কুলফি'র কাবুলিওয়ালা আশরাফুলের আনন্দ-বেদনার কাব্য!



আপন তারিক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া থেকে
কুলফি'র কাবুলিওয়ালা আশরাফুল

কুলফি'র কাবুলিওয়ালা আশরাফুল

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এই কুলফি লাগবে কুলফি...’ -দূর থেকে কাছে আসছিল শব্দটা! গলিতে উঁচু গলায় এমন হাঁকডাকে কেমন যেন স্বস্তির পরশ ছুঁয়ে গেল। প্রচন্ড গরমের কারণে কিনা কে জানে কুলফি মালাই- শব্দ দুটো কানে আসতেই অন্যরকম এক প্রশান্তি অনুভব করলাম। খাঁটি দুধে চিনি, এলাচ, বাদাম, কিশমিশ আর গরম মসলার মিশ্রণে এক অমৃত স্বাদের আইসক্রিম! ১৬শ শতাব্দীতে মুঘল সাম্রাজ্যে যে হিমায়িত মিষ্টান্নের পথ চলা, তার আঁতুড় ঘর এখন কুষ্টিয়া।

ঢাকার অলি-গলিতে কান পাতলে প্রায়ই ভেসে আসে- কুষ্টিয়ার রশিদ ভাইয়ের কুলফি মালাইয়ের বিজ্ঞাপন। সেটা কতোটুকু খাঁটি তা নিয়ে প্রশ্ন তো আছেই! তবে সত্যিকারের কুলফি মালাই পেতে আপনাকে আসতে হবে সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুষ্টিয়ায়।

খাঁটি দুধে চিনি, এলাচি, বাদাম, কিশমিশ আর গরম মসলার মিশ্রণে এক অমৃত স্বাদের আইসক্রিম

স্বাদের সঙ্গে সুঘ্রাণেরও যে নিবিড় একটা সম্পর্ক আছে, সেটা তুলোর মতো নরম কুলফিতে কামড় দিয়ে আঁচ করতে পারলাম। কুষ্টিয়ায় বেড়াতে এসে স্বাদ নেওয়া হলো কুলফি মালাইয়ের। দৌলতপুরের আল্লার দর্গায় দেখা মিলল ৩৭ বছর বয়সী যুবক মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে। যার জন্মের পরের পুরোটাতেই জড়িয়ে আছে লালন সাঁইজির অঞ্চলের এই ডেজার্ট!

কুমারখালির উত্তর কয়ার ছেলে আশরাফুল। এটা জানিয়ে রাখা ভাল- কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া আর শিলাইদহ'র বেশ কয়েকটি গ্রামের অনেকেই পেশায় কুলফি বিক্রেতা! আশরাফুলও তাদের একজন। যিনি নিজের তৈরি কুলফি সিলভারের হাঁড়িতে নিয়ে ঘুরে বেড়ান কুষ্টিয়া আর কুমারখালীর রাস্তায়!

অভাবের সংসারে বেড়ে উঠা আশরাফুলের। বাবা নেশার জগতে গিয়ে বিক্রি করে দেন শেষ সম্বল ভিটেটুকুও। তিনভাই পড়ে যান অকুল পাথারে। ঠিক তখনই কিশোর আশরাফুল পেয়ে যান আব্দুল জলিল মিয়ার দেখা। এই নামটা এই অঞ্চলে বেশ বিখ্যাত। কারণ তার হাত ধরেই যে কুলফি সারা বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তিনি বেঁচে নেই, তার ছেলেরাই এখন বাবার ব্যবসা আর সুনামের হাল ধরেছেন।

আশরাফুলের কুলফি মালাই

জলিল মিয়ার কাছেই আশরাফুলের হাতেখড়ি। শিখেছেন কিভাবে গরুর খাঁটি দুধের সঙ্গে কিশমিশ, চিনি আর সামান্য মসলায় যাদুকরী স্বাদের মালাই তৈরি করা সম্ভব। ব্যস এরপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। আশরাফুল বার্তা২৪.কমের সঙ্গে বলছিলেন, ‘ওস্তাদ শিখাই দিতিই আমি আর এলাকায় থাকলাম না। সুজা চইলি গেলাম ঢাকায়। মিরপুর, খিলগাঁও, ফার্মগেট ম্যালা জাগাতেই ফেরি কইরি বিক্রি করিছি কুলফি মালাই। বলতি পারেন এরপরই আমার দিন ফেরেছে!’

