বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই লাখ কৃষক, আমনের বীজ সংকট



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ঘাঘট, করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্রসহ রংপুর অঞ্চলে বিভিন্ন নদ-নদীর ৫১৪ কিলোমিটার অববাহিকার বিস্তৃণ জমিতে এবার বন্যার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘস্থায়ী বন্যার পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসেবে, রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় আমন, আউশ, পাট, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৭৩ কোটি টাকার। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় দুই লাখ কৃষক। তবে এই পরিসংখ্যান আরও বেশি হবে বলে মনে করছেন বানভাসি ও ক্ষতিগ্রস্তরা।

চলতি মৌসুমের গেল দুই দফার বন্যায় রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও নীলফামারীতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন পানি কমতে শুরু হওয়ায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে জেগে উঠেছে বন্যার ক্ষত। কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বুনলেও বীজ সংকটে দিশেহারা। আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তাই রয়েছেন বেশির ভাগ কৃষক।

চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বীজ কিনছে কৃষকেরা

এদিকে বন্যা কবলিত রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চড়া সুদে ঋণ নিয়েও এখন বীজ কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু আমনসহ অন্যান্য ফসলের বীজ পাচ্ছেন না প্রান্তিক কৃষকরা। কোথাও বীজ মিললেও দামে মিলছে না। লাগামহীন দাম আর বীজ সংকট দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বন্যায় ক্ষত-বিক্ষত কৃষকরা সরকারিভাবে দ্রুত কৃষি সহায়তাসহ অন্যান্য প্রণোদনা প্রদানের দাবি করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তা নদী বিস্তৃত গঙ্গাচড়ার বিনবিনা, চিলাখাল, বাগেরহাট, চরইচলি, জয়রামওঝা, মটুকপুর, চরবাগডোহরা এলাকায় আমনের বীজতলাসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় অনেক কৃষকের আমন চারা বালুতে ঢেকে গেছে। আবার কোথাও চারা ক্ষেত ভেঙে গেছে। বন্যার পানি কমায় কিছু কৃষক বাহির থেকে চারা কিনে রোপন করলেও বেশির ভাগ কৃষক এখনও চারা লাগাতে পারেনি।

তলিয়ে গেছে কৃষকের ফসল

রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলার বেশির ভাগ কৃষকের অবস্থা এখন এমনই। বিস্তৃণ মাঠ জুড়ে বন্যার ক্ষত। আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তাই সবচেয়ে বেশি। চড়া সুদে ঋণ নিয়েও মিলছে না বীজ। আবার হাতে বীজ মিললেও দাম যেন লাগামহীন।

গঙ্গাচড়ার চরবাগডোহরা গ্রামের কৃষক শাহিনুর, আব্দুল লতিফ ও দুলাল মিয়া জানান, তাদের সব চারা নষ্ট হয়ে গেছে। চারার অভাবে এখনো তারা জমিতে চারা লাগাতে পারেনি। জমি পতিত পরে আছে।

জয়রামওঝা গ্রামের রজব আলী বলেন, রোয়া গারছি, পানিতো খ্যায়া গেইছে। এখন যে গারমো তার কোনো বুদ্দি নাই। এই সময় তো আর বেচনও নাই। এখন জমি পরি থাকপে। দাম দিয়্যাও এ্যলা বীজ মেলে না।

ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

বিনবিনা চরে কথা হয় কৃষক আনারুল ইসলামের সাথে। চলতি মৌসুমের বন্যায় ফসল হারিয়ে দিশেহারা তিনি। চেষ্টা করছেন ধার-দেনা করে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর। চোখে মুখে হতাশা নিয়ে এই কৃষক বলেন, লাভের উপর টাকা নিয়্যা আমাক বেচন কিনা লাগবে। কিন্তু বেচন তো পাওয়া যাইতোছে না। যদিও বেচন মেলে দাম অনেক বেশি।

এদিকে ফের বন্যা হলে আমনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যহত হবার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগ। তবে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে শাক ও সবজির বীজ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কৃষি প্রণোদনায় বন্যা কবলিত রংপুর অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে ১৪ ধরনের শাক-সবজির বীজ দেয়া হবে। এছাড়াও রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যে বীজতলার বিশাল কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

নতুন করে আবাদে ব্যস্ত কৃষকেরা

সরকারি হিসেব মতে, এবারের বন্যায় রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ৬৪৪২ দশমিক ৭৭ হেক্টর জমির পাট, ৩৭৮ দশমিক ৫ হেক্টর জমির তিল, ২০৫ হেক্টর জমির মরিচ, ৩০ দশমিক ৬ হেক্টর জমির চিনা বাদাম, ২০.০০ হেক্টর জমির কাউন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার অনুমানিক মূল্য ১৭২ কোটি ৫৪ লাখ ১১ হাজার ৩৮৪ টাকা। দীর্ঘ স্থায়ী এই বন্যায় পাঁচ জেলায় ১ লাখ ৭২ হাজার ৭৯ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আলী জানান, ফসলের ফলন ও বাজার মূল্য বিবেচনায় এবারের বন্যার প্রথম ধাপে ১০৩ কোটি এবং পরের ধাপে ৬৯ কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষতি পূরণে চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য বীজতলার বিশাল কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। সবজি প্যাকেজ দেয়া হচ্ছে। মাসকালাই প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ভুট্টা, গম, তেল জাতীয় প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।

