ঈদযাত্রায় ১৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জনের প্রাণহানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফাইল ছবি: বার্তা২৪.কম

ফাইল ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহায় সীমিত আকারে যাতায়াত হলেও সড়ক দুর্ঘটনা কমেনি। এবারের ঈদে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত ৩৩১ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে ২৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১৭ জন নিহত ও ৩৭০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

রোববার (৯ আগস্ট) দুপুরে নগরীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২০ প্রকাশকালে এই তথ্য তুলে ধরেন।

সংগঠনটির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল প্রতি বছরের মতো এবারও এই প্রতিবেদনটি তৈরি করে। এতে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবত পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এবছর গণপরিহন সীমিত আকারে চালু থাকায় ঈদযাত্রায় ব্যক্তিগত পরিবহন ও ছোট যানবাহনে যাতায়াত বেড়েছে। এ কারণেই ব্যক্তিগত পরিবহনের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে।


গত ২৬ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ দিনে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত ৩৩১ জন আহত হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে রেলপথে ৪টি ঘটনায় ১ জন নিহত হয়েছে। একইসময়ে নৌ-পথে ৩৩টি ছোট-বড় বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ৭৪ জন নিহত ও ৩৯ জন আহত এবং ১৭ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে।


এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৪ আগস্ট, এইদিনে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৮ আগস্ট, এইদিনে ৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এই সময় একদিনে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪ আগস্ট, এইদিনে ৩২ জন নিহত হয় এবং একদিনে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয় গত ৩১ জুলাই, এইদিনে ৫৫ জন আহত হয়।

দুর্ঘটনা কবলিত যানবহনের পাই চিত্র

এই সময়ে ৮৮ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৬ জন নিহত ৬৫ আহত হয়। এবছর মোট সংঘটিত ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনার ৮৮টি ঘটেছে মোটরসাইকেলের সাথে অন্যান্য যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটনা, যা মোট দুর্ঘটনার ৪৩.৭৮ শতাংশ। যেখানে মোট নিহতের ৪৩.০৮ শতাংশ এবং মোট আহতের ১৯.৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা ৫২.২৩ শতাংশ ঘটেছে। আগামী ঈদে এ দুটি ঘটনা এড়ানো সম্ভব হলে সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৯৬.০১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।

সংগঠিত দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট যানবাহনের ৩২.৫৮ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৯.৩৫ শতাংশ বাস, ১৯.৩৫ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-লরি, ১০ শতাংশ ব্যাটারিরিকশা-ইজিবাইক-ভ্যান-সাইকেল, ৮.০৬ শতাংশ অটোরিকশা, ৭.৭৪ শতাংশ কার-মাইক্রো-জিপ ও ২.৯০ শতাংশ নছিমন-করিমন-ট্রাক্টর-লেগুনা-মাহিন্দ্রা এসব দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল।

সংঘটিত দুর্ঘটনার ২৪.৩৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫২.২৩ শতাংশ পথচারীকে গাড়ি চাপা দেয়ার ঘটনা, ১৫.৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনায় ও ৭.৪৬ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩২.৩৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৯.২৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ১৩.৪৩ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৯৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৯৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে সংঘটিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যাত্রীর যাতায়াত হলেও সেই তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মতো ছোট দেশের সীমিত রাস্তায় ছোট যানবাহনের আমদানি জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের চালকদের প্রশিক্ষণ, নিয়ন্ত্রয়ক সংস্থা বিআরটিএসহ ট্রাফিক বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহনকে বিকশিত করা জরুরি। একইসাথে সড়ক দুর্ঘটনাকেও মহামারির মতো গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, এডিটরস ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান নুর নবী শিমু, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক, জিয়া প্রমুখ।

   

