শিশুর হাড় মজবুত করতে খাদ্য তালিকায় রাখুন এই ৫ খাবার
সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে সব বাবা-মায়েরাই চিন্তায় থাকেন। শিশুর বৃদ্ধি যাতে ভাল হয়, তার জন্য দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার দিকে বিশেষ নজর দেন অভিভাবকেরা। হাড় ও মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য শৈশব থেকে যত্নবান হতে হয়। আর ছোট বয়সে বাচ্চা খেলাধুলো করবে এটাই স্বাভাবিক। আর এতে তার হাড় মজবুত ও শক্তিশালী হবে। কিন্তু অনেক সময় বাচ্চাদের হাড় শক্তিশালী হয় না।
অনেক ক্ষেত্রে এটা হাড়ের ঘনত্ব কম হওয়ার জন্যও হয়। ১৮ পেরিয়ে গেলে হাড়ের বৃদ্ধিও ধীর হয়ে যায়। তাই ছোট বয়স থেকেই শিশুর হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। এজন্য আপনাকে বাচ্চার খাদ্যতালিকার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবারই একমাত্র আপনার সন্তানের হাড়ের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে পারে। শিশুর হাড় মজবুত করতে যেসব খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় রাখবেন চলুন জেনে নেই।
১. নিয়মিত দই খাওয়ান
সন্তানের হাড়ের জোর বাড়াতে চাইলে তাকে নিয়মিত দই খাওয়াতে হবে। দইতে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, ফোলেট এবং পটাশিয়াম। আর এই সকল উপাদান হাড়ের জোর বাড়ানোর কাজে ভীষণ কার্যকরী। এছাড়া দই হল প্রোবায়োটিকের ভাণ্ডার যা অন্ত্র সুস্থ রাখে। প্রতিদিন দই খাওয়ালে শিশুর গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও কম হবে।
২. সুষম খাদ্য দুধ খাওয়ান
দুধ একটি সুষম পানীয়। এই পানীয়তে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট। দুধে থাকা ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং পটাশিয়াম হাড়ের জোর বাড়ায়।। তাই বাড়ন্ত বয়সের বাচ্চাদের দিনে ১ গ্লাস দুধ পান করানো উচিত।
৩. সবুজ শাক খাওয়ানো শেখান
ছোটদের মধ্যে বেশিরভাগই শাক দেখলেই কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। তারা কিছুতেই এই খাবার মুখে তুলতে চায় না। কিন্তু এই শাকপাতাতেই রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার। শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন কে। এই দুই উপাদান সরাসরি হাড়ের জোর বাড়াতে পারে। এছাড়া শাকে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও বেশ কার্যকর। তাই শিশুর খাবারে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে শাকপাতা রাখুন।
৪. মাছ হোক নিত্যসঙ্গী
বাচ্চাকে ছোট-বড়, সমস্ত ধরনের মাছই খাওয়ান। কারণ মাছে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। এই দুই উপাদান ছোটদের হাড় গঠনের কাজ করে। এছাড়া এতে উপস্থিত রয়েছে উৎকৃষ্ট মানের প্রোটিন। ফলে পেশি শক্তি বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই রোজ সন্তানকে অন্তত ১০০ গ্রাম মাছ খাওয়াতেই হবে। আর তাতেই মিলবে উপকার।
৫. প্রতিদিন ডিম খাওয়ান
ডিমের মতো উপকারী এক খাদ্যকে রোজই সন্তানের ডায়েটে রাখতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। আর এই সকল ভিটামিন প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে হাড়ের জোর বাড়ায়। তবে ছোটদের দিনে একটির বেশি গোটা ডিম খাওয়াবেন না। এতে উপকারের বদলে নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়তে পারে।
তথ্যসূত্র- এইসময়