অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্ল্যানেট ৫০-৫০ এর লক্ষ্য পূরণ এবং কাউকে পেছনে না ফেলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করা জরুরি। এই ক্ষেত্রে নারী সংসদ সদস্যগণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও নারীদের অধিকার রক্ষার জন্য গণতন্ত্রের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে সংসদকে আরও পর্যবেক্ষণশীল হওয়ার পাশাপাশি স্বীয় ক্ষমতা ও কার্যকরিতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সোমবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে অনুষ্ঠিত ১৩তম 'সামিট অব ওমেন স্পীকার্স অব পার্লামেন্ট'-এর উদ্বোধনী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। কোভিড ১৯ এর এই মহামারির সময়েও এমন আয়োজনের জন্য তিনি ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়ন, জাতিসংঘ এবং অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার বলেন, উন্নত আগামী ও আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের জন্য আমাদের লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে সকলকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান স্পিকার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিধ্বংসী কোভিড মহামারির এ সংকট শেষ হবার পর পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে সংসদ সদস্যদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আরও উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এই সংকট মোকাবেলায় অভিনব মডেল নিয়ে সকলকে ভাবতে হবে। লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং সেই সাথে বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া ও স্থানীয় অভিজ্ঞতার সমন্বয় ঘটাতে হবে। কেননা, নারীরা পরিবর্তন ও উন্নয়নের কার্যকর অনুষঙ্গ।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার বলেন, কোভিড-১৯ শুধু অর্থনীতি ও স্বাস্থ্যের উপরই প্রভাব ফেলছে না, অসমতা-বৈষম্য এবং নারী ও মেয়েদের বিরূদ্ধে সহিংসতাকে গভীরতর করছে। যে সকল নারী ও মেয়ে এই মহামারির কারণে ঘরবন্দি অবস্থায় আছে, তারা লিঙ্গবৈষম্য ও সম্মানহানির শিকার হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সামাজিকভাবে আমাদের মোকাবিলা করা প্রয়োজন।

ক্লেইরি ডুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফেডারেল কাউন্সিল অব অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট আন্দ্রিয়া এডার গিটসথ্যালার, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অস্ট্রিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডরিস বুরস এবং ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েলা চুয়েভাস ব্যারন সূচনা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য রোমেনা আলী, রওশন আরা মান্নান, অ্যারোমা দত্ত ও পীর ফজলুর রহমান। সংসদ সচিবালয়স্থ শপথ কক্ষ হতে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন। এছাড়া শামসুল হক টুকু ও অপরাজিতা হক নিজ নিজ অবস্থান হতে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।