Drugs worth Tk 2 crore recovered Bogra

করোনাকালে বগুড়ায় ২ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার ৬২১

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আটককৃত মাদক কারবারিরা

আটককৃত মাদক কারবারিরা

করোনা মহামারির মধ্যেও থেমে নেই মাদক ব্যবসা। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ধরনের মাদক বগুড়ায় আসছে আবার পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। নানা ধরনের কৌশলে মাদক ব্যবসায়ীরা তৎপরতা চালালেও বসে নেই বগুড়া জেলা পুলিশ।

করোনা মহামারির প্রায় ৫ মাসে বগুড়া জেলা পুলিশ দুই কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করেছে ৬ শতাধিক মাদক ব্যবসায়ির কাছ থেকে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২২ আগস্ট) বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা এসব তথ্য জানান।

জানা গেছে, গত এপ্রিল থেকে চলতি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত বগুড়া জেলার ১২ থানায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্তে মামলা হয়েছে প্রায় ৬০০টি। মাদক কারবারি গ্রেফতার হয়েছে ৬২১ জন। এ সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রযেছে ইয়াবা ট্যাবলেট ৩৩ হাজার ৮৯২ পিস, ফেন্সিডিল ৩ হাজার ৮১১ বোতল, তরল ফেন্সিডিল ৩ দশমিক ২ লিটার,গাঁজা ২৬৮ কেজি, গাঁজার গাছ ৫টি, হেরোইন ১৫০ গ্রাম, চোলাই মদ ২৫ লিটার, দেশি মদ ৪৬ বোতল, রেক্টিফাইট স্প্রিরিট ৫২ বোতল, নেশাজাতীয় ইনজেকশন ৩৭৭ টি এবং নেশাজাতীয় লোপেন্টা ট্যাবলেট ১০৫টি।

বিজ্ঞাপন

বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশি এবং গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ এসব মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে। মাদক দ্রব্য উদ্ধারে এগিয়ে রয়েছে বগুড়ার ডিবি পুলিশ। গত ৫ মাসে উদ্ধারকৃত মাদক দ্রব্যের বেশির ভাগ উদ্ধার করেছেন তারা। ডিবির পরই তৎপর রয়েছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। গত ২০ দিনে সেখানে গ্রেফতার হয়েছে ২৭ জন মাদক কারবারী।মামলা হয়েছে ১৮ টি।

জব্দকৃত মাদক

শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান জানান, শিবগঞ্জ থানাকে তিনি মাদক ও জুয়া মুক্ত করার চেষ্টা করছেন।ইতিমধ্যেই মাদক ব্যবসায়ীদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার হুশিয়ারী দিয়ে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা গাঁজা,ফেন্সিডিল ও নেশাজাতীয় ইনজেকশন বগুড়া হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ হয়ে থাকে। আবার দেশের অন্য প্রান্ত থেকে ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় চালান বগুড়ায় আসে। এরপর বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় এখান থেকে।

বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘গত এপ্রিল মাস থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি মাদকরবিরোধী অভিযানও বাড়ানো হয়েছে। যার কারণে গত ৫ মাসে এত বিপুল সংখ্যক মাদক উদ্ধার এবং মাদক কারবারি গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে এই জেলায়।’