যে ৫ টোটকায় বাড়বে ত্বকের জেল্লা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ত্বকের জেল্লা বাড়াতে চান? তাহলে রোজ সকালে তো ত্বকের পরিচর্যা করতেই হবে। তবে অতিরিক্ত খরচ না করেও ঘরোয়া রূপচর্চাতেও কিন্তু ত্বকের জেল্লা বাড়ানো যায়। কিন্তু যেমন ইচ্ছা রূপচর্চা করলেই তো হল না। বিয়ের আগে ত্বকের জেল্লা ফেরানোর জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবেই বিশেষ দিনটিতে আশপাশের সকলের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল থাকবে আপনার ত্বক।

কী কী করলে বাড়বে ত্বকের জেল্লা?

>> বিয়ের দিনটি এগিয়ে আসার আগে ঘরেই কয়েক বার ফেশিয়াল করে নেওয়া দরকার। ফেশিয়াল করলে রক্ত চলাচল ভাল হয়। ত্বক ঝলমল করে। কিন্তু চিন্তা করছেন কী দিয়ে ফেশিয়াল করবেন? ঘরে মুলতানি মাটি থাকলে তা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। মুলতানি মাটির সঙ্গে কিছুটা দুধ আর মধু মিশিয়ে ফেশিয়াল করতে হবে।

>> মৌসুম বদলের সময়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের উপর জমতে থাকে মৃত কোষ। এই সময়ে মুখের উপর সেই জমা কোষ পরিষ্কার করা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত দু’বার মধু আর টক দই মিশিয়ে মাখুন। তারপর কিছুক্ষণ মুখটা মালিশ করতে থাকুন। মৃত কোষ উঠে গিয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরবে।

>> রূপচর্চার ফল ভাল পাওয়ার জন্য খাওয়াদাওয়ার দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কী কী খাচ্ছেন, সে দিকে নজর দিন। ভিটামিন ডি ও ভিটামিন সি-তে ভরপুর খাবার এই সময়ে খেতে হবে। টক দই, সবজি, ফল মিশিয়ে রাখুন রোজের খাদ্যতালিকায়।

>> শরীরের ভাল রাখতেই নয়, ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও বেশি করে পানি খেতে হবে। কাজের ফাঁকে নিয়ম করে ‘ডিটক্স ওয়াটার’-এ চুমুক দিতে থাকুন। রাতে শোয়ার আগে শসা, পুদিনা, লেবুর টুকরো এক জগ পানিতে ফেলে দিন। পরের দিন সারা দিন অল্প অল্প করে সেই পানি চুমক দেওয়ার অভ্যাস করুন। দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি খেতেই হবে।

>> বিয়ের আগে মনে নানা ধরনের চিন্তা থাকে। অনেক দায়িত্বও থাকে। এই সময়ে যেন ঘুম সম্পূর্ণ হয়, সেই বিষয়টি খেয়াল রাখুন। নইলে কিন্তু জেল্লা কখনওই বাড়বে না।

কাঁঠালের বীজের স্বাস্থ্যগুণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ফল। সারাবছর গ্রীষ্মকালীন ফল পাওয়া গেলেও বিশেষ করে জাম, জামরুল, তরমুজ ও কাঁঠাল সব সময় পাওয়া যায় না। গরম পড়তেই দেখা মেলে মৌসুমি এই ফলের। এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে কেউ তেমন ওয়াকিবহাল নয়। বিশেষ করে এই ফলের বীজের পুষ্টিগুণের কথা তো অনেকেরই অজানা। কাঁঠালের বীজে থাকা জিঙ্ক, লোহা, তামা, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের প্রাচুর্যের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়াও রাইবোফ্ল্যাভিন ও থিয়ামিনের উপস্থিতিতে শরীরও চাঙ্গা থাকে।

কী কী গুণ রয়েছে কাঁঠালের বীজের?

>> কাঁঠালের বীজ খেলে মানসিক চাপ কমে, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস।

>> এই বীজে ভরপুর মাত্রায় লোহা থাকে, যা হিমোগ্লোবিনের অন্যতম উপাদান। রক্তাল্পতা থাকলে আয়রন সমৃদ্ধ ডায়েটের জন্য পুষ্টিবিদরাও কাঁঠাল বীজ খেতে বলেন।

>> কাঁঠাল বীজে ভিটামিন এ থাকে। তাই দৃষ্টি স্বচ্ছ রাখতে এবং চুলের গোড়া শক্ত করতে এই বীজ রাখা যেতেই পারে ডায়েটে।

>> যারা নিরামিষ খান তাদের পক্ষে মাছ-মাংস থেকে প্রোটিন পাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। কাঁঠাল বীজ সেক্ষেত্রে ডায়েটে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এটি পেশির শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। নিয়মিত যারা জিমে যান, তাদের ডায়েটে এই বীজ রাখা যেতে পারে।

>> কাঁঠালের বীজ রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিলে সেটি নিয়মিত খেলে গ্যাস-অম্বলের আশঙ্কা কমে। এছাড়া কাঁঠাল বীজে প্রিবায়োটিক থাকে। এগুলি শরীরে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ায়।

কীভাবে খাবেন?

