ডাবের পানি যে শরীরের জন্য উপকারী, সেটা তো সকলেই জানেন। কিন্তু জানেন কি রূপচর্চাতেও কাজে লাগতে পারে ডাব? নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া ত্বক কিংবা শুষ্ক চুলের সমস্যা কমাতে ডাবের জলের জুড়ি নেই। শুধু জল নয়, ডাবের শাঁসও রূপচর্চায় কাজে আসতে পারে। ডাবের পানি এবং শাঁস ত্বককে শুধু ভিতর থেকে নয় বাইরে থেকেও আর্দ্র রাখে। ব্যবহারের উপায় জেনে নিন-
জেল্লা বৃদ্ধি করতে
বিজ্ঞাপন
সকালে বা রাতে ঘুমোনোর আগে ডাবের শাঁস দিয়ে মালিশ করতে হবে। মালিশ করার পর ১০ মিনিট রেখে দিন এবং তার পর হালকা গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ঘুম থেকে উঠে কোথাও যেতে হলে চোখের তলায় ফোলাভাব দেখা যায়। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ডাবের শাঁসের মিশ্রণ চোখের তলায় লাগিয়ে নিলে ফোলা ভাব কমে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করতে
সারা বছর কেউ কেউ তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা দূর করতে একটি পাত্রে ডাবের শাঁস বাটা, বেসন, মুলতানি মাটি ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগান। মিনিট ১৫ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার এই প্যাক ব্যবহার করুন, তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর হবে।
ট্যান দূর করতে
ডাবের শাঁস বেটে নিয়ে ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে বরফের ট্রে-তে ভরে রাখুন। রোদ থেকে ফিরে সেই বরফ মুখে ঘষে নিন। এই টোটকা মানলে ট্যান পড়বে না।
এক্সক্লুসিভ ক্যাম্পেইনের আওতায় ছয়জন ভাগ্যবান বিজয়ী পাবেন সর্বোচ্চ ৬,০০০ টাকার গিফট ভাউচার এবং সব ক্রেতারা পাবেন বিশেষ ডিসকাউন্ট।
দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন বিউটি ও পার্সোনাল কেয়ার প্ল্যাটফর্ম সাজগোজ ই-কমার্সের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তী উপলক্ষ্যে ‘সাজগোজ অ্যানিভার্সারি সেল’ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। এর আওতায়, গ্রাহকরা সাজগোজ থেকে কেনাকাটায় ৭০% পর্যন্ত মূল্যছাড়, একটি কিনলে একটি ফ্রি (BOGO) অফার এবং যেকোন ক্যাটাগরির পণ্য ক্রয়ে বিশেষ কম্বো অফার উপভোগ করতে পারবেন। এসবের পাশাপাশি, ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী ছয়জন সৌভাগ্যবান বিজয়ীরা সর্বোচ্চ ৬,০০০ টাকা মূল্যের বিশেষ গিফট ভাউচার পাবেন। ২৭শে অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পেইনটি আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করার জন্য ক্যাম্পেইন চলাকালে যেকোন পণ্য কিনে তার একটি ছবি ক্রেতার ফেইসবুক বা ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে পাবলিক পোস্ট করে কেনাকাটার অভিজ্ঞতার পছন্দের বিষয় সম্পর্কে ক্যাপশনে লিখতে হবে। পোস্টে অবশ্যই #ShajgojAnniversarySale এবং #ShajgojSelfCare হ্যাশট্যাগ দুটি ব্যবহার করতে হবে এবং যেকোনো ছয়জন বন্ধুকে ট্যাগ করতে হবে। অংশগ্রহণের শেষ তারিখ আগামী ১৬ই নভেম্বর। ক্যাম্পেইন থেকে ছয়জন সৌভাগ্যবান বিজয়ী বেছে নেওয়া হবে, যাদের প্রত্যেকে বিভিন্ন মূল্যের একটি করে সর্বোচ্চ ৬,০০০ টাকার আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার পাবেন।
সাজগোজ বাংলাদেশের বিউটি ই-কমার্স মার্কেটের ৩৫% শেয়ারহোল্ডার। তারা গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী আসল ও নির্ভরযোগ্য পণ্য সরবরাহ এবং প্রতিটি গ্রাহকদের পার্সোনাল কেয়ার এডুকেশন নিশ্চিতে কাজ করে আসছে। দেশি ব্র্যান্ডের পণ্যের সাথে চার শতাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ১০ হাজারেরও বেশি পণ্যের বিশাল সমাহারের পাশাপাশি, সঠিক পণ্যটি বেছে নিতে সাজগোজ গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী পার্সোনালাইজড ও কাস্টমাইজেবল পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