বাবা ছিলেন সংসার বিবাগী, অগোছালো। আশরাফুল পিতার বেখেয়ালি জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে একেবারেই এক সংসারী মানুষ। যখন হাতে কিছু পয়সা এলো আর দেরি করেন নি, ফিরে এসেছেন কুষ্টিয়ায়, কয়া গ্রামে। সংসার পেতেছেন। সন্তানও হয়েছে। নিজের জীবনের গল্পটা বলছিলেন, ‘বড় কিছু করার ইচ্ছা নিকো আমার। সব সুময় ঝামেলা মুক্ত থাকতি চাই। এই কারণেই ঢাকায় থাকলাম না। চইলি আলাম গ্রামে। এখন এক ছেলে আর এক মেয়ের সংসার আমার। ভালই আছি আমি।’

মহামারি করোনা এসে গরমে ব্যবসার ঠিক সময়ে বড় ক্ষতি করে দিয়েছে আশরাফুলের। এমনিতে মাস শেষে কম করে হলেও ২০ হাজার টাকা লাভ থাকে। কিন্তু করোনার সময়ে অনেকেই ভয়ে ঠান্ডা মালাই খেতে চায় না। আবার শীতকালে তো আইসক্রিম চলেই না। তখন অবশ্য বসে থাকার মানুষ নন আশরাফুল। কুষ্টিয়ার আরেক বিখ্যাত খাবার তিলের খাজা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।

যদিও কুলফি মালাই বিক্রেতা হিসেবেই নিজের পরিচয় দিতে ভালোবাসেন তিনি। কারণ এই খাবারটায় যে তার নিজের স্বাদ, রুচি লেগে আছে। নিজের হাতেই প্রতিদিন তৈরি করেন কুলফি। প্রতিদিন ২০ কেজি দুধ জ্বাল দেওয়ার কাজটা অবশ্য তার ঘরণীই করে। স্বাদের বাকি সিক্রেট থাকে তার হাতে! ১০০ থেকে ১৫০ পিস কুলফি নিয়ে বের হন প্রতিদিন। ১০, ২০, ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় মেলে একেকটি কুলফি।

লালসালু কাপড়ে মোড়ানো সিলভারের পাতিলে বরফের আড়ালে রাখা কুলফি নিয়ে হাঁক দেন রাস্তায়, অলিতে গলিতে। আশরাফুলের কী ইচ্ছে করে না ব্যবসাটা আরও বড় করতে। নিজের নামে বিজ্ঞাপন করে আরও নাম কামাতে?

খাঁটি দুধের তৈরি কুলফি মালাই

-প্রশ্নের জবাবে হাসিমুখে কুলফি'র কাবুলিওয়ালা বলছিলেন, ‘বুঝতি পারছি আপনে রশিদের কথা বলতি চাইছেন। আসলে সত্যি হলো জিনিস ভালো হলি অ্যাডভার্টাইজের দরকার হয় না। মানুষ আপনেক এমনি খুঁজি নিবি।’ আশরাফুলের তৈরি খাঁটি দুধের কুলফিতে কামড় দিয়ে এই কথাটাই মনে হলো আমার! মনে হচ্ছে আমি নিজেও হয়তো এখানে পা রাখলে খুঁজে নেবো তাকে!

তবে কিছুতেই এই পেশায় নিয়ে আসতে চান না ছেলেকে। এভাবে ফেরি করা কষ্টের জীবন দিতে চান না ছেলেকে। আশরাফুল বলছিলেন, ‘ম্যালা সময় নিয়ে বানানো এরপর মাথায় করি ৩০ কেজি ওজনের পাতিল নিয়ে ঘুরি বেড়ানো অনেক কঠিন কাজ। এটা আমি কখনোই আমার ছেলেকে করতি দেবো না। ওকে বলেছি তুই মন দিয়ে পড়াশোনা কর। যা কষ্ট করার আমিই করি!’

কথাটা শেষ করেই অবশ্য জিভে কামড় দিলেন আশরাফুল। না একটুও কষ্ট নেই তার। তিনি সুখী। কোনো দুঃখ নেই। হাসি মুখে জানাচ্ছিলেন, ‘যখন আপনাগোর মতো মানুষরা আমার কুলফিতে কামড় দিয়ে দুটা প্রশংসা করে তখন সব ভুইলে যাই। মনে হয় আমার জন্মই তো হয়েছে কুলফি বেচার জন্য!’

এভাবে ভাবতে পারেন বলেই শত অভাবের মাঝেও আশরাফুলদের জীবন সুন্দর। তাদের বেঁচে থাকাটা আরও সুন্দর! কথাগুলো যখন ভাবছিলাম তখন কাছ থেকে আরও দূরে হারিয়ে গেল আশরাফুলের চড়া গলা-‘এই কুলফি লাগবে কুলফি...!’