মিরসরাইয়ে বজ্রপাতে তিন গরুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বজ্রপাতে কৃষকের তিনটি গরু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গরু তিনটি বাজারমূল্য মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোররাতে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের রহমতাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রহমতাবাদ এলাকার বাসিন্দা নুরুল করিম বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে বজ্রপাতে আমার এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান, রেজাউল করিম ও আবুল হাসেমের তিনটি গরু বজ্রপাতে মারা যায়। গরুগুলো বাড়ির অদূরে চরে বাঁধা ছিল। সকালে গিয়ে দেখতে পায় যে গরুগুলো পড়ে রয়েছে। মারা যাওয়া গরুর মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন, বজ্রপাতে আমার ওয়ার্ডে তিনটি গরু মারা গেছে। তারা অনেক কষ্টে গরুগুলো লালন পালন করছেন।

;

বগুড়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, নানা আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, নানা আটক

বগুড়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, নানা আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় মায়ের সাথে হরিবাসর অনুষ্ঠানে আসা ৫ বছরের এক শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে তার নানা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বগুড়া সদরের শশিবদনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বন্ধন কুমার দাস (৫) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খানসামা গ্রামের রবি কুমার দাসের ছেলে। রবি কুমার তার শ্বশুরবাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের বথুয়াবাড়ি গ্রামে বসবাস করেন।

বন্ধনকে হত্যার পর তার নানা (মায়ের মামা) নিজ ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে বসে ছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে। আটক সুকুমার দাস (২৫) সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের শশীবদনী গ্রামের ঝুমুর দাসের ছেলে। সম্প্রতি স্নাতক পাশ করে বগুড়া আইন কলেজে ভর্তি হয় সুকুমার।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদ জানান, কাকলী রানী গত মঙ্গলবার তার মামার বাড়ি শশীবদনী গ্রামে ছেলে বন্ধনকে সাথে নিয়ে হরিবাসর অনুষ্ঠানে যান। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাকলীর মামা সুকুমার বন্ধনসহ দুই শিশুকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় সে ধান কাটার কাঁচি দিয়ে শিশু বন্ধনের গলায় আঘাত করলে অন্য শিশুটি ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামের লোকজন ওই শিশুর কাছ থেকে বিষয়টি জানার পর গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় সুকুমার তার বাড়ির একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক সুকুমার হত্যার কারণ সম্পর্কে কোনো কিছু জানায়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নিহত শিশুর মরদেহ শজিমেক হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

;

উপজেলা নির্বাচন: সিরাজগঞ্জে ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে সিরাজগঞ্জের ৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। এর মধ্যে ৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি ও কাজিপুর উপজেলার নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়।

যাচাই-বাছাই শেষে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জনের মধ্যে চেয়ারম্যান পদের এস.এম.নাছিম রেজা নুর, মোঃ রাশেদ ইউসূফ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ জিহাদ আল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া মিলনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

সদরে চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- এস.এম.আহসান হাবীব, মোঃ নূরুল ইসলাম, মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, মোঃ শহিদুল ইসলাম এবং ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে মোঃ আকরাম হোসেন, মোঃ জামাত আলী মুন্সি, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছাঃ নূরুন্নাহার খানম, মোছাঃ নূরে ফতিমা, মোছাঃ আফরিন খাতুন।

অপরদিকে বেলকুচি উপজেলার ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৩ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে মোঃ সিরাজুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সুলতানা রাজিয়া মিলনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আমিনুল ইসলাম সরকার, মোঃ বদিউজ্জামান ফকির, মোঃ মাসুদ রানা ফকির এবং পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইউসুফ আলী সেখ, মোঃ আব্দুল আলীম, ফারুক সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছাঃ রত্না বেগমকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

পরে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে যাচাই-বাছাই পর্বে অনুষ্ঠানে কাজিপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদের ৩ জন প্রার্থী মোঃ আশরাফুল আলম, মোঃ আবুল কালাম আজাদ এবং খলিলুর রহমান সিরাজী, (পুরুষ) ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ শাহীনুল ইসলাম শাহীন, মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছাঃ শাপলা খাতুন, মোছাঃ জুলেখা খাতুন, মোছাঃ সুলতানা হক, মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস, মোছাঃ বিলকিস খাতুনকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রার্থীদের নির্বাচনী হলফ নামায় তথ্য গরমিল, অভিযোগ ও অন্যান্য কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তবে তাদের আপিল করার সুযোগ রয়েছে। আপিলের মাধ্যমে মনোনয়ন ফিরেও পেতে পারেন।