সাজগোজ-এর কো-ফাউন্ডার ও সিসিও সিনথিয়া শারমিন ইসলাম বলেন, “সাজগোজ অ্যানিভার্সারি সেল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সকল গ্রাহকদের সাথে নিয়ে আমাদের ই কমার্সের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করতে পেরে আমি আনন্দিত। তাদের আস্থা ও সহযোগিতায় আমরা দেশের বিউটি ই-কমার্স মার্কেটের বড় একটি অংশ পরিচালনা করতে পারছি। আমরাও সবসময় সৌন্দর্য চর্চায় গ্রাহকদের সঠিক পরামর্শ ও টুলস সরবরাহ করে এসেছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবো। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাগুলো সম্পর্কে জানতে আমি ভীষণ এক্সাইটেড।”
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অনলাইন বিউটি ও পার্সোনাল কেয়ার প্ল্যাটফর্ম সাজগোজ, সৌন্দর্য ভিত্তিক কন্টেন্ট-শেয়ারিং ওয়েবসাইট দিয়ে যাত্রা শুরু করে দ্রুতই জনপ্রিয়তা ও নির্ভরযোগ্যতা অর্জন করে নেয় এবং ধারাবাহিকভাবে দেশের বিউটি ই-কমার্স খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করে চলেছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যক্তিগত সৌন্দর্য পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে ক্রেতাদের সঠিক পণ্য নির্বাচন এবং কেনাকাটার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাজগোজ সর্বদা ক্রেতাদের সন্তুষ্টি, সঠিক পণ্য বাছাই এবং দেশের বিউটি ই-কমার্স খাতে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে বিউটি ই-কমার্সের ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক তৈরি করতে সাজগোজ তার মান ও বিশ্বাসযোগ্যতায় অবিচল রয়েছে।
ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ ও অফার উপভোগ করতে সাজগোজ-এর ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ রাখুন। এছাড়া, আকর্ষণীয় গিফট ভাউচার পেতে এই লিংক ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/share/p/GMcQH1JfFqqUmvW5/?mibextid=WC7FNe
আমাদের পরিবেশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচে্ছ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন গুলো নেতিবাচক। বিশেষ করে পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদানের ক্ষতি বেড়ে চলেছে। দিন দিন পানিদূষণ, মাটিদূষণ বেড়েই চলেছে। তবে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে বায়ুদূষণ। মানুষ ছাড়াও অধিকাংশ প্রাণীর জন্য বায়ু অত্যন্ত জরুরি প্রাকৃতিক উপাদান। স্থলজ প্রাণীরা বায়ুর অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতেই পারবে না। বায়ুদূষণ মানে, প্রাণী শরীরে ক্ষতি করতে পারে এমন বায়বীয় পদার্থের তুলনামূলক আধিক্য।
মূলত মানব সৃষ্ট বিভিন্ন কারণেই বায়ুদূষণ হয়। আমরা যে কেবল পরিবেশের বায়ু অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত হওয়ার কারণ, তা নয়! ঘরের মধ্যের নিরাপদ পরিবেশের বায়ুও অজান্তে নানাভাবে দূষিত করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত।
পরিবেশের বায়ুদূষণ রোধকরা কষ্টসাধ্য হলেও ঘরের মধ্যের বায়ুদূষণ কমিয়ে আনা উচিত। বায়ুদূষণের ফলে নানারকম রোগ হতে পারে, যা বাতাস দূষণ হওয়া রোধ করার মাধ্যমে আশঙ্কা কমিয়ে আনা যায়। সেক্ষেত্রে করণীয়-
