ঝামেলা এড়াতে সংরক্ষণ করুন বাড়তি খাবার

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিদিন প্রতিবেলায় নতুন নতুন খাবার রান্না করা বেশ ঝামেলাজনক কাজ। তার মাঝে যদি একা হাতে সবকিছু করতে হয় তবে ঝামেলা বেড়ে যায় অনেকখানি। এ সময়ে সবচেয়ে উপযুক্ত কাজটি হল খাবার সংরক্ষণ করা। কোন খাবার একবারে রেঁধে পরবর্তী কয়েক দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারলে রান্নার ঝামেলা কমে যায় অনেকখানি।

কিন্তু অনেকেই খাবার সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অবগত নন বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাবার নষ্ট হয়ে যায় অথবা সংরক্ষিত খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কিছু সহজ টিপস জানা থাকলে খাবার সংরক্ষণ করা সহজ হবে।

বিজ্ঞাপন

১. মাংস রান্না সংরক্ষণের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, মাংস সম্পূর্ণ রান্না না করে শুধুমাত্র ভালোভাবে কষিয়ে এরপর সংরক্ষণ করতে হবে। তিনটি মুরগি যদি একবারে রান্না করা হয় তবে দুই মুরগির সমপরিমাণ মাংস কষিয়ে আলাদাভাবে তুলে রাখতে হবে পরবর্তী সময়ের জন্য। কষানোর সময় পানি যথাসম্ভব কম দিতে হবে, না দিলেই ভালো এবং এতে কোন আলু দেওয়া যাবে না। এতে করে মাংসের স্বাদ ও টেক্সচার একই রকম থাকবে ও পরবর্তীতে কষানো মাংস ঝোল করে খেলে একদম ফ্রেশ স্বাদ পাওয়া যাবে।

সবজি

২. সবজি সম্পূর্ণ রান্না না করে আধা সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে ও শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর জিপপক ব্যাগে পরিমাণমত সিদ্ধ সবজি রেখে ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। পরবর্তীতে রান্না বা ভাজি করার জন্য বের করে মাঝারি আঁচে ধীরে ধীরে রাখতে হবে। এতে করে শাক ও সবজি উভয়ই সুস্বাদু হবে।

বিজ্ঞাপন

৩. মাছ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বড় মাছ সংরক্ষণ করা হবে সবচেয়ে ভালো এবং মাছ তেলে হালকা ভেজে এরপর মসলাতে কষিয়ে নিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। পানি দিয়ে ঝোল করা হলে মাছ ও মাংস উভয়ের স্বাদই নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া সংরক্ষণের জন্য যে মাছটুকু কষানো হবে, এতে কোন সবজি ব্যবহার করা যাবে না। সবজি থেকে নিঃসৃত পানি মাছকে নরম করে বিস্বাদ করে দেবে।

৪. ফল সংরক্ষণ করতে চাইলে সবচেয়ে ভালো হবে ফ্রেশ ফল পানি ছাড়া ব্লেন্ড করে কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করলে। এতে করে করে ফলের স্বাদ, মান ও পুষ্টি বজায় থাকার পাশাপাশি যেকোন সময় প্রয়োজন মাফিক ফল খাওয়া যাবে জ্যুস কিংবা সালাদ হিসেবে।