>> রোদে শুকিয়ে নিয়ে ছোট ছোট করে কেটে ঘিয়ে রোস্ট করে লবণ, গোলমরিচ দিয়ে খাওয়া যায়।

>> রোদে শুকিয়ে নিয়ে তার পর সেদ্ধ করে তেল মরিচ দিয়ে মেখে খাওয়া যায়।

>> আর পাঁচটা সবজির মতোই তরকারি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন নিরামিষ তরকারির মধ্যে দিলেও খেতে ভাল লাগে।

>> যে কোনও ঝোলে ব্যবহার করতে পারেন।

;

পাকা পেঁপে কেন খাবেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান সকলের আগে। তবে অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে চান না। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই ফলকে ‘মহাঔষধ’ বলে মনে করেন। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য পাকা পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই নিয়ম করে পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির যম। এ ছাড়াও পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজমে সহায়ক

পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার করে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তা-ই নয়, যাদের অর্শের সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পেঁপে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকেই। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে, তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

;

ওজন কমবে মেথির গুণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় দেখেই হাত নিশপিশ করে, তবে কেনার আগেই মাথায় শত চিন্তা আসে! যা ভুঁড়ি হয়েছে, তাতে পোশাকগুলি পরলে আদৌ মানাবে তো? রোগা হতে গেলে তো ভারী কসরত করতে হবে, আর ওতেই যে বড্ড অনীহা! রোগা হতে গেলে যে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা একেবারেই নয়। রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করে আর খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলেই কিন্তু ওজন কমানো যায়। এর পাশাপাশি কিছু মশলার গুণেও কিন্তু ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা যায়। মেথিরও সেই গুণ রয়েছে।

মেথি চা

চা তো খান রোজ, এ বার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও হবে। স্বাদে তেঁতো হলেও কাজ দেবে ষোলো আনা। একেবারেই খেতে না পারলে, চায়ে যোগ করে দিন এলাচ কিংবা আদা।

কী করে বানাবেন? ফুটিয়ে তাতে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে দিন। তার পর চা ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন কিছুক্ষণ। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।

মেথির পানি

ঠাকুরমা-দিদিমারা পেট গরম হলেই মেথির পানি খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয় এই পানীয়।

অঙ্কুরিত মেথি

ভিটামিন ও নানা খনিজপদার্থে ভরপুর মেথিবীজ হজমে সাহায্য করে। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে পানি দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।

মেথি গুঁড়ো

মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমায়। বাজার চলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। এই পানিতে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।

;

চা-কফির নেশা কাটাবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই সময়ে চা কিংবা কফিতে চুমুক না দিলে যে খুব ক্ষতি হবে, তা নয়। কিন্তু কোনও মতেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বা সারা দিনে কাজের মাঝে অগুণতি বার কফি পান করলে এই গরমে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে কফি পান করলে কর্টিজলের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণ এই হরমোনটি। তাই যদি চা-কফি পানে লাগাম টানতে চান, তিন পন্থা অবলম্বন করে দেখতেই পারেন।

শরীরচর্চায় মন দিন

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরচর্চা করতে শুরু করলে অনেক সময় চা বা কফির নেশা কমতে শুরু করে। কারণ, প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদদের দেওয়া খাবার তালিকায় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের মাত্রায় হ্রাস টানতে বলা থাকে।

এমন মানুষদের সঙ্গে মিশুন যারা চা বা কফি পান করেন না

কথায় বলে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস। সত্যিই যদি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে এমন মানুষদের সঙ্গ নিন, যারা কথায় কথায় চা, কফি পান করেন না।

চা, কফির বদলে স্বাস্থ্যকর পানীয়র অভ্যাস করুন

যখনই চা বা কফি পান করতে ইচ্ছে করবে তখন এমন কোনও পানীয় খেতে চেষ্টা করুন, যা স্বাস্থ্যকর। অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা চা বা কফি পান করে থাকেন। তার বদলে ফলের রস, স্বাস্থ্যকর শরবত খেতে পারেন।

;