১. দূষণের উৎস: ঘরের বায়ুদূষণের উৎসগুলো আগে খুঁজে বের করতে হবে। রান্নার তেল, কীট-পতঙ্গ দূর করার কয়েল ও মোম অথবা রাসায়নিক পদার্থসম্পন্ন ঘর পরিষ্কার করার সামগ্রী ব্যবহার করলে তার মাধ্যমে ঘরের ভেতরের বায়ু দূষিত হতে পারে। এসব থেকে বাতাসে ফরমালডিহাইড, ভোলাটাইল অর্গানিক কম্পাউন্ডস, ২.৫ এবং ১০ পিএম পার্টিকুলেট ম্যাটার নিঃসৃত হয়। এর ফলে ঘরের মধ্যের বাতাসের দূষণমাত্রা বাইরের বাতাসের চেয়েও বেড়ে যেতে পারে।
২. বায়ু চলাচল: ঘরের মধ্যে বাইরে থেকে আলো-বাতাস আসা-যাওয়ার ভালো ব্যবস্থা থাকতে হবে। সূর্যরশ্মির উপস্থিতিতে গ্রিনহাউজ গ্যাসের প্রভাব কম বিস্তার লাভ করে। অনেকে দরজা- জানালা খুব একটু খুলতে পছন্দ করেন না, বিশেষ করে শীতকালে। ঘর এরকম বন্দি অবস্থায় থাকলে বাতাসের ক্ষতিকর উপাদান, যেমন কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণে বেড়ে যায়। বাইরের বাতাসের সাথে আদান-প্রদানের সুযোগ থাকলে বায়বীয় উপাদানের ভারসাম্য বজায় থাকে।
৩. ধূমপান: আমাদের দেশে ঘরোয়া বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ধূমপান করা। সিগারেটে অনেক ক্ষতিকর উপাদান থাকে। বাড়ি বা গাড়ির মতো বদ্ধ স্থানে ধূমপান করার ফলে ওই স্থানের বাতাস দূষিত হয়ে যায়।
৪. বায়ু নিষ্কাশন ব্যবস্থা: বর্তমানে বাসাবাড়িতে চিমনি, এসি, এয়ারকুলার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এইসব যন্ত্র ঘরের মধ্যের প্রাকৃতিক বায়ু অবস্থা বিরাজ করতে বাঁধা প্রদান করে। তাছাড়া ঘরের মধ্যে এসব উপকরণের ফলে ধূলাবালি বদ্ধ অবস্থায় থেকে যায়, যা বায়ুদূষণের কারণ।
৫.ফেসমাস্ক: করোনা মহামারির সময় বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসচেতনতা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। বাইরে গেলে সকলে মাস্ক পড়ে বের হতো। এখন আবার মাস্কের ব্যবহার কমে গেছে। শুধু ঘরেই বায়ুদূষণের ফলে স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে এমনটা নয়। বাইরের বাতাসেও ধূলা-বালিসহ ক্ষতিকর অনেক দূষিত পদার্থে থাকে। তাই বাইরে বের হলেও মাস্ক পড়তে হবে।
আই বাই সিক্রেটস তাদের প্রথম এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার চালু করেছে হোলসেল ক্লাব যমুনা ফিউচার পার্কে।
এ সেন্টারটি এমন একটা জায়গা যেখানে যেকোনো বয়সের নারী একটি নারীবান্ধব পরিবেশে তাদের পছন্দের প্রোডাক্টের ট্রায়াল থেকে কেনাকাটা সবই করতে পারবেন।
এছাড়া এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার পুরোটাই থাকছে ফিমেইল স্টাফদের তত্ত্বাবধানে। তাই প্রাইভেসি বা প্রোডাক্ট সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নে থাকছে না কোনো দ্বিধা! সব ধরনের ব্যান্ড এবং কাপ সাইজের এভেলেবিলিটি থাকায় প্রতিটা মেয়ে তার সাইজ অনুযায়ী পারফেক্ট প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে পারবে।
এছাড়াও যারা সাইজ নিয়ে কনফিউসড এবং প্রয়োজনের ধরন অনুযায়ী প্রোডাক্ট সিলেকশন করতে পারছে না তাদের জন্য আই বাই সিক্রেটসে আছে ফ্রি গাইড কনসালটেন্সি। তাদের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে এই ফ্রি সার্ভিসটি নিতে পারবেন আপনিও।
জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের শরীরে নানারকম অভ্যন্তরীণ এবং বর্হিভূত পরিবর্তন আসে। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের শরীরে পরিবর্তন বেশি হয়। কৈশোর থেকে শুরু করে মাতৃত্বকালীন, নানা বয়সে নারীদের শরীরে বড় ধরনের আসে বার বার। এরকমই একটি বড় ধরনের পরিবর্তন হলো মেনোপজ।
