পালং শাকের সাত উপকারিতা



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে পালং শাক, ছবি: সংগৃহীত

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে পালং শাক, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাসে খাদ্যাভাসের সময়ে কিছুটা পরিবর্তন আসার ফলে, খাদ্য তালিকাতেও চলে আসে বড়সড় পরিবর্তন।

এই পরিবর্তের ফলে সবজি-শাক খাওয়ার পরিমাণ কমে যায় অনেকটা। যার ফলে খাদ্য পরিপাকজনিত অথবা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলো দেখা দিয়ে থাকে অহরহ। 

এমন ধরনের সমস্যা তো বটেই রমজান মাসসহ পুরো বছর জুড়ে সুস্থ থাকতে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে পালং শাক। উপকারী এই প্রাকৃতিক উপাদানটির সাতটি মূল উপকারিতা তুলে ধরা হলো।  

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে

অবিশ্বাস্য কম মাত্রার কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ পালং শাক ডায়বেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য সুপার ফুড হিসেবে ধরা হয়। এতে CHO এর মাত্রা কম থাকায় আধা কাপ শাক থেকে পাওয়া যাবে নামমাত্র পরিমাণ গ্লাইসেমিক লোড। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিবেলার খাবারে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের মাত্রা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা আঁশ রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

চোখের জন্য উপকারী

পালং শাকে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ বেটা ক্যারোটিন, লুটেইন ও জ্যানথিন চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। এই উপাদানগুলো চোখনে ম্যাকুলার ডিজেনারেশন তথা দুর্বল দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থেকে প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া চোখের ভেতর জ্বালাপোড়া ও চোখ ফুলে যাওয়ার সমস্যাগুলো কমাতেও ভূমিকা রাখে পালং শাক।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/13/1557735565734.jpg
চোখ সুস্থ রাখবে পালং শাক

 

সাহায্য করে ওজন কমাতে

ওজন কমানোর জন্য পুরো ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ কমাতে চাইলে খাদ্যাভাসে নিম্নমাত্রার ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখার চেষ্টা করতে হবে। উচ্চমাত্রার ক্যালোরিযুক্ত খাবারের পরিবর্তে নিম্নমাত্রার ক্যালোরিযুক্ত খাবার রাখতে হবে তালিকায় এবং কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারের মাঝে পালং শাক অনন্য। দেড় কাপ পালং শাক থেকে পাওয়া যাবে ২৬ ক্যালোরি। যা রীতিমত অবিশ্বাস্য।

লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে

আমাদের শরীরে নতুন কোষ, বিশেষ করে লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে অবদান রাখে পালং শাকে থাকা ফলেট তথা ভিটামিন-বি৯। এছাড়াও ডিএনএর পরিবর্তন প্রতিরোধ করে এই ভিটামিন। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। মাথা ঘোরার সমস্যা, বমিভাব দেখা দিলে কিংবা ত্বকের সমস্যায় আমরা ফলিক অ্যাসিড ট্যাবলেট খেয়ে থাকি। অথচ ফলেট সমৃদ্ধ পালং শাক নিয়মতি খেলে এই সমস্যাগুলোও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব।

মস্তিষ্ক ও নার্ভাস সিস্টেমের সুস্থতায়

বেশিরভাগ প্রাকৃতিক শাক-সবজিই ভিটামিন-বি৬ সমৃদ্ধ। যা নার্ভাস সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। এছাড়া এতে থাকা পটাশিয়াম মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল, মনোযোগ ও মস্তিষ্কের জ্ঞানীয় কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সবুজ শাকের মধ্যে পালং শাক থেকে পাওয়া যায় নায়াসিন। যা সামগ্রিকভাবে মস্তিষ্কের সুস্থতায় অবদান রাখে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/13/1557735670717.jpg
পালং শাকে ভালো থাকে হৃদযন্ত্র 

 

ভালো রাখে হৃদযন্ত্র

উপকারী এই খাদ্য উপাদানে থাকা ফলিক অ্যাসিড হোমোসিস্টেন এর মাত্রা কমাতে কাজ করে, যা হৃদরোগ তৈরির জন্য দায়ী। পালং শাকে রয়েছে লুটেইন (Lutein) নামক এক প্রকারের বিশেষ পিগমেন্ট। যা হৃদযন্ত্র সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধে কাজ করে। এটা একইসাথে খারাপ কোলেস্টেরলের (LDL) ও ফ্যাটের মাত্রা কমায়।

শক্তি প্রদান করে

ভাবুন তো একবার শাক থেকে যদি শারীরিক শক্তি পাওয়া যায়, তবে কেমন হয়! পালং শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন বি১ ও থায়ামিন থাকে, যা গ্লুকোজ মেটাবলিজমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাটা এটা অন্যান্য খাদ্য উপাদান থেকে শক্তি সঞ্চিত করে এটিপি (Adenosine Triphosphate) এ রূপান্তরিত করে। এছাড়া রিবোফ্লাভিন খ্যাত ভিটামিন-বি২ শরীরে শক্তি উৎপাদনে ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুন: অজানা গুণে ভরপুর সহজলভ্য লাউ

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য উপকারিতায় কার্পণ্যহীন করলা

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;