কোকাকোলার লোগো কেন লাল রঙের?
বাসাতে, বাইরে কিংবা রেস্টুরেন্টে হরদম যে কোমল পানীয়টি পান করা হয়, সেটা অবশ্যই কোকাকোলা।
একটু ভারি খাবার খাওয়া হলে কিংবা গরমে তেষ্টা মেটাতে তুমুল জনপ্রিয় এই পানীয়টির বিকল্প নেই যেন। বাজারে যতই নতুন স্বাদের, নামের বিভিন্ন ধরণের কোমল পানীয় থাকুক না কেন, কোক কিংবা কোকাকোলার বিকল্প কোন কিছু হতেই পারে না।
বিশ্বজোড়া পরিচিত এই পানীয়টির বোতল দূর থেকে দেখেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়, তার উজ্জ্বল লাল রঙের লেভেল কিংবা লোগোর জন্য। লালের উপর একদম ছিমছাম লেখাটা যেন কোকাকোলার জন্যেই তৈরি করা। বিশেষ করে, এই লাল রঙ ছাড়া কোকাকোলাকে ভাবাই যায় না।
বলতে পারবেন কি, কেন লাল রঙ? কেন অন্য কোন রঙ নয়? কোকাকোলা প্রতিষ্ঠানটি এতো দারুণ সকল রঙের ভেতর কেন লাল রঙকেই বেছে নিলেন? খুবই মজার এই বিষয়টি জানা নেই অনেকের। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
কোকাকোলার লেভেলের লাল রঙের ইতিহাস
অনেকেই বলেন, এই লাল রঙটির উৎপত্তি প্রতিষ্ঠানটির প্রথম কোন এক বিজ্ঞাপন থেকে। যেখানে সান্তা ক্লজ বিখ্যাত লাল-সাদা পোশাক পরে হাতে কোকাকোলার বোতল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তবে কোকাকোলার প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, এই লাল রঙের উৎপত্তি তারও বহু সময় আগে থেকেই। যা বিস্মিত হওয়ার মতো!
১৩০ বছরের বেশি সময় আগে, আমেরিকাতে কোকাকোলা বিভিন্ন ওষুধের দোকান ও ফার্মাসিউটিক্যালসে বিক্রি করা হতো বড় ধরণের ব্যারেলে করে। ঠিক একইভাবে বিক্রি করা হতো অ্যালকোহল। কিন্তু তৎকালীন সময়ে অ্যালকোহলের জন্য ট্যাক্স দিতে হলেও, কোকাকোলার জন্য কোন ট্যাক্স দিতে হতো না। অ্যালকোহলের ব্যারেল ও কোকাকোলার ব্যারেলের মাঝে পার্থক্য আনতেই, কোকাকোলার ব্যারেলে লাল রঙ করা হতো। যেন ট্যাক্স কর্মকর্তারা সহজেই অ্যালকোহল ও কোকাকোলার ব্যারেলের মাঝে তফাৎ করতে পারেন।
সেই থেকেই লাল রঙটি এই কোমল পানীয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। কোকাকোলার আর্কাইভিস্ট জানান, এই পানীয়ের লোগোর লাল রঙের সঙ্গে অন্য কোন লাল রঙের মিল পাওয়া সম্ভব নয়। কারণ এই লাল রঙটি তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ধরণের তিনটি লাল রঙের সমন্বয়ে।
অন্যদিকে কোকাকোলার টাইপোগ্রাফি (মুদ্রণশিল্প) হলো একেবারে অফিসিয়াল ফন্ট, যাকে বলা হয়ে থাকে ‘স্পেন্সেরিয়ান’। যা এই ব্র্যান্ডটির সঙ্গে সেই ১৯০০ সাল থেকেই একসাথে আছে।