   

বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি

বসুন্ধরায় আইএসডি স্কুলের সামনে গুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে(আইএসডি) গুলির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (০৮ মে) দুপুর ২টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। এতে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আহসান গ্রুপের মালিকের সন্তানের দেহরক্ষীদের বন্দুক থেকে গুলি করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আইএসডি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জোর প্রচেষ্টাও চলছে। কিন্তু এ ঘটনায় অন্য ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আইএসডি স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক জানান, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন বন্দুকধারী দেহরক্ষীদের প্রবেশাধিকার থাকবে? এটা তো দেশের আইন বহির্ভূত। গুলিটা আমার সন্তানের শরীরেও আঘাত হানতে পারতো। অথবা অন্য কোনো ছাত্রছাত্রী আহত-নিহত হলে, এর দায় কে নিতো? আইএসডি স্কুল এবং বসুন্ধরা আবাসিক কর্তৃপক্ষের উচিত, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ভিআইপি'র দেহরক্ষীকে স্কুলের ভেতরে প্রবেশ করা থেকে বিরত রাখা।

গুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গুলশান বিভাগের ভাটারা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা।

তিনি বলেন, দুইটা গাড়িতে বাচ্চাদের নিতে এসেছিল। একটা গাড়িতে গানম্যান/বডিগার্ড ছিল। তাদের বন্দুক থেকে বের হওয়া অপ্রত্যাশিত গুলিতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

;

ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে বিল পাসের সুপারিশ করেছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এসংক্রান্ত সুপারিশসহ বিলের উপর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮মে) রাতে ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিল উপর প্রতিবেদন উত্থাপন করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম।

সংসদে উপস্থাপিত বিলে বলা হয়েছে, ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলে উল্লিখিত, এর সর্বত্র উল্লিখিত ‘সচিব’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ শব্দসমূহ এবং ‘সচিবের’ শব্দের পরিবর্তে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তার’ শব্দসমূহ প্রতিস্থাপিত হবে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিকভাবে শক্তিশালীকরণ, সরকার প্রদত্ত বরাদ্দের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর উপায় নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পরিষদ আইনকে আরো যুগোপযোগী ও সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন-২০২৪’ সংশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সম্মানী প্রদানের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ইহার মাধ্যমে কোনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বরখাস্তকালীন সময়ে ভাতা প্রদানের বিষয়ে কোনো আইনগত জটিলতা থাকিবে না।

এতে আরো বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণা বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে। গ্রাম আদালত পরিচালনা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালন ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ইউনিয়ন পরিষদের কার্যাবলীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হলে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরো বিস্তৃত ও কার্যকর হবে। এছাড়া বিলে ‘ইউনিয়ন পরিষদ সচিব’ নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা’ করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

;

দাগনভূঞায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. আরাফাত (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ মে) রাত নয়টার দিকে সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীপুর (৫ নম্বর ওয়ার্ড) এর আজিজ উল্যাহ হাফেজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার (৮মে) বুধবার বিকালে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত আরাফাত একই এলাকার আমির উদ্দিন মোল্লা বাড়ির মো. লোকমান হোসেনের ছেলে। সে রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করত। তিন ভাইয়ের মধ্যে নিহত আরাফাত সবার ছোট।

স্থানীয়রা জানান, ওইদিন রাত নয়টার দিকে আরাফাত তার ভাইসহ ওই গ্রামের আজিজ উল্যাহ হাফেজের বাড়ি নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের কাজ করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক মোটরের সুইস দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাতকে মৃত ঘোষণা করে।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন স্বপন আরাফাতের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আরাফাত নামে এক যুবকের মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

;

বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতি আত্মহননমূলক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনের মতো বিএনপি উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্তকে আত্মহননমূলক রাজনীতি বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা বিএনপির উপজেলা নির্বাচন বর্জন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে যারা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত তারা দেশের সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারেন না। বিএনপির নেতা-কর্মীদের কাছে আমার প্রশ্ন- কোনো নির্বাচনেই যদি অংশ নিতে না পারেন, তবে আর কেন বিএনপির রাজনীতি করবেন।

উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হলেও বিএনপি কেন ঢাকা শহরে লিফলেট বিতরণ করছে- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, এগুলো তাদের লোক-দেখানো কর্মসূচি। কখন যে তারা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের লিফলেট বিতরণ করতে দূতাবাসগুলোতে চলে যায়, সেটিই দেখার বিষয়, কারণ তারা তো কথায় কথায় বিদেশি দূতাবাসে ধর্না দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা নিয়ে মন্তব্য চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয়, ইউরোপজুড়ে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে, হচ্ছে। আর আমরা দেখেছি, আমাদের এখানে হিরো আলমকে বা কোনো মেয়র পদপ্রার্থীকে কেউ ঘুষি মারলেও তারা বিবৃতি দেয়, আর তাদের ওখানে বিক্ষোভ দমন করতে পুলিশ যেভাবে বলপ্রয়োগ করছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, শিক্ষকরাও রেহাই পাচ্ছেন না- এ নিয়ে তারা কি বলবেন সেটিই আমার প্রশ্ন।

;