে সরবরাহ করা অত্যাবশ্যকীয়। মনোযোগ দিয়ে খাবার খেলে, ইফতারে তৃপ্তি আসে। তাতে শুধু পেটই ভরে না, বরং শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি উৎপন্নও হয়।
৪. শারীরিক ক্রিয়া: সারাদিন না খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীরে প্রভাব পড়ে। তবু, রোজা রেখে নিত্যদিনের রুটিন বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করতে হবে। বাইরে কোনো কাজ থাকলে তা ফেলে রাখবেন না। অথবা কোনো কাজ না থাকায় যদি বাড়িতেই থাকতে হয়, অন্তত অল্প অল্প হাঁটাহাঁটি করুন। যারা ব্যায়াম করেন, তারা ইফতারের পর ব্যায়াম করে দেখুন কেমন অনুভব হয়।
৫. ভিন্নতা: প্রতিটি মানুষের শরীর ভিন্ন, তাই তাদের প্রয়োজন এবং সমস্যাও ভিন্ন ভিন্ন হয়। খাবারের পছন্দ বা পরিশ্রমে দুর্বল হয়ে পড়ার মাত্রাও তাই একের থেকে অপরের ভিন্ন হয়। তাই কষ্ট যথাসাধ্য কমিয়ে সঠিকভাবে রোজা কীভাবে রাখা যায়, সেই পরামর্শের জন্য চিকিৎসক কিংবা ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। বিশেষ করে যেসব ব্যক্তির দিনের বেলা ঔষধ সেবন করতে হয়, তারা অবশ্যই কোনো সমাধান জেনে নিন। পানীয় বা খাবার ছাড়া ঔষধ খাওয়া যাবে কিনা অথবা দিনের বেলার ঔষধ না খেলে অসুবিধা হবে কিনা তা জেনে নেওয়া ভালো। তবে রোজা রাখার সময় যদি অসুস্থ বোধ করেন তবে তা অবহেলা করা উচিত নয়।