অন্যদিকে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক ড. সরওয়ারুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের ৩৭ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে শাক ও সবজি বীজ বিতরণের জন্য ১০ কোটি ২৬ লাখ ৯২ হাজার ৬৮৫ টাকার প্রণোদনা দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রংপুর অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এই প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ সহায়তা পাবেন।

   

রাঙামাটিতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ'র ২ কর্মী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাঙামাটির লংগদু’য় প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর দুই সক্রিয় কর্মী নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে লংগদু’র বড় হাড়িকাবার ভালেদি হাট এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। নিহতরা হলেন- তিলক চাকমা (৪৫) ও ধন্যমনি চাকমা (৩৫)। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহম্মেদ জানিয়েছেন, নিহতের বিয়ষটি অবহিত হওয়ার পর মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম রওয়ানা দিয়েছে।

এদিকে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড়হাড়িকাবার ভালেদি ঘাট এর পার্শ্ববর্তী স্থানে সন্তু গ্রুপের ৭ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল এসে সেখানে সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফ কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় ঘটনাস্থলে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যা ধন চাকমা ওরফে তিলক (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) নিহত হন।

নিহত ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমার পিতার নাম সময় মনি চাকমা, গ্রাম- কুকিছড়া, কাট্টলী, লংগদু, রাঙামাটি এবং সমর্থক ধন্য মনি চাকমার পিতার নাম লেংগ্যা চাকমা, গ্রাম- ধুধুকছড়া, বড় হাড়িকাবা, লংগদু, রাঙামাটি।

ইউপিডিএফ এর পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলো পোয়া চাকমা ওরফে আপন (৩২), পিতা লক্ষ্মী মনি চাকমা। তার বাড়ি বড় হাড়িকাবার পাশে কুট্টছড়ি গ্রামে। পোয়া চাকমা সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর সক্রিয় সন্ত্রাসী।

বিবৃতিতে সচল চাকমা অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারী খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং খুনী সন্ত্রাসীদের মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেফতারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।

;

কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনুস আলী (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার (১৮ মে) সকালের দিকে উপজেলার খোর্দ্দ বনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউনুস আলী কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দ বনগ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ৭টার দিকে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুক্তার আলী ও তার লোকজন মিলে ইউনুস আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউনুসকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন, তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, সকালে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ইউনুস আলী জখম হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান।

তিনি আরও জানান, নিহত ইউনুস আলী ও মুক্তার আলী একে অপরের আত্মীয়। সম্পর্কে বেয়াই। তাদের উভয়ের ছেলে মেয়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি বিরাজ করছিল। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

;

২৮ বছরে ঢাকার সবুজ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের রাজধানী ঢাকায় গত ২৮ বছরে সবুজ এলাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ, অন্যদিকে জলাভূমিও নেমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী সম্মেলনে এই তথ্য জানা যায়।

বিআইপির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা শহরের সবুজ এলাকা এবং জলাভূমি কমেছে সেই সঙ্গে দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ, যা শহর এলাকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাবও বাড়ছে। দেশে চলমান যে তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে তার মূল কারণ নগরে সুবজায়ন কমে যাওয়া।

বাংলাদেশের মতো ক্রান্তীয় আর্দ্র জলবায়ুর দেশে নগর পরিকল্পনায় সাধারণ মানদণ্ড অনুযায়ী একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকা বাঞ্ছনীয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গত বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাড়ার কথা ছিল ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিআইপি-এর গবেষণা অনুযায়ী ঢাকায় কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে। ফলে সার্বিকভাবে ঢাকার পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে নেতিবাচকভাবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল সরোয়ার জানান, তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, শ্রমিকের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, অবনতি হয়েছে কৃষি উৎপাদনে, ব্যাহত হয় শিল্প প্রক্রিয়া, তাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন অবকাঠামো।

তিনি আরও জানান, চলমান তাপপ্রবাহকে চরম আবহাওয়াগত পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাপপ্রবাহ মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ২০২৪ সালে সমগ্র বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

অনুষ্ঠানে নগর গবেষণা কেন্দ্রে সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে ছিলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপির সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান স্থাপতি ইকবাল হাবীব।

;

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বেলা ১১:৫৭ টায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি জানান, ধোলাইখালে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।  

;