প্রসঙ্গত, তফসিল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ প্রথম ধাপের নির্বাচন মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের দিন অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী, প্রস্তাবক ও সর্মথকদের উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল মনোনয়ন জমা দেন।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২২ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও ২৩ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ৮ মে ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

মাদক কারবারিতে আধিপত্য বিস্তার করতে হত্যা, গ্রেফতার ৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মাদক কারবারিতে আধিপত্য বিস্তার করতে হত্যা, গ্রেফতার ৮

মাদক কারবারিতে আধিপত্য বিস্তার করতে হত্যা, গ্রেফতার ৮

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদক কারবারিকে ঘিরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পল্লবী থানার স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় পাভেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এছাড়াও ৫ জনকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, মো. রায়হান বাবু (২৪), মো. সোহেল তোতা মামা (২৪), মো: বাচ্চু কাজল বাচ্চু (২৩), হাবিব (২৮), আনিস (২২), মিলন হোসেন (৩৭), শাহাবুদ্দীন (২৮) এবং সোহান ইসলাম (২৬)।


এ সময় এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি আর.টি.আর মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলেও জানানো হয়।

এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় টাঙ্গাইল, বরগুনা ও বরিশাল মহানগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হত্যা মামলার আসামি মো. রায়হান বাবু , মো. সোহেল তোতা মামা ও মো. বাচ্চু কাজল বাচ্চুকে গ্রেফতার করে।

হারুন অর রশিদ বলেন, আমাদের টিম সিরাজগঞ্জ, বরগুনা, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গা অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তিন জনকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হত্যাকাণ্ডে যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি থানা পুলিশও বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। থানা পুলিশ এবং ডিবি পুলিশ মিলিয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত অধিকাংশ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে আসলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারিকে ঘিরে ঘটনাটি ঘটেছে। এর আগে যে ভিক্টিম পাভেলকে তারা হত্যা করেছে সেও কিন্তু ২২ ডিসেম্বর আসামি হাবিবের উপর আক্রমণ করেছিল। সে সময় এই হামলা সংক্রান্ত একটি মামলাও বাড্ডা থানায় রজু হয়েছিল। সেই মামলায় পাভেল জেলও খেটেছিল। জেল থেকে বের হওয়ার পরে ভিক্টিম পাভেলকে একটা মোটরসাইকেলে করে তাজমুল এক জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিল। সেখানে যাওয়ার পথে আসামিরা মিলে তার উপর আক্রমণ করে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় ভিক্টিম পাভেলের মা পারুল বেগম পল্লবী থানায় একটি মামলা করেছে। সেই মামলার সূত্র ধরে আমাদের ডিবি টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ৩ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে। অন্যান্য৷ আসামিকেও থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ও পল্লবী জোনাল টিমের টিম লিভার মো. রাশেদ হাসান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ছিল মূলত মাদক কারবারিকে ঘিরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে। মাদক কারবারি ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার করতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভিক্টিম পাভেলকে হত্যা করা হয়েছে।

এর আগে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৪ এপ্রিল রাত ৮ টার দিকে আসামি মো. হাবিব, মো. হানিফ, মো. আনিছ, মো. রায়হান বাবু, মো. মিলন, মো. জহিরসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামি পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম পাভেলকে ডেকে নিয়ে পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২, স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা-১ এর পেছনে টেকের বাড়ি নামক স্থানে গণপূর্তের পুকুরের উত্তর পাড়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উল্লিখিত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামিরা ভিকটিম পাভেল এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে আসামিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিক্টিম পাভেল মারা যায় এবং ভিকটিমের মা মোছা. পারুল বেগম পল্লবী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

;