প্রবাসী খুনের রহস্যজট এখনো খোলেনি
সিলেট: নগরীর জিন্দাবাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা এস এম আব্দুল আহাদ খুনের রহস্যজট এখনো খোলেনি। তবে পরিবার দাবি করছে ‘খুনের পরিকল্পনা’ হয় কুয়েতে। সেখানকার দলীয় রাজনীতির বলি হয়েছেন আব্দুল আহাদ। পুলিশ ইতোমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।
মৌলভীবাজারের রাজনগর থেকে সিলেটে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নিতে বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) দেশে এসেছিলেন এস এম আব্দুল আহাদ। পরদিন শুক্রবার (৩১ আগস্ট) সিলেট নগরীর তাতীপাড়ায় খুন হন তিনি। আব্দুল আহাদ কুয়েত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনায় (২ সেপ্টেম্বর) নিহতের স্ত্রী রাসনা বেগম বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫/৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
রাসনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কুয়েত থেকে একটি ফোন আসে আহাদের মোবাইলে। তখন আহাদকে হুমকি দেয়া হয়েছিল। তবে দেশে হত্যাকাণ্ডের শিকার হবেন এমনটা হয়তো কল্পনা করতে পারেননি তার স্বামী।
কুয়েত প্রবাসী আব্দুল আহাদ বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন কুয়েত থাকার কারণে তিনি সেখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বিগত কাউন্সিলে তিনি কুয়েত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। কমিটি গঠন নিয়ে তখন গ্রুপিং হয়েছে। আব্দুল আহাদ সেই গ্রুপিংয়ের বলি হতে পারেন বলে দাবি করছেন তার সহকর্মীরা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বার্তা২৪.কমকে জানান, প্রবাসী আহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে জিজ্ঞসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখছে। হত্যাকাণ্ডের ক্লু এখনো উদ্ধার হয়নি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ আশাবাদী।