খুসখুসে কাশির সমস্যা কমানোর উপায়

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

গত কিছুদিন ঠাণ্ডার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কম থাকলেও, গত রাত থেকে শীতের উপস্থিতি ভালোভবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। শীতল বাতাসের সঙ্গে ঠাণ্ডার আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে আবারো। হুট করেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে কাশির সমস্যা দেখা দিয়েছে অনেকেরই।

কাশির সমস্যা দেখা দিলেই যদি কাশির সিরাপ গ্রহণের অভ্যাস থাকে তবে এই অভ্যাসটি বাদ দিতে হবে এখন থেকেই। কাশির সিরাপ কাশির সমস্যাটি কমানোর চাইতে ঘুমভাব তৈরি করে বেশি। কিন্তু কাশির সমস্যাটি তো দূর করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

এক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক নিয়ম ও কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের সঠিক ব্যবহারে দ্রুত ও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। উপকারী পদ্ধতি ও উপাদান শ্বাসনালী ও ঠাণ্ডার সমস্যাকে প্রশমিত করে সহজেই।

barta24

বিজ্ঞাপন

মধু

কাশির সমস্যায় প্রথমেই মধু ব্যবহারের কথা আসবে। বাসা কিংবা অফিস, সবখানেই মধু খাওয়া যাবে। মধু গলার ভেতরের খুশখুশে ভাব দূর করার ক্ষেত্রে এক চা চামচ মধুই যথেষ্ট। তবে রাত হলে কাশি সমস্যা বৃদ্ধি পেলে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে দেড় চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে হবে। এতে তাৎক্ষণিকভাবে কাশির প্রাদুর্ভাব কমার পাশাপাশি রাতেও কাশির সমস্যাটি কম থাকবে। তবে যাদের ডায়বেটিসের প্রাদুর্ভাব রয়েছে, মধু গ্রহণ এড়িয়ে যাওয়াই তাদের জন্য ভালো হবে।

হলুদ

খুশখুশে কাশিসহ গলা ব্যথার সমস্যায় মধু কাজ করলেও, ক্ষেত্র বিশেষে হলুদ ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বিশেষত কাশির ফলে গলার ভেতরের অংশ ছিলে গেলে কিংবা গলায় ইনফেকশন দেখা দিলে হলুদ ব্যবহার হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

হলুদ ব্যবহারের জন্য গরম পানিতে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে গার্গল করতে হবে। শুষ্ক কাশির ক্ষেত্রে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করতে হবে।

গার্গল করা

কাশি ও গলাব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরি উপায় হলো গরম পানিতে গার্গল করা। গলার ভেতরে ইনফেকশন ও ইনফ্লেমেশন দেখা দিলে কোন উপাদান খাওয়ার চাইতে গরম পানিতে গার্গল করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এছাড়া গলার ভেতর মিউকাস জমেও কাশির সমস্যা তৈরি করে। একমাত্র সঠিকভাবে গার্গল করলেই এই সমস্যাটি দূর হবে।