নারীরা যখন ৪৫-৫০ বছর পার করে, তখন তাদের শরীরে মধ্যবয়সের নানারকম পরিবর্তন আসতে শুরু করে। এসব পরিবর্তনের কারণে সমগ্র শরীরেও নতুন কিছু অবস্থার সৃষ্টি হয়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলোও তাতে সমর্থন করতে নিজেদের মধ্যেও পরিবর্তন আনে। তবে সমস্যা হলো, এসব অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের কারণে বাহ্যিক প্রভাবে নারীদের নানা জটিলতার পরতে হয়। নারীদের এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়া মেনোপজ নামে পরিচিত।
মেনোপজ হলো নারীদের জীবনের একটি বড় পরিবর্তনের ধাপ। এইসময় ঋতুস্রাবের স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়ে অনিয়মিত হতে শুরু করে। এই কারণে আরও কিছু উপসর্গ প্রকট হতে থাকে। যেমন: মেজাজ পরিবর্তন বা মুড সুয়িং, চুল ঝরা, হঠাৎ হঠাৎ বেশি গরম লাগাসহ আরও অনেক কিছু। এইসব সমস্যাগুলো এড়াতে যা করতে পারেন-
১.ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার: মেনোপজ শুরু হওয়ার পর নারীদের দ্রুত হাড় ক্ষয় হতে দেখা যায়, যার ফলে ওস্টেওপোরোসিসের মতো রোগ হতে পারে। ভিটামিন ‘ডি’ এবং ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষতিপূরণ করে মজবুত করতে কাজ করে। দই, চিজের মতো দুগ্ধজাতীয় খাবার ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে সাহায্য করে। যাদের এইজাতীয় খাবারে হজম বা এলার্জির সমস্যা আছে তারা সবুজ শাক এবং কাঠ বাদাম খেলে উপকার পাবেন। সার্ডিন, শিম বা মটরশুটি জাতীয় খাবার এবং টফুতেও ভরপুর ক্যালসিয়াম থাকে। অন্যদিকে স্যামনের মতো সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, ম্যাকরেল- এধরনের চর্বিযুক্ত খাবার ভিটামিন ‘ডি’ এর ভালো উৎস।
২. নিয়মিত ব্যায়াম: একটা বয়সের পর নারীদের ওজন বাড়তে শুরু করে, যা নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক জরুরি। এতে মেনোপজের ধাপেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রতিদিন অল্প করেও ব্যায়াম করলেও মানসিক চাপ কমে আর মেজাজ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হয়, তার সাথে হৃদক্রিয়াও তরান্বিত হয়।
৩. হরমোন অসুবিধার চিকিৎসা: মেনোপজের সময় নানারকম অস্বস্তিকর উপসর্গ দেখা যায়। যেমন: গরম লাগা, রাতে ঘাম হওয়া, স্পর্শকাতর স্থান শুষ্ক হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া ও পাতলা হতে থাকা ইত্যাদি। সাধারণত এই সমস্যাগুলো এরস্ট্রাজেন কমার লক্ষণ। মূলত নারীজাতীয় হরমোন অর্থাৎ, প্রোজেস্টেরন এবং এস্ট্রোজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক হলে বা ভারসাম্য হারানোর সঙ্গে এই সমস্যাগুলো সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে পরিণতি গুরুতর হওয়ার আগেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
৪. বাজারজাত করা খাদ্য পরিহার: মেনোপজ নারীদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া। যে বয়সে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়, সেসময় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। কারণ ব্লাডসুগারের তারতম্যের কারণে ক্লান্তি, ওজনবৃদ্ধি, মুড সুয়িংয়ের মতো সমস্যা বাড়তে থাকে।
এইসময় নারীদের স্বাস্থ্যকর পুষ্টিসম্পন্ন খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। যেমন তাজা শাক-সবজি, রঙিন ফল এবং শস্যজাতীয় খাবার। প্রক্রিয়াজাতকারী খাবারে অনেক সময় প্রিজারভেটিভ বা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়, যা একেইবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই বিশাল এই পরিবর্তনের সময়ে অস্বস্তিকর অনুভূতি কমাতে জীবনধারার পরিবর্তন আনা অতীব জরুরি।