করোনা বৃদ্ধিতে প্রসূতি ও গর্ভবতীর বাড়তি সতর্কতা

  • মায়াবতী মৃন্ময়ী, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডা. আদিবা মালিক। বার্তা২৪.কম

ডা. আদিবা মালিক। বার্তা২৪.কম

ক্রমবর্ধমান করোনার প্রকোপ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায় সবার মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ। এমন পরিস্থিতিতে প্রসূতি ও গর্ভবতী নারীদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আদিবা মালিক বার্তা২৪.কম'কে বলেন, 'প্রসূতি ও গর্ভবতী নারীর মাতৃত্বকালীন ও প্রসব পরবর্তী পরিচর্যা, চিকিৎসা ও সেবার দিকে বাড়তি নজর দিতে হয়। তার খাদ্য, পুষ্টি ও ঔষধের দিকগুলো বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হয়। আর চলমান করোনা বৃদ্ধিতে প্রসূতি ও গর্ভবতীর প্রতি বাড়তি সতর্কতা ও মনোযোগ দেওয়া দরকার।'

বিজ্ঞাপন

ডা. আদিবা মালিক বলেন, 'গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীকে মাতৃত্বকালীন মাসগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়, যাতে তার রক্তশূন্যতা, অপুষ্টি, শরীরে পানি আসা ও অন্যান্য সমস্যা না হয়। সুস্থ্য গর্ভধারণ, সুস্থ্য ও নিরোগ সন্তান প্রসবের জন্য গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'

তিনি বলেন, 'করোনাকালে গর্ভবতী নারীকে খাদ্য, পথ্য ও ঔষধের পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। বাড়িতে অবস্থানকালে তাকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ির যারা কাজের জন্য বাইরে যান, তাদের থেকে গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীকে দূরত্ব বজায় রাখা ভালো। প্রয়োজন ছাড়া তাদের জন্য বাইরে যাওয়া বা বাইরের লোকের সঙ্গে মেলামেলা পরিহার করাই বাঞ্ছনীয়।'

বিজ্ঞাপন

ডা. আদিবা মালিক বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মান্য করা, মাস্ক পরিধান করা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা ও সাবান দিয়ে হাত ধৌত করার বিষয়গুলো পরিবারের অন্য সদস্যের পাশাপাশি গর্ভবতী ও প্রসূতি নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে পালন করতে হবে। কোনও শারীরিক সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।'

চট্টগ্রামের বিশিষ্ট গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. আদিবা মালিক বৈশ্বিক মহামারি করোনার চরম বিস্তারের পটভূৃমিতে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক প্রতিরোধের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্বের তাগিদ দিয়ে বলেন, 'দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ১১৬ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশে। এখন পর্যন্ত করোনায় দেশে ২৮ হাজার ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৯২ হাজার ২০৯ জনে। বিশ্বব্যাপীই সংক্রমণ লাগামছাড়া গতিতে চলছে। এমতাবস্থায়, দেশের সকল নাগরিক ও বিশেষত প্রসূতি ও গর্ভবতী নারীর সুস্থতা ও সুরক্ষায় বাড়তি সতর্কতা ও মনোযোগ দেওয়া অতীব জরুরি।'