শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষও পরিচালনা করবে রোবট!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রোবট রেস্টুরেন্টের ধারণটা আনকোরা নতুন নয়।

বিশ্বের উন্নতশীল দেশ ঘুরে আমাদের দেশেও চালু হয়েছে রোবট রেস্টুরেন্ট। যেখানে ক্রেতাদের কাছ থেকে খাবারের অর্ডার নেওয়া ও খাবার পরিবেশনের মতো দায়িত্ব পালন করে যন্ত্রে তৈরি সফটওয়্যার দ্বারা পরিচালিত রোবট।

জাপানেও এমন একটি রোবট রেস্টুরেন্ট চালু হতে যাচ্ছে। এতে চমকটা কোথায়? চমকটা হলো, এই রোবটগুলোকে পরিচালিত করবে শারীরিকভাবে গুরুত্বর অসুস্থ ও অক্ষম মানুষেরা।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/12/1544608120806.jpg

অভিনব এই আইডিয়া নিয়ে জাপানের টোকিয়তে ‘ডন ভের বেটা’ নামক এই রেস্টুরেন্টটি পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু করেছে দুই সপ্তাহের জন্য। রেস্টুরেন্টটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ‘অরলি ল্যাবস’ এর তৈরি সুদৃশ্য রোবট।

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে রেস্টুরেন্টটিতে কাজ করছেন ১০ জন। তারা প্রত্যেককেই শারীরিকভাবে বিকল বা শক্তিহীন। কেউ অ্যামায়োট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরসিস (Amyotrophic Lateral Sclerosis – ALS) রোগে আক্রান্ত কিংবা স্পাইনাল কর্ডের ইনজ্যুরির ভুক্তভোগী। শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষগুলোকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যেই মূলত এই রেস্টুরেন্ট গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। ৪ ফুট উচ্চতার ‘অরিহিমে-ডি’ নামক রোবটগুলোকে নিজ বাসা থেকেই পরিচালনা করা যাবে। তার বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থটাও কিন্তু নেহাত কম নয়। প্রতি ঘন্টার জন্য তারা পাবেন ১০০০ ইয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩৮ টাকা।

রোবটগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় কম্পিউটারের সাহায্যে আই মুভমেন্ট তথা চোখের ইশারার মাধ্যমে। যা রোবটগুলোকে নির্দেশ করে চলাফেরা করার জন্য, কোন বস্তু ধরে তোলার জন্য। এমনকি ক্রেতাদের সঙ্গে কথাও বলানো হয় চোখের ইশারার মাধ্যমে। মূলত রোবটদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/12/1544608155052.jpg

‘আমি এমন একটি পৃথিবী তৈরি করতে চাই যেখানে শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষেরাও কাজ করতে পারবে’ এমনটাই জানান অরি ল্যাব ইঙ্ক এর সিইও কেনটারো ইয়োশিফুজি।

বর্তমানে এই ক্যাফেটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ স্থায়ীভাবে ক্যাফেটি চালু করা হলে বলে জানা যায়।

আরো পড়ুন: টেস্ট টিউব ট্রি: বিলুপ্তি প্রতিরোধে নতুন পদক্ষেপ